ছবি: ভোরের আকাশ
গাজীপুরের শ্রীপুরে কাঁচা চামড়া গলিয়ে আঠা তৈরির ফলে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।ব্যবহৃত কাঁচামাল এবং বর্জ্যে নষ্ট হচ্ছে জমির ফসল।
এমন অভিযোগ উপজেলার বরমি ইউনিয়নে কাশিজলি গ্রামের কাওরাইদ সাতখামাইর আঞ্চলিক সড়কের পাশে জনবসতিপূর্ণ এলাকার মানুষজনের।
অতিমুনাফা লোভী শাখাওয়াত নামের এক ব্যক্তি কোন সরকারি অনুমতি ছাড়াই গরু, মহিষ ও ছগলের কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়া করে আঠা তৈরি করছেন, এতে করে এই এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে।
এলাকার কয়েকজন কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সাখাওয়াত দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকার মধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঁচা চামড়া এনে চুল্লিতে গলিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে আঠা তৈরি করে। এতে এলাকার আশপাশে কাঁচা চামড়া পুড়ানোর দুর্গন্ধে শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মহিলাদের শ্বাসকষ্ট, বমি সহ নানা রকম অসুস্থতা দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া কাঁচা চামড়ার পঁচা গন্ধে আশপাশের মানুষজন এলাকায় থাকতে পারছে না। চামড়া গলিয়ে আঠা তৈরীর সময় ব্যবহৃত রাসায়নিক জমিতে পরে নষ্ট হয়ে হচ্ছে ফসল। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চান এলাকাবাসী।
কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সাখাওয়াত সংশ্লিষ্ট সকলকে মেনেজ করে চলেন বলে তার ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে চায় না জানান এক কৃষক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের শ্রীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি ও পরিবেশ আন্দোলনের নেতা সাঈদ চৌধুরী বলেন, চামড়ার বর্জ্য এবং রাসায়নিক পদার্থের কারণে পানি ও মাটি দূষিত হয়, যা একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। চামড়া প্রক্রিয়াকরণে বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা বর্জ্যের সাথে মিশে পরিবেশকে দূষিত করে। চামড়া পচন ও গলানোর সময় উৎপন্ন দুর্গন্ধ এবং বায়ুতে রাসায়নিক কণা ছড়িয়ে বায়ু দূষণ ঘটায়।
চামড়ার বর্জ্য মাটিতে মিশে মাটির গুনগুন ধ্বংস করে এবং পানিতে মিশে জলজ বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি করে, যা স্থানীয় জীববৈচিত্র্যকেও প্রভাবিত করে। দূষিত পানি ও বায়ু মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, যা বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। এই সমস্যা মোকাবেলার জন্য জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে চামড়া থেকে আঠা তৈরি নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার। পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দূষণ কমানো সম্ভব।
কাঁচা চামড়া থেকে আঠা প্রস্তুতকারক শাখাওয়াত বলেন, আমি ছয় বছর ধরে এ ব্যবসা করছি, শ্রীপুরে সবার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক, একটু গন্ধ তো হবেই, সবাই মানিয়ে নিয়েছে। তাছাড়া আমার চামড়ার পানিতে যে সকল কৃষকের ফসলের জমি নষ্ট হচ্ছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেই।
এবিষয় জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্যারিস্টার সজিব আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই, তাছাড়া কেউ অভিযোগও করেনি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
ধামরাই সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম। এর আগে, দুপুরের দিকে সাভারের নবীনগরের একটি আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল ও কলেজ গেটের সামনে নির্বিচারে গুলি করা হয়। এসময় কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ (১৮) মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন দিন পর ৮ আগস্ট সকালে তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় নিহত সাদের নানা আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট স্থানীয় সাবেক এমপি বেনজীর আহমদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৮২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আরও ৮০-৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। গ্রেপ্তাররা এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মামলার পর থেকে তারা পলাতক ছিলেন।ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও ধানের শীষের পক্ষে সুনামগঞ্জে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে শহরের পুরাতন বাসস্টেশন এলাকায় দলের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এর আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে হাজার হাজার নারী-পুরুষ সমাবেশস্থলে এসে মিলিত হন। এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল এর সমর্থনে মুহূর্মুহু শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল। পরে একটি বিশাল মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি লুৎফা আনোয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফেজা ফেরদৌস লিপনের সঞ্চালনায় নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ সদর-৪ আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল।সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আকবর আলী, আ ত ম মিসবাহ, এড. মাসুক আলম, এড. শেরেনুর আলী, মো. রেজাউল হক, আবুল কালাম আজাদ, নজরুল ইসলাম, মো. ফুল মিয়া, সদর বিএনপির আহবায়ক ফারুক আহমদ লিলু, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, জেলা যুবদলের সহসভাপতি সুহেল আহমদ, কামরুল হাসান রাজু, পৌর বিএনপির আহবায়ক সাইফুল্লাহ হাসান জুনেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুর্শেদ আলম, সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খাদিজা কলি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাক রুমি বেগম, রুনা আক্তার, প্রচার সম্পাদক মনিরা আক্তার লিজা, যুগ্ম সম্পাদক লায়লা বেগম, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সুলতানা আহমদ মণি,সদর উপজেলা মহিলা বিএনপির সভাপতি আফসানা রহমান এলসি, সাধারণ সম্পাদক মুর্শেদা উদ্দিন, পৌর বিএনপি মহিলা দলের সভাপতি সাবরিনা জেনি, সাধারণ সম্পাদক মার্জিয়া বেগম, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা মহিলা বিএনপি নেত্রী নাজমা আক্তার, রহিমা বেগম, সুফিয়া আক্তার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মুনাজ্জির হোসেন, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম আহবায়ক মো. সোহেল মিয়া, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন, মমিনুল হক কালার চাঁন, শাহজাহান মিয়া প্রমুখ।সমাবেশে নারী নেত্রীরা দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভপুর-৪ আসনে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হলে অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল এর বিকল্প নেই। দলের দুঃসময়ের কাণ্ডারি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবি জানান তাঁরা।ভোরের আকাশ/জাআ
সারাদেশের সঙ্গে একযোগে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত হলো উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল–২০২৫। এবারের ফলাফলে চাঁদপুর জেলার দুটি প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ ও চাঁদপুর সরকারি কলেজ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।সর্বাধিক জিপিএ-৫ পেয়েছে মহিলা কলেজে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ এবার জেলায় সর্বাধিক জিপিএ-৫ অর্জনের মাধ্যমে শীর্ষস্থান দখল করেছে।মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান-তিন বিভাগেই শিক্ষার্থীরা প্রশংসনীয় ফলাফল করেছে। মোট ৬৭৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এরমধ্যে ৭৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৭৮.৩২ শতাংশ।কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মাসুদুর রহমান বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল এটি। তবে আমরা আরও ভালো ফলের প্রত্যাশা করেছিলাম।”পাশের হারে শীর্ষে সরকারি কলেজ। অন্যদিকে, চাঁদপুর সরকারি কলেজ এবার জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ পাশের হার অর্জন করেছে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে মোট ৫৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়, যার মধ্যে ৪৯৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এদের মধ্যে ৭০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৯০.৯৬ শতাংশ, যা জেলায় সর্বোচ্চ।কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম আব্দুল মান্নান বলেন, “আমরা নিয়মিত ক্লাস, পরামর্শ ও প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। ফলাফল সন্তোষজনক হলেও লক্ষ্য ছিল শতভাগ ফলাফল অর্জন করা। আগামীতে শিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা আরও মনোযোগী হবো।”শিক্ষাঙ্গনে আগের মত নেই উৎসবের আমেজ। তবে সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পূর্বের বছরগুলোর মতো এবার ফলাফল ঘোষণার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তেমন উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যায়নি। দিনভর বিভিন্ন কলেজ ও মাদরাসা ঘুরে শিক্ষার্থীদের উল্লাস বা আনন্দ প্রকাশের দৃশ্যও অনুপস্থিত ছিল।ভোরের আকাশ/জাআ
সুনামগঞ্জ জেলার প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে জেলা প্রশাসন মেধা বৃত্তি যাচাই পরীক্ষা-২০২৫ উপলক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় সুনামগঞ্জ প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি) তাপস শীল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহন লাল দাস, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার দিপান্বিতা দেবী,জেলা শিক্ষা আফিসের সহকারি পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি নাসরিন আক্তার, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, দৈনিক মানবকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, শিক্ষক সুজিত কুমার দেব,আতাউর রহমান তারুকদার, শারমিন জাহান প্রমুখ।জেলা প্রশাসক বলেন, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বহুল আলোচিত ও কাঙ্ক্ষিত একটি বিষয়। উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের ভিত্তি স্থাপিত হয় প্রাথমিক পর্যায় থেকেই। সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এমনিতেই হাওর বেষ্টিত এ জেলা অনেক পিছিয়ে রয়েছে এবং প্রাথমিক শিক্ষায় এ জেলার অবস্থান পেছনের সারিতে। এ জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর হার ৫.৯৫। ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় গতিশীলতা আনয়ন ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের মেধা যাচাইয়ের নিমিত্ত জেলা প্রশাসন, সুনামগঞ্জ কর্তৃক জেলা প্রশাসন মেধা যাচাই পরীক্ষা-২০২৫ আয়োজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শান্তিগঞ্জ উপজেলায় পাইলট ভিত্তিতে এ মডেল বাস্তবায়িত হয়েছে এবং প্রাপ্ত ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন সংযোজন হয়েছে।সমগ্র জেলায় এ ধারণা ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষে আগামী ২৯ অক্টোবর-২০২৫ তারিখ সকাল ১০ টায় সুনামগঞ্জ জেলার ১৪৭৫ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সুনামগঞ্জ জেলার ১২ উপজেলার চতুর্থ শ্রেণিতে ৪১১৬৪ জন ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৩৫৩২১ জনসহ মোট ৭৬৪৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। ইতিমধ্যেই এ পরীক্ষা সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষে উপজেলা পর্যায়ে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ