ছবি: ভোরের আকাশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ল্যাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আতঙ্কে ভবনের সিঁড়ি দিয়ে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অন্তত ১২জনের মতো শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে বিদ্যালয় ভবনের ৩য় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিদ্যালয়ের প্যাডে এক জরুরী নোটিশে জানানো হয়, "বুধবার দুপুর ১২.৩০ মিনিটের দিকে বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ১০/১২ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে বিজ্ঞান মেলার প্রজেক্ট তৈরি করার সময় মাল্টিপ্লাগে সটসার্কিটে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীরা চিল্লাচিল্লি করে বের হওয়ার সময় আরো একটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে নামার সময় মোট ১২ জন শিক্ষার্থী ভয়ে অসুস্থ হয়ে যায়। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শিক্ষক, অভিভাবকসহ এ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নোটিশে আরও জানানো হয়, অসুস্থ শিক্ষার্থীরা সবাই আশংকামুক্ত অবস্থায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে এবং শিক্ষার্থীদের পাশে তাদের অভিভাবকরাও সাথে রয়েছেন; কেও যেন আতংকিত না হন। নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক জামাল উদ্দিন ভোরের আকাশকে জানান, কয়েকদিন পর জেলাতে বিজ্ঞান মেলা হবে। এজন্য ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের ৩য় তলায় ল্যাবে কাজ করছিল; এ সময় হঠাৎ আগুন আগুন বলে চিৎকার করে উঠে। এ সময় সব ক্লাস চালু থাকায় ভবনের উপরে থাকা শিক্ষার্থীদের চিৎকারে নিচের ছাত্রছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ঝাঁপ করে বের হতে গিয়ে সিঁড়ির রেলিং ভেঙে আহত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক দিদারুল আলম ও সিভিল সার্জন মো. নোমান মিয়া হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে যান এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি তাদের পূ্র্ব ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিকাল ৩টায় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের বিজয় মিছিল স্থগিত করে আগামী শনিবার বিকাল ৩টায় একই স্থান থেকে বের হবার ঘোষণা দেয়। পরে জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জি: শ্যামল দলের নেতৃবৃন্দসহ আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
ভারতের ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশি নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়রা। নিহতরা হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।৫৫ বিজিবি মিডিয়া সেল থেকে বুধবার রাতের দিকে এ ঘটনায় নিশ্চিত করা হয়। নিহতরা হলেন আলীনগর গ্রামের জুয়েল মিয়া (৩২), বাসুল্লা গ্রামের পন্ডিত মিয়া (৪৫) এবং কবিলাশপুর গ্রামের সজল মিয়া (২০)।ত্রিপুরার খোয়াই জেলার স্থানীয় সাংবাদিক আশীষ চক্রবর্তী জানান, বুধবার সকালে পাহাড়ি আদিবাসীরা তিন বাংলাদেশিকে খোয়াই থানার বিদ্যাবিল এলাকায় হত্যা করে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়।চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তারেকুর রহমান বলেন, বিজিবি নিহতদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে ভারতে পাঠিয়েছে। প্রাপ্ত লাশের ছবি দেখে জুয়েল, পন্ডিত ও সজলকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।৫৫ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিলুর রহমান ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের প্রক্রিয়া চলছে।বিজিবি জানায়, দুই-তিন দিন আগে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সীমান্তবর্তী বিদ্যাবিল এলাকায় তিনজন বাংলাদেশি গোপনে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই থানাধীন কারেঙ্গিছড়া এলাকায় প্রবেশ করে। এই স্থান সীমান্তের শূন্যলাইন থেকে প্রায় ৪-৫ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে এবং ৭০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিয়ন্ত্রণাধীন।স্থানীয় ভারতীয়রা রাতের অন্ধকারে গরু চুরির আশঙ্কায় তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় তিনজন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। তাদের মরদেহ বর্তমানে ভারতের সাম্পাহার থানায় রাখা হয়েছে।ভোরের আকাশ//হর
সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে ও ভবিষ্যৎ পথনির্দেশনা দিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও নবীনবরণ অনুষ্ঠান ২০২৫” অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় মুন্সীগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলেজ শিবির।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের এমপি প্রার্থী প্রফেসর আবু ইউসুফ।নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নসিহতমূলক বক্তব্য রাখেন সরকারি হরগঙ্গা কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি শাহীন আহমেদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা শিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি আল আমিন ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।অনুষ্ঠানে নবজাগরণ শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক পর্বে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে মিলনায়তন। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন থানা সেক্রেটারি আজিজুল হাকিম এবং সভাপতিত্ব করেন কলেজ শিবির সভাপতি আব্দুল্লাহ মুজাহিদ।শেষে বই পাঠ প্রতিযোগিতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।ভোরের আকাশ//হর
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে টাঙ্গাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযান চলাকালে ঢাকা-যমুনাসেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের রাবনা এলাকায় অনুমোদিত সীমার বাইরে শব্দ উৎপন্নকারী হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করায় চারটি গাড়ি থেকে মোট পাঁচটি হর্ন জব্দ করা হয়। পাশাপাশি দায়ীদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নওশাদ আলম এবং মোছা. সুমনা আক্তার। আদালতে প্রসিকিউটরের দায়িত্বে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক বিপ্লব কুমার সূত্রধর।অভিযান চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের সদস্যরা।ভোরের আকাশ//হর
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা এলাকায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নারীসহ ৩ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ১২ জন। হতাহতরা সবাই বাসযাত্রী।বুধবার বিকেল ৩ টার দিকে এ দুর্ঘনাটি ঘটে। হতাহতদের নাম পরিচয় জানা যাইনি।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জামালপুরের তারাকান্দি থেকে ছেড়ে আসা ভাই ভাই পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিলো। বাসটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাঐখোলা এলাকায় পৌছালে ঢাকাগামী একটি ট্রাককে অতিক্রম করার চেষ্টা করে। এ সময় ঢাকাগামী রড ভর্তি অন্য একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে এক নারী নিহত হয়।এ সময় পুলিশ আহত ১৪ জনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই জনকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।বাসাইল থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, নিহত ওই তিন বাস যাত্রীর পরিচয় সনাক্তের চেষ্ট চলছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্থান্তর করা হবে।ভোরের আকাশ//হ.র