ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মেজর গনি সড়কের পাশে সরকারি খাসজমি ও মধুমতী হাসপাতাল। এ হাসপাতালের উত্তর পাশেই খাসজমিতে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এগুলো দুর্গন্ধ ছড়িয়ে আশপাশের পরিবেশ দূষিত করছে। আবাসিক এলাকায় এ ধরনের দূষণ স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। লোকজন, পথচারী ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা দুর্গন্ধে নাকাল হচ্ছে প্রতিদিন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্দিষ্ট কোনো বর্জ্য ফেলার স্থান না থাকায় বাধ্য হয়ে লোকজন এখানে ময়লা ফেলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত এ জায়গাটি এক সময় সিএনজি স্টেশন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তৎকালীন ইউএনও সোহেল রানা এটি প্রস্তুত করেছিলেন। তবে পরে স্টেশনটি পূর্বের স্থানে স্থানান্তর করা হলে জায়গাটি খালি পড়ে থাকে। এরপর থেকেই এলাকাবাসী এখানে ময়লা ফেলতে শুরু করে। বর্তমানে এটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবুল বলেন, ‘আমার দোকান আলতাফ আলী মার্কেটে। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া করি। হাসপাতালের সামনে দিয়ে হাঁটার সময় এত দুর্গন্ধ লাগে যে বমি চলে আসে। মুখ-নাক ঢেকে কোনোরকমে পার হতে হয়।’
আরেক ব্যবসায়ী কামাল বলেন, ‘মধুমতী হাসপাতালের পাশেই এ ময়লার ভাগাড় এখন জনদুর্ভোগের কেন্দ্রবিন্দু। দুর্গন্ধে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বসবাস করা দিন দিন কষ্টকর হয়ে উঠছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।’
বাজারের কাঁচামালের ব্যবসায়ী আবু কালাম বলেন, ‘বিক্রির পর অবশিষ্ট বর্জ্য ফেলার কোনো নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়েই এখানে ফেলি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘জায়গাটি দীর্ঘদিন খালি পড়ে আছে। তাই আমরা এখানে ময়লা ফেলি। বিকল্প কোনো ডাম্পিং জায়গা না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শেখ মো. হাসিবুর রেজা বলেন, ‘দুর্গন্ধের ফলে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাড়তে পারে শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এটি খুবই ক্ষতিকর। তাই দ্রুত এ বর্জ্য অপসারণ করা প্রয়োজন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা জাহান বলেন, ‘বাজার পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কথা বলবো যাতে সরকারি খাস জায়গায় কেউ ময়লা না ফেলে। এ জায়গায় ময়লা ফেলার কোনো এখতিয়ার কারো নেই। জনগণকে সচেতন করতে শিগগিরই সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে।’
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ভারতের ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশি নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়রা। নিহতরা হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।৫৫ বিজিবি মিডিয়া সেল থেকে বুধবার রাতের দিকে এ ঘটনায় নিশ্চিত করা হয়। নিহতরা হলেন আলীনগর গ্রামের জুয়েল মিয়া (৩২), বাসুল্লা গ্রামের পন্ডিত মিয়া (৪৫) এবং কবিলাশপুর গ্রামের সজল মিয়া (২০)।ত্রিপুরার খোয়াই জেলার স্থানীয় সাংবাদিক আশীষ চক্রবর্তী জানান, বুধবার সকালে পাহাড়ি আদিবাসীরা তিন বাংলাদেশিকে খোয়াই থানার বিদ্যাবিল এলাকায় হত্যা করে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়।চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তারেকুর রহমান বলেন, বিজিবি নিহতদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে ভারতে পাঠিয়েছে। প্রাপ্ত লাশের ছবি দেখে জুয়েল, পন্ডিত ও সজলকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।৫৫ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিলুর রহমান ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের প্রক্রিয়া চলছে।বিজিবি জানায়, দুই-তিন দিন আগে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সীমান্তবর্তী বিদ্যাবিল এলাকায় তিনজন বাংলাদেশি গোপনে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই থানাধীন কারেঙ্গিছড়া এলাকায় প্রবেশ করে। এই স্থান সীমান্তের শূন্যলাইন থেকে প্রায় ৪-৫ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে এবং ৭০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিয়ন্ত্রণাধীন।স্থানীয় ভারতীয়রা রাতের অন্ধকারে গরু চুরির আশঙ্কায় তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় তিনজন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। তাদের মরদেহ বর্তমানে ভারতের সাম্পাহার থানায় রাখা হয়েছে।ভোরের আকাশ//হর
সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে ও ভবিষ্যৎ পথনির্দেশনা দিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও নবীনবরণ অনুষ্ঠান ২০২৫” অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় মুন্সীগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলেজ শিবির।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের এমপি প্রার্থী প্রফেসর আবু ইউসুফ।নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নসিহতমূলক বক্তব্য রাখেন সরকারি হরগঙ্গা কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি শাহীন আহমেদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা শিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি আল আমিন ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।অনুষ্ঠানে নবজাগরণ শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক পর্বে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে মিলনায়তন। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন থানা সেক্রেটারি আজিজুল হাকিম এবং সভাপতিত্ব করেন কলেজ শিবির সভাপতি আব্দুল্লাহ মুজাহিদ।শেষে বই পাঠ প্রতিযোগিতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।ভোরের আকাশ//হর
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে টাঙ্গাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযান চলাকালে ঢাকা-যমুনাসেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের রাবনা এলাকায় অনুমোদিত সীমার বাইরে শব্দ উৎপন্নকারী হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করায় চারটি গাড়ি থেকে মোট পাঁচটি হর্ন জব্দ করা হয়। পাশাপাশি দায়ীদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নওশাদ আলম এবং মোছা. সুমনা আক্তার। আদালতে প্রসিকিউটরের দায়িত্বে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক বিপ্লব কুমার সূত্রধর।অভিযান চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের সদস্যরা।ভোরের আকাশ//হর
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা এলাকায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নারীসহ ৩ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ১২ জন। হতাহতরা সবাই বাসযাত্রী।বুধবার বিকেল ৩ টার দিকে এ দুর্ঘনাটি ঘটে। হতাহতদের নাম পরিচয় জানা যাইনি।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জামালপুরের তারাকান্দি থেকে ছেড়ে আসা ভাই ভাই পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিলো। বাসটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাঐখোলা এলাকায় পৌছালে ঢাকাগামী একটি ট্রাককে অতিক্রম করার চেষ্টা করে। এ সময় ঢাকাগামী রড ভর্তি অন্য একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে এক নারী নিহত হয়।এ সময় পুলিশ আহত ১৪ জনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই জনকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।বাসাইল থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, নিহত ওই তিন বাস যাত্রীর পরিচয় সনাক্তের চেষ্ট চলছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্থান্তর করা হবে।ভোরের আকাশ//হ.র