মহার্ঘ ভাতা নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
নতুন অর্থবছরে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা হবে, তবে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ নতুন অর্থবছরে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হবে। তবে কিছুটা সময় লাগবে।
মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, কত শতাংশ মহার্ঘভাতা দেওয়া হবে পরে জানানো হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জনতা ব্যাংক পিএলসি’র আরব আমিরাতের প্রধান নির্বাহীর কার্যালয় ও আবুধাবি শাখা স্থানান্তরিত নতুন ভবনে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে।গতকাল সোমবার এ উপলক্ষে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান ও গ্রাহক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জনতা ব্যাংক পিএলসি’র চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা ও কেক কেটে নতুন ভবনে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ।এ সময় উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের উপপ্রধান শাহনাজ আক্তার রানু, কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম এবং ইউএই জনতা ব্যাংক পিএলসি’র প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আবুধাবি রিজিওনাল ম্যানেজার শাহাদাত হোসেনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি, গ্রাহক সেবার মান ও প্রসার বৃদ্ধির পরামর্শ দেন।এ সময় জনতা ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমান আরব আমিরাতের বিভিন্ন স্থানে ১৩টি এটিএম বুথ স্থাপনের ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান আরব আমিরাতে জনতা ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং এবং মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা চালুর ঘোষণা প্রদান করেন। তিনি প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চট্টগ্রামে ম্যানেজার্স মিট শীর্ষক ব্যবসায়িক সভার আয়োজন করেছে শাখা-উপশাখায় দেশের বৃহত্তম ব্যাংক আইএফআইসি। আগ্রাবাদের স্থানীয় একটি মিলনায়তনে গতকাল সোমবার আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের চেয়রাম্যান মো. মেহমুদ হোসেন।অনুষ্ঠানে মো. মেহমুদ হোসেন ব্যাংকের কর্মীদের আশানুরূপ পারফরমেন্সের জন্য ধনব্যাদ জ্ঞাপন করেন এবং গ্রাহকদের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করার পরামর্শ প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা।এ সময় তিনি উত্তরোত্তর সাফল্য অর্জন করায় শাখা ব্যবস্থাপক ও কর্মীদের সাধুবাদ জানান এবং ২০২৫ এও এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অব ব্রাঞ্চ বিজনেস মো. রফিকুল ইসলাম। এ সময় বিভিন্ন ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ব্যাংকের চীফ ফাইন্যান্সসিয়াল অফিসার দিলিপ কুমার মণ্ডল।সবশেষে উপস্থিত ব্যাংকের কর্মীদের সঙ্গে প্রশ্ন-উত্তর পর্বের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দিনব্যাপী আয়োজিত এ সভার।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নতুন অর্থবছরে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা হবে, তবে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।মঙ্গলবার (১৩ মে) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ নতুন অর্থবছরে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হবে। তবে কিছুটা সময় লাগবে।মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কত শতাংশ মহার্ঘভাতা দেওয়া হবে পরে জানানো হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংকুচিত হচ্ছে দেশি-বিদেশি সব ধরনের বিনিয়োগ। কমছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। বাড়ছে বেকারত্ব। পুঁজিবাজার থেকেও বের হয়ে যাচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। দুর্বল শেয়ারবাজারে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। রক্তক্ষরণ হচ্ছে অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোতে। বিশ্লেষক থেকে ব্যবসায়ী, সবার একই কথা, স্থিতিশীল রাজনৈতি সরকার ছাড়া থামবে না এই রক্তক্ষরণ। কারণ, বর্তমান দোদুল্যমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় দেশি কিংবা বিদেশি, কেউই নতুন বিনিয়োগে আসবে না। নতুন রক্ত সঞ্চালন হবে না অর্থনীতিতে।দেশে বর্তমানে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ তলানিতে রয়েছে। এটি বোঝা যাচ্ছে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি থেকে। বর্তমানে ইতিহাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি। পাশাপাশি শিল্পের মূলধনি যন্ত্র আমদানিও নিম্নমুখী। এটিও ইঙ্গিত করছে বিনিয়োগ কমে যাওয়ার। একই অবস্থা বিরাজ করছে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। চলতি অর্থবছরের নয় মাসে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইয়ের প্রকৃত প্রবাহ কমেছে ২৬ শতাংশ।গত জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত এফডিআইয়ের প্রকৃত প্রবাহ ছিল ৮৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে প্রকৃত এফডিআই প্রবাহ ছিল ১১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এদিকে গত আগস্ট থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শেয়ারবাজার ছেড়েছেন ৭২১ জন বিদেশি বিনিয়োগকারী। সর্বত্র বিনিয়োগ কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে দেশের কর্মসংস্থানে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, ২০২৩ সালের চেয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে দেড় লাখ।অরাজনৈতিক সরকারের মেয়াদ প্রলম্বিত হলে দেশে বেকারত্ব আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা জানিয়ে অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থিতিশীল রাজনৈতি সরকার ছাড়া দেশি-বিদেশি কোনও বিনিয়োগই বাড়বে না। আর দেশি বিনিয়োগ না বাড়া পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগও আসবে না।বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ভোরের আকাশ’কে বলেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না ফেরা পর্যন্ত কোন ধরনের বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা নেই। রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল না হলে কেউই এখানে নতুন করে বিনিয়োগ করার মতো ঝুঁকি নেবেন না এটাই স্বাভাবিক। তারা মূলত এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য রাজনৈতিক সরকারের অপেক্ষায় রয়েছেন জানিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ পাল্টা প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের স্থানীয় বিনিয়োগকারীরাই বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না, এ পরিস্থিতিতে বিদেশিরা কীভাবে বিনিয়োগ করবেন?অর্থনীতি বিশ্লেষক মো. মাজেদুল হক ভোরের আকাশ’কে বলেন, কেউ যখন বিনিয়োগ করতে যান তখন সবার আগে ওই দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পর্যবেক্ষণ করেন। ওই দেশের সরকার কতটা স্থিতিশীল, সরকারের মেয়াদ কতদিন থাকবে, সরকার পরিবর্তন হলে বিদ্যমান নীতি পরিবর্তনের আশঙ্কা কতটুকু, সবকিছু বিবেচনায় নেন বিনিয়োগকারীরা। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে দেশি কিংবা বিদেশি, কেউই বড় কোনো নতুন বিনিয়োগে আসবে না এটাই অর্থনীতির জন্য ধ্রুব সত্য। পৃথিবীর সব দেশের জন্যই এই বিধান একই। অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার বিষয় বিনিয়োগকারীরা বিবেচনায় নিলেও সবার আগে দেখা হয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি। যে দেশের রাজনৈতিক সরকার যতটা স্থিতিশীল, ওই দেশে বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা তত বেশি।বর্তমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সার্বিকভাবে একটা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে সম্প্রতি সরকার বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এরপর পরিস্থিতি কী হয় তা দেখার জন্য সময় দিতে হবে।’কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উইকলি সিলেকটেড ইকোনমিক ইন্ডিকেটরসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাস জুলাই থেকে মার্চে মূলধনি যন্ত্র আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তি বা আমদানি বাবদ অর্থ পরিশোধ হয়েছে ১৫২ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছিল ২১৩ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের। অর্থাৎ মূলধনি যন্ত্র আমদানি কমেছে ২৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ।স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা জানিয়েছেন, দেশে অবস্থানরত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আলোচনায়ও বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখা যাচ্ছে না। এক স্থানীয় বিনিয়োগকারী গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলন নিয়ে এক রাষ্ট্রদূতের কাছে অভিমত জানতে চান। তার প্রশ্ন ছিল, ‘শেষ হওয়া বিনিয়োগ সম্মেলনে আপনার দেশ থেকে অনেক বিনিয়োগকারী অংশ নিয়েছিলেন, বিনিয়োগ বাস্তবায়নে তারা কত সময় নিতে পারেন?’ জবাবে সেই রাষ্ট্রদূত প্রথমেই বলেছেন, ‘রাজনৈতিক সরকার ছাড়া কোনো বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসবে না।’ বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়নি জানিয়ে সেই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এখনো মব হচ্ছে।’বর্তমান বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, লজিস্টিকসসহ বিনিয়োগ অবকাঠামোর সমস্যা এখনো রয়ে গেছে। বাংলাদেশের যখন এত সমস্যা তখন বিনিয়োগকারীর হাতে অনেক বিকল্প আছে, তারা ভিয়েতনামে যেতে পারেন, কম্বোডিয়ায় যেতে পারেন, এমনকি ইন্দোনেশিয়ায়ও যেতে পারেন। বাংলাদেশে কেন আসবেন? এখানে আসতে হলে সবদিক থেকে বাংলাদেশকে আকর্ষণীয় হতে হবে। আর এসব কিছুর ওপরে আছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার নিশ্চয়তা।ভোরের আকাশ/এসএইচ