প্রতীকী ছবি
রাজধানীর মুগদায় ছিনতাই করার সময় গণপিটুনিতে আহত এক যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার নাম আলমিন (২০)।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে (ওসেক) মারা যান তিনি। এর আগে বুধবার (২ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে মুগদা হাসপাতালের বিপরীত পাশে শান্ত ফিলিং স্টেশনের সামনের রাস্তায় ছিনতাই করার সময় আশপাশের লোকজন গণপিটুনি দেয় তাকে।
মুগদা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার রাত আনুমানিক রাত পৌনে ১০টার দিকে সময় মুগদা হাসপাতালের বিপরীত পাশে শান্ত ফিলিং স্টেশন এর সামনে ছিনতাই করার চেষ্টা করে ওই যুবক। এসময় লোকজন তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকালে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, নিহতের নাম আল আমিন, তবে বিস্তারিত ঠিকানা জানা যায়নি। ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই যুবকের বিস্তারিত ঠিকানা জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
রাজধানীর মুগদায় ছিনতাই করার সময় গণপিটুনিতে আহত এক যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার নাম আলমিন (২০)।বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে (ওসেক) মারা যান তিনি। এর আগে বুধবার (২ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে মুগদা হাসপাতালের বিপরীত পাশে শান্ত ফিলিং স্টেশনের সামনের রাস্তায় ছিনতাই করার সময় আশপাশের লোকজন গণপিটুনি দেয় তাকে।মুগদা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার রাত আনুমানিক রাত পৌনে ১০টার দিকে সময় মুগদা হাসপাতালের বিপরীত পাশে শান্ত ফিলিং স্টেশন এর সামনে ছিনতাই করার চেষ্টা করে ওই যুবক। এসময় লোকজন তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকালে মারা যায়।তিনি আরও বলেন, নিহতের নাম আল আমিন, তবে বিস্তারিত ঠিকানা জানা যায়নি। ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই যুবকের বিস্তারিত ঠিকানা জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
বিএনএম নেতা ড. কামরুল আহসানের প্রতারণায় অনেকে এখন সর্বস্বহারা। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পারপাস রক্ষায় গত সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনএমে যোগ দেয়া কামরুল বর্তমান সরকারের আমলেও যেন বহাল তবিয়তে। সরকারের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করে তা নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে নিজেকে জাহির করার চেষ্টাও করছেন তিনি। সম্প্রতি তার প্রতারণা নিয়ে প্রবাসী একজন সাংবাদিক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তার প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকে এখন সর্বস্বহারা। বিদেশে লোক পাঠানো বা কোম্পানীর শেয়ার দেয়ার কথা বলেও কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরও কামরুল এখনো বহাল তবিয়তে থাকায় ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তার নামে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট একটি চাঁদাবাজি মামলাও রয়েছে।একাধিক ভুক্তভোগী বলছেন, গত নির্বাচনের আগে বিএনএমে যোগ দিয়ে তিনি বিএনপি নেতাদেরও বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগের পারপাস রক্ষায় তিনি সক্রিয় ছিলেন। বিগত সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও প্রভাবশালীর সঙ্গে ছবি বা ভিডিও দেখিয়ে তিনি শাসাতেন ভুক্তভোগীদের। ভুক্তভোগীরা বলছেন, প্রতারণার সব কৌশল জানা আছে কামরুলের।এ ব্যাপারে ড. কামরুল আহসান দৈনিক ভোরের আকাশ কে বলেছেন, তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। দেশের ফেরার পর তিনি সরাসরি কথা বলবেন। জানা গেছে, বিগত সংসদ নির্বাচনের আগে কার্যত বিএনপিকে বিভক্ত বা বেকায়দায় ফেলতেই আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠন করা হয় বাংলাদেশে ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট (বিএনএম)। রাতারাতি নিবন্ধন লাভ করে ‘কিংস পার্টি’ নামে পরিচিতি পাওয়া দলটির অন্যতম নেতা হিসেবে আর্বিভূত হন ড. কামরুল আহসান। তিনি দলটির মূখ্য সমন্বয়ক বনে যান। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বাগিয়ে ভোটে আনতে দলটির সঙ্গে যুক্ত বিশেষ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত যে কয়েকজন কাজ করতেন তার মধ্যে ড. কামরুল আহসান ছিলেন অন্যতম। তিনি বিএনএম এর বর্তমান কো-চেয়ারম্যান বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান শাহ মো. আবু জাফর।গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কামরুল সরকারের আনুকূল্যে পেতে চেষ্টা করছেন। ড. কামরুল আহসান এখন নিয়মিতই সরকারের দুই একজন উপদেষ্টার কার্যালয়ে যাওয়া আসা করছেন। সেসব উপদেষ্টার সঙ্গে তার ব্যাপক সখ্যতা বলেও তিনি বিভিন্ন মহলে জাহির করছেন।এছাড়া নিজের ফেসবুকে কখনো প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক, কখনো বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে স্মৃতিচারণ, আবার কখনো রংপুরের শহীদ আবু সাঈদের ভাইয়ের সঙ্গে তোলা ছবি শেয়ার করছেন। সম্প্রতি প্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম কয়েকটি ছবিসহ কামরুলের এ ধরণের তৎপরতা নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এরপর থেকে ভুক্তভোগীরা কামরুলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।ভুক্তভোগীদের মধ্যে রাজধানীর শান্তিনগরের একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও নূর আহমেদ খোকন দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, তার এক পরিচিতজনের মাধ্যমে ২০০৯ সালে ড. কামরুলের সঙ্গে তার পরিচয়ের পর সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর ড. কামরুল তার মালিকাধীন ‘কামরুল এগ্রো’ কেনার প্রস্তাব দেন। কামরুল তার এগ্রো ফার্মের মাধ্যমে গরুর মাংস প্রত্যন্ত এলাকা থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন সুপার শপে দিতো। চুক্তি হওয়ার পর টাকা পরিশোধে প্রতিষ্ঠানের মালিকানাও তিনি ছেড়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন কামরুল।২০১০ সালে আমি ও তানভীর ফয়সালসহ কয়েকজন মিলে ‘ভিভিড’ নামের প্রতিষ্ঠান খুলে সেখান ৮/১০ জনের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা কামরুলকে দেই তার কোম্পানি কিনতে। আমাদের টাকার মধ্যে রিজিয়া বেগম নামের একজন অসহায় মহিলার ভাইজির ডিভোর্সের লাখ টাকা টাকাও ছিল। যা দিয়ে তিনি কোনোরকম সংসার চালাতেন। এ ধরণের লোকের টাকাও দেয়া হয় কামরুলকে। বিভিন্ন স্থানের মাংস কালেকশন করে ঢাকার সাভারে সেটি প্রসেস করে আমরা সুপার শপে দেয়া শুরু করি। কিন্তু ব্যবসা যুক্ত হওয়ার পরপরই কামরুল নয় ছয় শুরু করেন।তিনি তার কোম্পানি আমাদেরকে বুঝে না দিয়ে নানান কথা বার্তা বলা শুরু করেন। সুপার শপ থেকে বিলগুলো কামরুল এগ্রোর নামে হতো। কিন্তু কামরুল আমাদেরকে বিল আর দেয় না। সুপার শপ বিল দিচ্ছে না এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে তিনি বিল তুলে খেয়ে ফেলতে শুরু করেন। অথচ আমরা স্বপ্নসহ শপে খোঁজ নিয়ে দেখি তারা সব বিল দিয়ে দিয়েছে। প্রতারণা শিকার হয়েছি বুঝতে পারলে ২০১১ সালের আগস্টের পর তার সঙ্গে আমাদের বিরোধ প্রকট আকার ধারণ করে।নুর আহমেদ খোকন বলেন, টাকার জন্যে চাপ দিলে কামরুল আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ শুরু করেন। অন্যান্য পার্টনারদের সঙ্গে আমার নামে মিথ্যা কথা বলা শুরু করেন। যেকারণে আমাকে অনেকে ভুল বোঝেন। একপর্যায়ে তিনি প্রায় দুই বছর পর মাত্র ৫০ লাখ টাকার চেক দেন। সেখান থেকে ৫ লাখ টাকার চেক পাশ হলেও আর টাকা পাওয়া যায়নি। তখন সবাই বুঝতে পারে যে আসলে কামরুল একটা ‘বাটপার’।এদিকে, নিজের শ্বশুরবাড়ি ও আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসায় নেমে তিনি পড়েন চরম বেকায়দায়। দেনার চাপে তিনি মানসিক বিকারগ্রস্থ হয়ে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর শেষ পর্যন্ত তিনি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করলে পরবর্তীতে সেটি বেশ সাফল্য পেয়েছে। এছাড়া পরবর্তীতে ‘ভিভিড’ কোম্পানটিও তারা দাঁড় করিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, কামরুল আহসান যে কত বড় মাপের ‘প্রতারক’ সেটি কেউ কাছ থেকে না দেখলে বুঝবেন না। তিনি আমাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় মাঝে মধ্যে র্যাবের পোশাক পরিহিত ব্যক্তিদের ও গাড়ি সঙ্গে আনতেন। জিজ্ঞাসা করলে বলতেন, তাদের ‘স্যার’ তিনি। টাকা চাইতে গেলে সাবেক আইজি তার পরিচিত। সরকারের লোকজন তার আত্মীয় স্বজন বলেও জাহির করতেন। দেখাতেন প্রভাবশালী বিভিন্নজনের সঙ্গে তার ছবি ও ভিডিও। তিনি কামরুল আহসানের বিচার চেয়েছেন। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী কামরুল এখনো কিভাবে ঘুরে বেড়ান?কামরুলের প্রতারণার শিকার আরেক উদ্যোক্ত তানভীর ফয়সাল দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, ড. কামরুল আহসানের প্রতারণায় তিনি প্রথমেই হোঁচট খেয়েছেন। তিনি ও নূর আহমেদ খোকনসহ কয়েকজন একইসঙ্গে চলাফেরা করতেন। সরল বিশ্বাসে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নে টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার তিনি। ড. কামরুলের প্রতারণায় জীবনের কয়েকটি বছর চোখের পানি সঙ্গে নিয়েই কটিয়েছেন।তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের তার ছবি রয়েছে। যেটি দেখিয়ে সবাইকে ভয়ে তটস্থ রাখতেন। এছাড়া ফ্যাক্টরি করার কথা বলে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রাইম ব্যাংকের সাভার শাখা থেকে টাকা নিয়ে তিনি পরিশোধ করেননি। তাকে লোক দেয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তারাও বেকায়দায়। ওই ফ্যাক্টরির টেকনিক্যাল সাইডের লোকজন দীর্ঘদিন টাকা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তারা শ্রম আইনে মামলাও করেছেন কামরুলের বিরুদ্ধে। একটি স্কুল করেছিলেন সেটি চলে না। সেখানেও নানান ঝামেলা রয়েছে। ইদানিং দেখঝি বড় বড় ‘শেখ’দের সঙ্গে তিনি বৈঠক করছেন। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের লোকজনের সঙ্গেও ভিডিও বা স্থিরচিত্র ছাড়ছেন।এদিকে, তুরস্ক ও রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশে জনশক্তি রপ্তানির কথা বলেও ড. কামরুল আহসান বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মাসাৎ করেছেন। কামরুল আহসান বিদেশে লোক পাঠানোর কথা বলে টাকা নিয়েছেন এমন তিনজন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর সন্ধান পেয়েছে দৈনিক ভোরের আকাশ। তাদের মধ্যে একজনের অফিস রাজধানীর বিজয়নগরের আল-রাজী কমপ্লেক্সে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক দৈনিক ভোরের আকাশের এই প্রতিবেদককে বলেছন, তিনটি দেশে লোক পাঠানোর কথা বলে কামরুল নানান কৌশলে তার কাছ থেকে কোটি টাকার উপরে নিয়েছেন। কিন্তু কাউকে তিনি বিদেশে পাঠাতে পারেননি।এছাড়াও তার মতো ভুক্তভোগী আরো দুইজনের কথা বলেছেন তিনি। তার দাবি, যাদের কাছ থেকে তারা টাকা নিয়ে আমি কামরুলকে দিয়েছি তারা এখন আমাকে নানাভাবে চাপে রেখেছেন। কারণ, তারা তো আমার কোম্পানি ও অফিস চেনে। এখনো কামরুলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছেন দাবি করে তিনি জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা না দিলে সবাই মিলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো। তখন আমরা প্রকাশ্যে কথা বলবো।তিনি জানান, কামরুল বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।রাজধানীর পল্টন লেনের ইনার সার্কুলার (ভিআইপি) রোডস্থ একটি ভবনের অফিস রয়েছে এমন একজন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জানান, তার কাছ থেকেও কামরুল বিদেশে লোক পাঠানোর কথা বলে টাকা নিয়েছেন। তার অফিস থেকে সব কাজ সম্পন্ন করে তিনি কামরুলের অফিসে টাকা পাঠিয়েছেন। মূলত পাবলিকের সঙ্গে আমরা ডিল করেছি। ফলে, সব চাপ আমাদের উপর। পাবলিক তো কামরুলকে চেনেন না। এবারের ঈদের আগের স্ত্রীর ব্যবহৃত প্রাইভেট করার বিক্রি করে মানুষকে কিছু কিছু টাকা দিয়েছি। কামরুল এখনো ফোন তেমন একটা রিসিভও করেন না। কল দেয়ার কয়েকদিন পর ব্যাক করে ফের নানান প্রতারণামূলক আশ্বাস দেন। কয়েকািদনের মধ্যে তার দেশে আসার কথা রয়েছে। এবার ফয়সালা না করলে ব্যবস্থা নেবো। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। ড. কামরুলের নামে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা রয়েছে। ২৬/০২/২০২৫ তারিখের ওই মামলায় চাঁদাবাজির ওই মামলায় কামরুলকে ১৩ নং আসামি আসামি করা হয়েছে। সেখানে তাকে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দেয়া হয়েছে।এদিকে, বিএনএম গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সারোয়ার হোসেন। তিনি বলেন দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, আমি ও মেজর (অব.) মো. হানিফসহ কয়েকজন মিলে একটা ভালো উদ্দেশ্যে এই সংগঠনটি করতে চেয়েছিলাম। এটি আওয়ামী লীগ ছিনতাই করে নিলে আমি বের হয়ে আসি।ছিনতাইয়ের পর উদ্যেক্তাদের বাদ দিয়ে মো. শাহজাহান মহাসচিব ও কামরুল আহসান মুখ্য সমন্বয়ক বনে গিয়ে তারা সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিগত সরকারের পারপাস রক্ষায় কাজ করেছেন। কামরুল প্রকৃতপক্ষে একজন প্রতারক বলেও জানান তিনি। তার বিরুদ্ধে নানান প্রতারণা অভিযোগ ও থানায় চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। কামরুল আহসানের ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এম সারোয়ার হোসেন। কামরুলের প্রতারণায় বিষয়ে কেউ মামলা করতে চাইলে বিনা খরচে আইনি সহায়তা দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।এদিকে, গত সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনএম’র দলীয় ফোরামে বৈঠকের একাধিক ভিডিও রয়েছে কামরুলের। পাশাপাশি বিগত সরকারের একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে দেশ ও বিদেশে কামরুলের বৈঠকের ভিডিও রয়েছে। বিশেষ করে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির হোতা ও বিদেশে টাকা পাচারকারী পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নাফিস সরাফতের সঙ্গে দুবাইয়ে বৈঠক করেন।এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদের সঙ্গে কাতারে বৈঠক করেছেন তিনি। কামরুল নিজেকে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বন্ধু পরিচয় দিতেন। বিএনএম নির্বাচনের আগে গুলশানের যে অফিসটি ব্যবহার করেছে সেটি কামরুলের নিজের অফিস বলেও জানা গেছে। যেটি এখনো তিনি ব্যক্তিগত অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন।এ ব্যাপারে ড. কামরুল আহসানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। হোয়াটস অ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠালে তিনি বলেন, দৈনিক ভোরের আকাশ পত্রিকা সম্পর্কে আমি অবগত নয়। আমি এখন বিদেশে আছি। যেকোন বক্তব্য নিতে চাইলে আগামী সপ্তাহে সরাসরি আমার সাথে ঢাকায় দেখা করে কথা বলতে পারেন।অবশ্য কয়েকদিন আগে তিনি বিএনএম নিয়ে প্রকাশিত একটি রিপোর্টের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেছিলেন, কোনদিন বিএনএম এর সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। বিএনএম এর দলীয় ফোরামে বৈঠকের ভিডিওয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি পারসোনাল। তৎকালীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের পাশাপাশি ও ব্যবসায়ী নাফিস সরাফতের সঙ্গে বিদেশে সফরে ভিডিওর বিষয়ে তিনি বলেছেন, ব্যবসায়ী হিসেবে অনেক সময় দেশের জন্য ফান্ড আনতে কাজ করতে গিয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে হয়েছে। তবে, আমি কোনো দলের সদস্যও না।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনা (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার ফের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার এ আবেদন করেন। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হবে। ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।এর আগে গত ২৩ জুন নুরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পরে বুধবার রাজধানীর মগবাজার থেকে হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।গত ২২ জুন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উল্টো ‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি। পরবর্তীতে গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে এই মামলায়।মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওই তিন নির্বাচনে 'গায়েবী মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ঘটনার সাক্ষী সকল ভোট কেন্দ্র এলাকার ভোটাররা এবং ভোটারদের মধ্যে যারা ভোট প্রদান করতে বঞ্চিত হয়েছেন তারাসহ ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যরা। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে অনেক সৎ প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিংশ অফিসারসহ স্থানীয় লোকজনসহ আরো অন্যান্যরা ঘটনার সাক্ষী হবে। এছাড়া ব্যালট পেপারে যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃতভাবে তারা ভোট দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে উল্লেখিত ঘটনার সঠিক রহস্য তদন্তে সত্য উদঘাটিত হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক চিকিৎসক দম্পতির বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাত দল চিকিৎসক দম্পতিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ দেড় লাখ টাকা এবং ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। বৃহস্পতিবার রাতে সড়কে ডাকাতির সময় গাড়ী চাপায় এক ডাকাত নিহতসহ চার জনকে আটকের পর এ দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় জনমনে আতংক সৃষ্টি হয়েছে।শনিবার (২১ জুন) রাত ৩ টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আনসার টেপিরবাড়ি বাজারের (পশ্চিমে) চিকিৎসক মোর্শেদুল হক শরীফের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।চিকিৎসক মোর্শেদুল হক শরীফ জানান, রাত ৩ টার দিকে ১০/১২ জনের একদল ডাকাত মই দিয়ে দোতলার বারান্দায় উঠে। তাদের প্রত্যেকের হাতে অস্ত্র এবং মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। ডাকাতেরা বারান্দার দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে গৃহতর্কাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে তার মাথা কাঁথা দিয়ে ঢেকে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এসময় তার স্ত্রী মাওনা চৌরাস্তা আল রাজি হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক মৌসুমী আক্তার লিজাকেও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে মুঠোফোন এবং আলমারী ও ওয়ারড্রপের চাবি নিয়ে নেয়। পরে ডাকাতেরা ঘরের আলমিরার তালা ভেঙে নগদ দেড় লাখ টাকা এবং ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ ২০ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। ডাকাতেরা ওই বাড়ীতে প্রায় আধা ঘন্টা অবস্থান করে ডাকাতি করে চলে যায়। যাওয়ার সময় তারা পুলিশ এবং গণমাধ্যম কর্মীদেরকে ঘটনাটি জানাতে নিষেধ করে হুমকি দিয়ে যায়।শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, ৯৯৯ মাধ্যমে খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ চিকিৎসক দম্পতির বাড়ী পরিদর্শণ করেছে। তাদেরকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্ম দেওয়া হয়েছে। ডাকাতি রোধে এবং ডাকাতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।উল্লেখ গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বরমী ইউনিয়নে মাওনা বরমী আঞ্চলিক সড়কে চলন্ত গাড়ি আটকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের হামলায় এক সিএনজি চালক ও চলন্ত গাড়ি চাপায় ডাকাত দলের এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।ভোরের আকাশ/আজাসা