গাইবান্ধায় ফ্যানের লাইন চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল কৃষকের
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মোফাজ্জল হোসেন গাদু (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রীও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন। তিনি বর্তমানে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে সদর উপজেলার ঘাঘোয়া ইউনিয়নের শাহাপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাগোয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. সাজু মিয়া।
নিহত মোফাজ্জল হোসেন গাদু উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের শাহাপাড়া গ্রামের মৃত জালাল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধান পরিষ্কারের জন্য ফ্যানের লাইন চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মোফাজ্জল। পরে তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রীও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোফাজ্জল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং তার স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় টানা বৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক, কৃষিজমি, পুকুর ও জলাশয়। আখাউড়া স্থলবন্দরের শুল্ক অফিস এবং ইমিগ্রেশন অফিস সংলগ্ন চত্বরে পানি ঢুকে পড়েছে। এছাড়া স্থলবন্দরের নিকটবর্তী আখাউড়া-আগরতলা আন্তর্জাতিক সড়কের প্রায় ১০০ মিটারজুড়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ৪৫০ পরিবার। পানিবন্দী মানুষদের জন্য উপজেলা প্রশাসন ১১টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করেছে। এখন পর্যন্ত ১৩টি পরিবারের প্রায় ৫০ জন এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।সোমবার (২ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা ৩৬ সেন্টিমিটার কমেছে। রোববার বিকেলে সীমান্তঘেঁষা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের অন্তত ৮-১০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে সৃষ্ট বন্যায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর, আব্দুল্লাহপুর, রহিমপুর, বঙ্গেরচর, বীরচন্দ্রপুর, সাহেবনগর, মোগড়া ইউনিয়নের আওড়ারচর, সেনারবাদী, ধাতুরপহেলা, বাউতলা, উমেদপুর, আদমপুর, রাজেন্দ্রপুর, ছয়গড়িয়া, জয়নগর, খলাপাড়া এবং মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ইটনা, আইড়লসহ অন্তত ১৮-১৯টি গ্রামের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে এসব এলাকার ৪ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এবং গ্রামীণ সড়ক প্লাবিত হওয়ায় যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আকস্মিক বন্যায় ৬১ হেক্টর কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে আউশ ধানের চারা, শাকসবজি, আদা, হলুদ এবং পুষ্টি বাগান। আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি নেছার উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, 'হঠাৎ বন্যায় বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। সিএন্ডএফ অফিসে পানি ঢুকে গেছে, কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তবুও বিকল্প উপায়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। পানি আরও বাড়লে বন্দর কার্যক্রম চালু রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।'মোগড়া ইউনিয়ন প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার প্রকৌশলী মো. শামিম আলম বলেন, 'মোগড়া ইউনিয়নের ৯টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। আমরা তাদের খোঁজখবর রাখছি।'আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জি. এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, 'সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৮–১৯টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং প্রায় ৪৫০ পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। চালু হয়েছে ১১টি আশ্রয়কেন্দ্র। যেখানে এখন পর্যন্ত ৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাদেরকে চাল, ডাল, মসলা, মুড়িসহ শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।'এ ব্যাপারে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, 'গত ২৪ ঘণ্টায় পানি ৩৬ সেন্টিমিটার কমেছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।' আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান বলেন, 'বন্যার মধ্যেও বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। সোমবার সকালে ৬টি ট্রাকে প্রায় ২৫ মেট্রিক টন মাছ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।'ভোরের আকাশ/জাআ
অতিভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে মৌলভীবাজারে আগাম বন্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়া কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিখড়িয়া এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)'র বাধায় মনু নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাধের কাজ আটকে ছিলো। সেই পুরাতন ভাঙন দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।জেলার ৭ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন এপর্যন্ত আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানকার নদনদীও বিপজ্জনক রূপ নিয়েছে। ফুঁসে উঠেছে হাকালুকি হাওরসহ মনু সোনাই ফানাই জুড়ী কন্টিনালা নদী।মৌলভীবাজার-শমসেরনগর সড়কের শিমুলতলা মাতারকাপন এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এই সড়কে মাতারকাপন এলাকায় সড়কে কোমর পর্যন্ত পানি।এদিকে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় মনু নদীর পানি মনু রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে কমছে। তবে মৌলভীবাজার শহর পয়েন্টে এখনো বাড়ছে।সোমবার বিকেল ৩ টায় (এ রিপোর্ট লেখার সময়) মনু নদীর পানি মৌলভীবাজার শহর পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ও মনু রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্ট বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। এছাড়া জুড়ী নদীর পানি বিপদ সীমার ১শ ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।সড়ক বিভাগ ব্রিজের সংযোগ সড়কের শালিকা এলাকায় একটি কালভার্টের জন্য রাস্তা কেটেছিলো। মনু নদীর পানি বেড়ে তা ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছিলো। স্থানীয়দের নিয়ে ঠিকাদারের সহযোগিতায় তা মেরামত করা হয়েছে।মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজউদ্দিন জানান, অতি ভারী বর্ষণে আমাদের ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টি ইউনিয়ন আংশিক আক্রান্ত হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে এসব ইউনিয়নে ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি। আরও যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী মজুদ আছে।এছাড়া সোমবার রাতে মৌলভীবাজার পৌরসভার বরহাট এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের পক্ষে সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বলকুলাউড়া পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, কুলাউড়া পৌরসভার পূর্বদিকে গোগালীর বাঁধ ভেঙে পৌরসভার ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জয়পাশ উত্তর ও দক্ষিণ এবং দানাপুর গ্রাম প্লাবিত হয়। আমরা জয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দিলে সেখানে ৬টি পরিবার আশ্রয় নেয়। পরে ওই ৬ পরিবারসহ ২০টি বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ১৪ কেজি করে চাল ডাল আলু ও শুকনো খাবারসহ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, বড়লেখা শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পর রবিবার রাতে ২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। তবে কোনো পরিবার এখনো এসব আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেনি। আমরা এ পর্যন্ত ১৪৪ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করেছি।ভোরের আকাশ/জাআ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় ৫ লাখ টাকার রিং ও কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে বিনষ্ট করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।সোমবার (২ জুন) সকালে উপজেলা মৎস্য অফিসের আয়োজনে নাসিরনগর উপজেলার হাওর অধ্যুষিত অঞ্চল টেকানগরে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ অনুসারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।এ সময় ১০৫টি রিং জাল (৫০৫০ মিটার) যার আনুমানিক মূল্য ৫ লক্ষ টাকা এবং ২০০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে তা জনসম্মুখে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী রবিউস সারোয়ার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, পুলিশ ও মৎস্য দপ্তরের স্টাফসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। মৎস্য অফিসার ফাহিমুল আরেফীন জানান, দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কারেন্ট জাল ও রিং জালের কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।ভোরের আকাশ/জাআ
গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার বিকালে শ্রীপুর উপজেলা সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিষ্টার সজিব আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহজাহান ফকির, শ্রীপুর থানার ওসি এম এ বারিক, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বেপারি,পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফা খাতুন, ইউসিসি লি: এর সাবেক সভাপতি আবদুল হান্নান সজল, কেন্দ্রীয় কৃষকদল নেতা মাসুদ আলম,প্রমুখ।সভায় এসএম মাহফুল হাসান হান্নান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন।ভোরের আকাশ/এসএইচ