তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে ভৈরবে বিক্ষোভ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’ র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে কুরুচিপূর্ণ ও অবমাননাকর স্লোগানের প্রতিবাদে এবং বিএনপি’র বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার’ ও ‘রাজনৈতিক হয়রানির’ অভিযোগ তুলে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে যুবদল ও ছাত্রদল।একইসঙ্গে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে পাথর দিয়ে আঘাত করে মাথা থেঁতলে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ভৈরব দুর্জয় মোড়ে জড়ো হন। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি দুর্জয় মোড় থেকে ভৈরব বাজারের বিভিন্ন অলিগলি প্রদক্ষিণ করে পৌর শহীদ মিনারের সামনে এসে শেষ হয়।সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন উপজেলা যুবদল আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন সুজন, পৌর যুবদল সভাপতি হানিফ মাহমুদ, সদস্য সচিব জোবায়ের আল মাহমুদ আফজাল, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন দানিছ, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রেজুয়ান উল্লাহ, সদস্য সচিব আরিফ মোহাম্মদ ফরহাদ প্রমুখ।এছাড়াও প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হাজী জামান, তানভীর আহমেদ, খলিলুর রহমান, পৌর যুবদল যুগ্ম আহবায়ক মনজুরুল ইসলাম সবুজ, পৌর ছাত্রদল সভাপতি মুকিত আব্দুল্লাহ ফারুকী, হাজী আসমত কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সানি তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক জিন্নাহসহ কয়েশশত নেতাকর্মী অংশ নেন।প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, “সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে তারেক রহমানের নামে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ছড়ানো হচ্ছে, যা দেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।” এ ধরণের অহেতুক কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসার জন্য আহবান জানানো হয়।এসময় তারা দ্রুত মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এবং দেশের জনগণকে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ/জাআ
১৪ জুলাই ২০২৫ ০৪:২৪ পিএম
জামায়াত-শিবিরকে হুঁশিয়ারি ছাত্রদলের
জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে এবং গুপ্ত রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান জানিয়ে মানিকগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ছাত্রদল।সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে মানিকগঞ্জ শহরের 'ল কলেজ' এলাকা থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, ‘গোপনচক্র’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশ নষ্ট করছে এবং সারা দেশে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ সময় তারা জামায়াত-শিবিরকে রাজাকার আখ্যা দিয়ে বাংলা ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দেন।বিক্ষোভ শেষে এক পথসভায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ বলেন, “ছাত্রসমাজকে লক্ষ্য করে যে ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে, তা প্রতিহত করতেই আমরা রাজপথে নেমেছি। নিরীহ ছাত্রদের ব্যবহার করে শিক্ষাঙ্গনে মব তৈরি করা হচ্ছে, যা একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।”তিনি আরও বলেন, “গোপন রাজনৈতিক তৎপরতা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব বন্ধে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।”মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম খান সজীব, সিনিয়র সহ-সভাপতি মৃদুল কান্তি মণ্ডল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিহাদুল ইসলাম জিহাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব খান অয়নসহ দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৪ জুলাই ২০২৫ ০২:১৯ পিএম
ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা
গোপন তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরে অভ্যস্ত গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।রোববার (১৩ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচি অনুযায়ী আগামীকাল সোমবার (১৪ জুলাই) বেলা ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন সারাদেশের সকল জেলা ও মহানগরেও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হামলাকারীরা ইট, রড, কংক্রিট ও পাথর দিয়ে তাকে আঘাত করে এবং শরীরের ওপর লাফিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানী ঢাকায় মিডফোর্ডে পাথর মেরে ব্যবসায়ীকে বর্বরোচিত হত্যাসহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মাদারীপুরের শিবচরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে দশটার দিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,শিবচর শাখার উদ্যোগে এই বিক্ষো়ভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।প্রতিবাদ মিছিলটি শিবচর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ৭১ সড়কের চত্বরে এসে শেষ করে। সেখানে বিভিন্ন বক্তারা বক্তব্য রাখেন।প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, শিবচর উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এর সভাপতি হাফেজ মাওলানা জাফর আহমেদ, স্থানীয় সাব রেজিস্ট্রার জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি বজলুর রহমান আরেফী, শিবচর উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সেক্রেটারি মাওলানা খলিলুর রহমান, ইসলামি যুব আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান, কৃষিবিদ শাহীন শিকদারসহ প্রমুখ। ভোরের আকাশ/
১২ জুলাই ২০২৫ ১১:৫৯ এএম
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফটক আটকে বিক্ষোভ
স্বতন্ত্র ইউনানি-আয়ুর্বেদিক কাউন্সিল গঠনের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে করেছেন সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেবা ভবন ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। সকাল ১০টা থেকেই অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।আন্দোলনে নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও যুক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।শিক্ষার্থী মো. শহীদুজ্জামান সুমন বলেন, তিন দিনেও সরকারের পক্ষ থেকে কেউ এসে কথা বলেননি। এটি কেবল রেজিস্ট্রেশনের নয়, বরং সম্মান ও ভবিষ্যতের প্রশ্ন। আনিকা তাবাসসুম বলেন, ক্লাস, পরীক্ষা ও ভবিষ্যতের ঝুঁকি নিয়েও তারা রাজপথে রয়েছেন, এটি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়-বরং তাদের পেশাগত অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন।আন্দোলনের পটভূমিতে রয়েছে গত ৩০ জুন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-২ শাখা থেকে পাঠানো একটি অফিস আদেশ, যা শিক্ষার্থীদের মতে, একতরফা, পক্ষপাতদুষ্ট এবং নীতিবিরোধী। এতে ইউনানি-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতির রেজিস্ট্রেশন, উচ্চশিক্ষা ও চাকরির সুযোগ হুমকির মুখে পড়বে বলে দাবি করা হচ্ছে।গত ৭ জুলাই থেকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাওয়ের মাধ্যমে শুরু হয় আন্দোলন। ৮ জুলাই প্রধান ফটক অবরোধ করা হয়, আর বুধবার সরাসরি ‘সেবা ভবন’ ঘেরাওয়ের মাধ্যমে চাপ বাড়ান আন্দোলনকারীরা।তারা জানিয়েছেন, দাবি মানা না হলে আন্দোলন চলবে, প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১০ জুলাই ২০২৫ ০১:০৯ এএম
বিক্ষোভের পর দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের
বগুড়ার আদমদীঘিতে পাইকারী ও খুচরা বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচা মরিচের। বাজারে প্রতিকেজি মরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি দরে। এতে খুশি স্থানীয় মরিচ চাষীরা। গত মঙ্গলবার মহাসড়কে মরিচ ঢেলে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানোর পরে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করছেন কৃষকরা। তবে, প্রতিমণ মরিচ বিক্রি করতে ধলকা দিতে হচ্ছে ২ কেজি। যা গত বছরেও ছিল ১ কেজি। এতে কৃষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দ্রুত পচনশীল কাঁচামাল এটি। এজন্য ৪২ কেজিতে একমণ হিসেব করা হয়। বাজারে সরবরাহ কম আর চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে এই পণ্যটির।শুক্রবার সকালে উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,প্রতিকেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। মানভেদে ৩৫ থেকে শুরু করে ৫৫ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয় মরিচ। এই এলাকার মরিচ ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য জেলায় বিক্রি হয়। গত বছরে মরিচের ভাল দাম থাকায় চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় বৃদ্ধি পেয়েছে মরিচের আবাদ। দাম ভাল থাকলে অল্প সময়ে লাভবান হবেন কৃষকরা।সদরের গোড়গ্রামের কৃষক মোস্তফা জানান, ‘গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে মরিচের। এবছর মরিচের আবাদ খুব ভালো হয়েছে। এই আবাদে শ্রম বেশি দেওয়া লাগে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় কীটনাশক ব্যবহার কম করছি। দাম এটা থাকলেও লাভবান হব।’অন্তাহার গ্রামের কৃষক নওশাদ, খেলু, কামাল, বাবু এবং রেজাউল জানান,‘প্রতি বছরই আমরা মরিচের আবাদ করি। এবছর প্রথম থেকেই মরিচের দাম কম। সেজন্য যত্ন এবং কীটনাশক ছিঁটানো কমে দিই। অনেকেই জমি থেকে গাছ উঠিয়ে অন্য ফসল করছি। এখন দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন দাম থাকলে যতটুকুন আবাদ আছে সেটিই পরিচর্যা করলে ক্ষতিগ্রস্ত হব না।’মান্নান এবং রাজ্জাক নামের মরিচ ব্যাপারীরা জানান,‘৫০ টাকা কেজি দরে মরিচ ক্রয় করেছি। এই বাজারে চাটি ও ব্যাপারীদের সংখ্যা বেড়েছে; সেই তুলনায় মরিচ কম। এজন্য বেশি দামে কিনতে হয়েছে মরিচ। এজন্য লাভ একটু কম হবে।’ভোরের আকাশ/আজাসা
০৪ জুলাই ২০২৫ ১১:১৮ এএম
ক্যান্টিন পরিচালনা নিয়ে মারামারি, সচিবালয়ে বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ক্যান্টিন পরিচালনা নিয়ে মারামারির ঘটনায় এক পক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে অন্যপক্ষ।রোববার (২৯ জুন) দুপুরে সচিবালয় কর্মকর্তার-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ‘নূরুল-মোজাহিদ’ অংশের মহাসচিব মোজাহিদুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বে অন্তত ২০-২৫ জন কর্মচারী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। তারা পরিষদের অন্য অংশের সভাপতি বাদিউল কবীরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন।এ সময় মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, গত ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় নূরুল ইসলামসহ পরিষদের শীর্ষ নেতাদের ওপর অতর্কিত হামলা হয়। নূরুল ইসলাম এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেদিন সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সব সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। এটা কার নির্দেশে?সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সচিবালয় মাস্তানি করার জায়গা না। ১৮ হাজার কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদের প্রতিহত করবো। আজ হোক, কাল হোক- এখান থেকেই বিচার করবো।সমাবেশে সংযুক্ত পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব মিলন মোল্লা কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের আন্দোলনে আর কেউ যাবেন না। তাদের প্রতিহত করতে হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৯ জুন ২০২৫ ০৭:৪১ পিএম
ইরানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
ইরানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাসদ (মার্কসবাদী)।মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা ১২টার দিকে ১নং রেলগেটে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।এ উপলক্ষে একটি মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের ১নং রেলগেটে এসে সমাবেশ করে। শেষে ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা আহ্বায়ক কমরেড আহসানুল হাবিব সাঈদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদস্য কমরেড নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, পরমানন্দ দাস, ডা. জব্বার ও আয়নাল হক প্রমুখ ।বক্তারা বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যদের মদদপুষ্ট উগ্র জায়নবাদী ইসরায়েলের আগ্রাসনে প্রতিনিয়ত গণহত্যার শিকার হচ্ছে ফিলিস্তিনের হাজারো নারী, শিশু এবং বেসামরিক মানুষ। এরইমধ্যে গত পরশু রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে নির্লজ্জ আগ্রাসন চালিয়েছে। আজ ইসরায়েল ধ্বংসাযজ্ঞ চালিয়ে গাজাসহ পুরো ফিলিস্তিন শ্মশান ঘাটে পরিণত করেছে তার সম্পূর্ণ পৃষ্ঠপোষক এই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ।এরই মধ্যে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান এই তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে। যুদ্ধবাজ ট্রাম্পের হামলা ও হুমকি সামনের দিনে জোটভুক্ত দেশসমূহকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির সংকেত। যা দেশে দেশে যুদ্ধকে উসকে দিয়েছে। বিভিন্ন দেশে মার্কিন ঘাটি স্থাপন, অস্ত্র বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে দুর্বল দেশের উপর আধিপত্য ও শোষণ চালিয়ে যাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী। এই যুদ্ধ সাম্রাজ্যদের শক্তি-ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। বক্তারা এই আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।বক্তারা আরও বলেন- পুরো বিশ্বের কোন মানুষই যুদ্ধ চায় না। তাই দেশে দেশে যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বের সকল শান্তিকামী-গণতন্ত্রমনা মানুষকে যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ/জাআ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর ইপিজেডের কাজ দ্রুত শুরু করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (২১ জুন) বিকালে একটি মিছিল প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের পশ্চিম চার মাথায় সমাবেশে করে।এতে নেতৃত্ব দেন গোবিন্দগঞ্জ আসনের জামায়াত মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সাবেক জেলা আমীর ডা. আব্দুর রহিম সরকার, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন নবী প্রধান ও উপজেলা আমীর মাস্টার আবুল হোসাইন। উপজেলা জামায়াতের আমীর মাস্টার আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা আমীর ডা. আব্দুর রহিম সরকার, বিশেষ অতিথি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নুরুন নবী প্রধান, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সহকারী সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম রাজু, মশিউর রহমান, উপজেলা শিবিরের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।বক্তারা বলেন, গোবিন্দগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবী রংপুর ইপিজেড। ইপিজেড স্থাপনে প্রশাসনিক সকল প্রকার কাজ সম্পন্ন হলেও একটি স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে আজও ইপিজেডের নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।বক্তারা আরও বলেন, ইপিজেড বাস্তবায়ন হলে দুই লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সেই সাথে উপজেলার অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যাবে। ব্যবসা বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত প্রসারিত হবে। কেউ যদি ইপিজেড নির্মাণে অবৈধ বাঁধা সৃষ্টি করে তাহলে গোবিন্দগঞ্জবাসী তা প্রতিহত করবে।বক্তারা অবিলম্বে গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেডের নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করার দাবি জানান।ভোররে আকাশ/এসএইচ
২১ জুন ২০২৫ ০৭:১৩ পিএম
সচিবালয়ে কর্মচারীদের টানা ৫ দিনের বিক্ষোভ
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) পর্যন্ত টানা পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে সমবেত হন তারা। এক পর্যায়ে তারা বসে পড়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে৷ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। সংগঠনটির কো–চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবির ও মো. নুরুল ইসলাম, কো–মহাসচিব নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা বিক্ষোভে অংশ নেন।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কর্মচারীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, সচিবালয় জেগেছে’, ‘মানি না মানবো না, ফ্যাসিবাদী কালো আইন’, ‘ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’—এমন নানা স্লোগানে মুখর করে তোলেন সচিবালয় এলাকা।উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ২৫ মে রাতে এই অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে।অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সর্বশেষ ঈদের ছুটির আগে তিন জুন পর্যন্ত সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মচারীরা। চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সরকারের সাতজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। ১৫ জুনের মধ্যে চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল না করলে ১৬ জুন থেকে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুমকিও দিয়েছিলেন কর্মচারী নেতারা।এর মধ্যে গত ৪ জুন `সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫' পর্যালোচনা করে সুপারিশ দিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটি সোমবার বিকেলে প্রথম বৈঠকে বসছে। কমিটির সুপারিশ দেওয়া পর্যন্ত কর্মচারীদের আন্দোলন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।ভোরের আকাশ/আজাসা
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের ভেতর আবারও জমায়েত হয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।বুধবার (১৮ জুন) সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ শেষে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। পরে কর্মচারীরা বলেন, তারা এখন কঠোর কর্মসূচি যাবেন। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, কর্মচারীরা মিছিল করে সচিবালয়ের ছয় নম্বর ভবনের নিচে কিছুক্ষণ অবস্থান নেন। সেখানে তারা সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরে একটি প্রতিনিধি দল উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের বরাবর স্মারকলিপি দেন।এর আগেও তারা অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে পবিত্র ঈদুল আজহার আগে থেকে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তারা বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করছেন।আজ সকাল সোয়া ১১টার পর তারা সচিবালয়ের বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি সচিবালয়ের বিভিন্ন অলিগলি প্রদক্ষিণ করেন। মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ওয়ারী মিছিল নিয়ে বাদামতলায় জড়ো হওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিতি আগের দিনের মতোই কম ছিল। কর্মচারীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘মানি না মানব না, ফ্যাসিবাদী কালো আইন’, ‘মানি না মানব না, অবৈধ কালো আইন’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।বিক্ষোভ শেষে ৬ নম্বর ভবনের লিফটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটা মানুষ সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল চায়। ফলে কোনো সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন আমরা মানব না। এখন পর্যন্ত আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ডাক পাইনি। যদিও পর্যালোচনা কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশ দিতে।নূরুল ইসলাম বলেন, কর্মচারীদের দাবি সম্বলিত পোস্টার যারা ছিঁড়েছে, সিসিটিভির মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করে আমরা তাদের পরিচয় প্রকাশ করব। যার যার জায়গা থেকে পোস্টার ব্যানার লিফলেট তৈরি করে পুরো সচিবালয়ে সাঁটিয়ে দিতে হবে।আগামীকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করে নূরুল বলেন, আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আগামী রোববার আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।ভোরের আকাশ/এসএইচ