সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৫ ০১:৪৯ পিএম
সীতাকুণ্ডে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, যুবদল কর্মী নিহত
সীতাকুণ্ড বিএনপির এক গ্রুপের হামলায় অপর গ্রুপের যুবদল কর্মী কলিম উদ্দিন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে চমেক হাসপাতালে গুরুতরাবস্থায় নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। নিহত কলিম উদ্দিন উপজেলার ২নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন ছোট দারোগাহাট বাজারের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় নিহত কলিম উদ্দিন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় আহত দু‘জন হলেন সাদ্দাম হোসেন ও সেলিম উদ্দিন। তারা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়কে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। তবে পুলিশের দাবি, সহস্রধারা ঝর্ণার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে।
প্রসঙ্গত চলতি বছর সহস্রধারা ঝর্ণার ইজারা নেন জিয়া মঞ্চের চট্টগ্রাম (উত্তর) জেলা কমিটির সভাপতি ওহিদুল ইসলাম চৌধুরী। এ ঘটনায় হতাহত তিনজনই তার অনুসারী। এ বিষয়ে ওহিদুল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগ করেন, বিএনপি কর্মী সাখাওয়াত হোসেন দলবল নিয়ে কলিম উদ্দিনসহ ৩ জনের ওপর হামলা চালায়। হামলায় কলিম উদ্দিন নিহত হন। সাখাওয়াত হোসেন‘কে মাদক বেচাকেনায় বাধা দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তবে ওহিদুল ইসলামের দাবি, সহস্রধারা ঝর্ণাটি তিনি ইজারা নিয়েছেন। সুতরাং সহস্রধারা ঝর্ণার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। ইসমাইল হোসাইনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বেশ ভালো। ওহিদুলের সঙ্গে কোনো বিরোধ থাকার বিষয় নেই। এ বিষয়ে যুবদল নেতা ইসমাইল হোসাইন বলেন, সহস্রধারা ঝর্ণার হ্রদে পর্যটকদের জন্য কিছু নৌকা আছে। সেগুলোর দেখাশোনা করতেন সাখাওয়াত হোসেন।
সম্প্রতি ঝর্ণাটির ইজারা ওহিদুল ইসলাম চৌধুরী পাওয়ার পর সেখান থেকে নৌকা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন সাখাওয়াত। বিষয়টি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তবে সাখাওয়াত হোসেন‘র মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি। সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, সহস্রধারা ঝর্ণার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুবদলের চট্টগ্রাম (উত্তর) জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসাইনের সঙ্গে ওহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরোধ চলছে। এ ঝর্ণার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে এ হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা