ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলায় ৩ শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (৪ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর: আরর নিউজ।গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছয়জন প্রাণ হারান। এর মধ্যে আল-মাওয়াসির এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই বছর বয়সী দুইটি শিশুও রয়েছে।তিনি আরও জানান, আল-মাওয়াসিরের একটি তাঁবুতে চালানো অপর হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ১০ জন, যাদের মধ্যে একজন শিশু ও সাতজন নারী রয়েছেন।এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সংবাদমাধ্যম এএফপি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করে, গত দুই দিনে গাজা জুড়ে তারা ১০০টিরও বেশি স্থানে হামলা চালিয়েছে। এতে “অস্ত্রের গুদাম” ধ্বংস এবং “বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী”কে হত্যা করা হয়েছে বলেও জানায় তারা।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। চলতি বছরের শুরুতে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে গেলেও, তা ভেঙে ১৮ মার্চ থেকে পুনরায় আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মার্চের পর নতুন করে শুরু হওয়া হামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৪৩৬ জন নিহত হয়েছেন। সবমিলিয়ে চলমান সংঘাতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৫৩৫ জনে।ভোরের আকাশ//র.ন
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে নজিরবিহীন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অন্তত চারটি মিসাইল আছড়ে পড়েছে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে। হামলার পরপরই দেশজুড়ে মিসাইল সতর্কতা সাইরেন বাজতে শুরু করে, যার ফলে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে ছুটে যান প্রায় ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ।শনিবার সকালে হামলার সূচনা হয় ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে। প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলি আকাশসীমা অতিক্রমের আগেই প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করে দেশটির সামরিক বাহিনী। তবে বিস্ফোরণের মাত্রা ও অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য সেই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।এর মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে আরও একটি মিসাইল আঘাত হানে, যা পুরো শহরে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি করে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে সাইরেনের শব্দে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়।শুক্রবার রাতেও ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফা ও সামরিক ঘাঁটি রামাত ডেভিস হামলার লক্ষ্য ছিল। বিশেষ করে হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে রামাত ডেভিসে ব্যাপক বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।হামলার দায় স্বীকার করে ইয়েমেনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাব। তারা মুসলিম বিশ্বের প্রতি ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছে, গাজা অবরুদ্ধ থাকলে ইসরাইলে হামলাও চলবে।এছাড়া মার্কিন সামরিক উপস্থিতি নিয়েও হুঁশিয়ারি দিয়েছে গোষ্ঠীটি। তাদের ভাষ্য, বেসামরিক ইয়েমেনিদের ওপর হামলা বন্ধ না হলে যুক্তরাষ্ট্রকেও চড়া মূল্য দিতে হবে।ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে ইয়েমেন থেকে প্রায় ৩০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলই এখন ইয়েমেনি মিসাইলের আওতায় রয়েছে।ভোরের আকাশ//র.ন
০৪ মে ২০২৫ ০৫:৫৪ পিএম
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫১ হাজারে পৌঁছে গেছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।এতে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৯৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আহত হওয়া আরও ১১৮ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৭৪ জনে পৌঁছেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬১৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৪ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ