নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্ব খর্ব করা চলবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে কিছু সময়ের জন্য ওয়াক আউট করার পর আবার আলোচনায় যোগ দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে যেন আর কখনও স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ জন্ম নিতে না পারে, সে লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তবে, নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে।সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ২০তম দিনে এ মন্তব্য করেন তিনি।সালাহউদ্দিন জানান, ‘আমাদের পক্ষ থেকেই প্রস্তাব ছিল, কেউ যেন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারেন সেটি গৃহীত হয়েছে। আমরা আরও প্রস্তাব দিয়েছি, একটি স্বাধীন সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হোক, যেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল এবং বিচার বিভাগের প্রতিনিধি থাকবেন এটি-ও ইতিবাচকভাবে গৃহীত হয়েছে।’তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরাই বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে পরবর্তী সংসদ যদি সংশোধনী আনে, তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে গণভোটে যেতে হবে। এটি গৃহীত হওয়া ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।’সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহিতা যেমন সংসদের কাছে, তেমনি জনগণের কাছেও রয়েছে। কিন্তু যদি কর্তৃত্ব না থাকে, আর কেবল দায়-দায়িত্ব থাকে, তাহলে রাষ্ট্র পরিচালনা কার্যকর হবে না।’বিএনপি নেতা বলেন, ‘সব বিষয়ে ঐক্যমত হওয়া সম্ভব নয়। ভিন্নমত থাকবে, সেটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে কাউকে ঐক্যমতে বাধ্য করা গণতন্ত্র নয়। আমরা অংশ নিচ্ছি একটি গঠনমূলক চেতনায় তবে যেখানে মৌলিক মতভেদ রয়েছে, সেখানে মতপার্থক্য জানানোই যৌক্তিক।’বক্তব্য শেষে সালাহউদ্দীন আহমেদ জানান, সংলাপের পরবর্তী পর্যায়ে বিএনপি অংশ নেবে এবং ইতিবাচক আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ