দেশে স্টারলিংকের যাত্রা শুরু হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
দেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২০ মে) প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানান।
তিনি বলেছেন, স্টারলিংক বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে। আজ সকালে এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে- স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটিতে ৬০০০ টাকা, অপরটিতে ৪২০০। তবে, সেটআপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪৭ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে। এখানে কোনো স্পিড ও ডাটা লিমিট নেই। ব্যক্তি পর্যায়ে ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করা যাবে। বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুর প্রত্যাশার বাস্তবায়ন হলো।
এদিকে, স্টারলিংক ইন্টারনেটে খরচ হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে।
পাশাপাশি, যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার অপটিক কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পাবে, এনজিও, ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবিচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের নিশ্চয়তা পাবেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিনটিকে কেন্দ্র করে নানা সচেতনতামূলক আয়োজন করা হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য: “কর্মস্থলে ডায়াবেটিস বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন”। প্রতি বছর প্রায় ১৭০টি দেশে এই দিবস পালিত হয়।১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ১৪ নভেম্বরকে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।পরে ২০০৭ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির ভিত্তিতে দিবসটির প্রচলন শুরু হয়। বাংলাদেশের উদ্যোগেই ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ দিবসটি অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করেছিল।দিবসটিকে ঘিরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আইডিএফ-এর হিসাব বলছে—প্রতি ১০ সেকেন্ডে একজন ডায়াবেটিস রোগী মৃত্যুবরণ করেন এবং একই সময়ে দুই জন নতুন রোগী শনাক্ত হন।এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি দুই দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। মূল লক্ষ্য—ডায়াবেটিস সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি। সমিতির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ও দেশের বিভিন্ন জেলা সমিতিও পৃথক উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।আজকের কর্মসূচি: সকাল সাড়ে ৮টায় শাহবাগ বারডেম কার পার্কিং থেকে টেনিস ক্লাব গেট পর্যন্ত প্লাকার্ড হাতে রোড শো।আগামীকাল শনিবারের কর্মসূচি (১৫ নভেম্বর): সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বারডেম, এনএইচএন ও বিআইএইচএস-এর বিভিন্ন কেন্দ্রে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা।বেলা ১০টায় বারডেম অডিটোরিয়ামে আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিইউএইচএস-এর এমিরেটাস অধ্যাপক হাজেরা মাহতাব। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বারডেম একাডেমির পরিচালক অধ্যাপক মো. ফারুক পাঠান।আজ ও আগামীকাল সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বারডেমের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল হেমাটোলজি বিভাগে স্বেচ্ছায় রক্তদান।ডায়াবেটিস সচেতনতা বাড়াতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, ‘কান্তি’ ও ‘ডায়াবেটিস নিউজলেটার’-এর বিশেষ সংখ্যা, পোস্টার, লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের চতুর্থ তলায় স্বল্পমূল্যে হার্ট, নিউরো ও ভাসকুলার ক্যাম্প।ভোরের আকাশ/মো.আ.
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীজুড়ে সড়কে দেখা দিয়েছে যানবাহন সংকট। সকাল থেকেই ঢাকার প্রধান সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা, গণপরিবহন সীমিত, ব্যক্তিগত গাড়ি ও রাইডশেয়ারিং যানও ছিল চোখে পড়ার মতো কম। রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নিরাপত্তা শঙ্কায় সাধারণ মানুষ, অফিসগামী কর্মী এবং শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।সকাল থেকেই ফার্মগেট, শাহবাগ, মতিঝিল, গুলিস্তান, মগবাজার, সায়েন্সল্যাব, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা— সব জায়গাতেই একই চিত্র দেখা যায়। কোথাও বাস নেই, কোথাও যাত্রীদের দীর্ঘ সারি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরও কেউ কেউ যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা দেন। যারা রাস্তায় নেমেছেন, তাদের অনেকেই সিএনজি বা মোটরবাইকের দ্বিগুণ ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন। রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে সকাল থেকেই ঢাকার সড়কে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।পরিবহন মালিকরা জানিয়েছেন, চালক ও হেলপাররা সম্ভাব্য সংঘর্ষ বা ভাঙচুরের আশঙ্কায় গাড়ি না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে রাজধানীর মধ্যে এবং আন্তঃজেলায় যোগাযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। গুলিস্তান, ফার্মগেট, কাকরাইল, শাহবাগ ও কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা গেছে— সড়কে চলাচল করছে মূলত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল। ভারী যানবাহন, ট্রাক বা বাসের সংখ্যা ছিল অত্যন্ত কম। শহরের ব্যস্ততম মোড়গুলোতেও ছিল অস্বাভাবিক নীরবতা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সকাল থেকেই মোড়ে মোড়ে টহল জোরদার করেছে, যাতে কোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতা না ঘটে।রাজধানীর ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, আজ মূল সমস্যা যানজট নয়, বরং গাড়ির অভাব। সড়কে গাড়ি নেই, মানুষ দাঁড়িয়ে আছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।তিনি জানান, সাধারণ দিনের তুলনায় আজ অন্তত ৬০ শতাংশ কম গণপরিবহন রাস্তায় নেমেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও উপস্থিতি ছিল অর্ধেকের নিচে।রাজধানীর গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলের এক অভিভাবক বলেন, ‘পরিস্থিতি অনিশ্চিত মনে হওয়ায় সন্তানকে স্কুলে পাঠাইনি।’মতিঝিলের ব্যাংক কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, ‘বাস না পেয়ে পায়ে হেঁটে অফিসে পৌঁছাতে হয়েছে। সিএনজির ভাড়া চায় দ্বিগুণ।’ একই অবস্থা উত্তরা থেকে মিরপুরগামী কলেজ শিক্ষার্থী রাফির। এদিকে, বারডেমে চিকিৎসাধীন রোগী মুনতাসির আল আমিন জানান, রাস্তায় সরাসরি ঝামেলা না থাকলেও সারাক্ষণ ভয় কাজ করছে।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণার দিন ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘লকডাউন’ কর্মসূচির ডাক দেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় দলীয় কর্মীদের ঝটিকা মিছিল, টায়ার পোড়ানো ও ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। গত কয়েকদিনে ঢাকায় বিভিন্ন বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় একটি বাসে আগুনে দগ্ধ হয়ে একজন নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।এদিকে, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজপথে কর্মসূচি পালন করছে। বিএনপি সরাসরি কোনো কর্মসূচি না দিলেও দলটি যেকোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছে বলে জানা গেছে।রাজনৈতিক অস্থিরতা ও যানবাহন সংকটে সারাদিনজুড়ে নগরবাসীকে হাঁটতে দেখা গেছে। পরিবহন মালিক সমিতির এক নেতা জানান, পরিস্থিতি পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত বাস রাস্তায় নামানো ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদে নগরজীবনে স্থবিরতা তৈরি করছে। গণপরিবহন ব্যবস্থার এই ধস শহরের অর্থনীতি ও কর্মজীবী মানুষের উৎপাদনশীলতায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।গতকাল সকাল থেকে পতিত আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘লকডাউন কর্মসূচি’ এবং বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাল্টা কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর সড়কে গণপরিবহন প্রায় অচল হয়ে পড়েছিল। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফার্মগেট, শাহবাগ, মিরপুর, মতিঝিল, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, নীলক্ষেত ও উত্তরা এলাকায় যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তবে দুপুর নাগাদ পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে। যেসব বাস সকাল থেকে গ্যারেজে ছিল, সেগুলো একে একে রাস্তায় নামতে শুরু করে। অনেক রুটে মিনিবাস ও সিটি সার্ভিসের উপস্থিতি বাড়ায় যাত্রীদের কিছুটা স্বস্তি ফেরে।দুপুরের দিকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ, বাংলামোটর ও ফার্মগেট পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, যান চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। সকালবেলার তুলনায় সড়কে বাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে, ট্রাফিকও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে অন্যদিনের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে কম। অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও অনেকেই সকালবেলার যানবাহন সংকটের কারণে বের হননি। ফলে বাসস্ট্যান্ডগুলোতে ভিড় কম দেখা গেছে। এদিকে মেট্রোরেলেও ছিল যাত্রী কমে যাওয়ার স্পষ্ট প্রভাব। সকাল ও দুপুর উভয় সময়েই মেট্রোরেলের বগিগুলো ছিল অস্বাভাবিকভাবে ফাঁকা, যা সাধারণ কর্মদিবসে খুবই বিরল দৃশ্য বলে মন্তব্য করছেন যাত্রীরা।বিহঙ্গ পরিবহনের বাস চালক অনিক বলেন, ‘সকালে বাস বের করতে ভয় লাগছিল। রাস্তা ফাঁকা, কোথাও কোথাও পুলিশি টহল, আবার শুনেছি কিছু এলাকায় মিছিল হচ্ছে। তাই প্রথমে অনেকেই বাস গ্যারেজে রেখে দেয়। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখি পরিস্থিতি শান্ত, তাই বের হয়েছি। এখন যানবাহন কিছুটা বেড়েছে, তবে যাত্রী এখনও আগের মতো হয়নি। মানুষ ভয় পাচ্ছে রাস্তায় নামতে। তবু আমরা বাস নিয়ে বের হয়েছি, কারণ সারাদিন গাড়ি না চালালে আয় বন্ধ হয়ে যায়।’সাভার পরিবহনের বাসচালক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘শুনেছি শহরে লকডাউন, আবার কোথাও নাকি সংঘর্ষ হতে পারে— এসব কথায় অনেক চালক গ্যারেজেই থেকে যায়। আমি সকাল ৮টায় বের হয়েছিলাম, কিন্তু প্রথম ট্রিপেই বুঝলাম যাত্রী অল্প। ফার্মগেট পর্যন্ত যেতে সাধারণত এক ঘণ্টা লাগে, আজ অর্ধেক সময়েই পৌঁছে গেছি, কারণ যানজট ছিল না। এখন দুপুরে পরিস্থিতি অনেকটা ভালো, পুলিশও সহযোগিতা করছে। তবে যাত্রী সংখ্যা এখনও অর্ধেকের মতো।’ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, সকালটা ছিল সবচেয়ে সংকটময়। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় নামতে ভয় পাচ্ছিলেন। কিন্তু এখন সড়ক স্বাভাবিক হচ্ছে, যান চলাচলও বাড়ছে। বিকেল নাগাদ রাজধানীর সড়ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। গুলিস্তান, ফার্মগেট ও মতিঝিল এলাকায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যানবাহনের সংখ্যা সাধারণ দিনের তুলনায় এখনও কিছুটা কম হলেও, সকালবেলার তুলনায় অনেক বেশি। যাত্রীদের ভিড় কমে এসেছে, ভাড়াও স্বাভাবিক হয়েছে।পরিবহন নেতারা বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল থাকায় চালকরা এখন রাস্তায় নামছেন। সকালে যেভাবে ভয় ছিল, এখন তা অনেকটা কেটে গেছে। তবে কিছু এলাকায়- বিশেষ করে গুলিস্তান, পল্টন ও ফার্মগেট মোড়ে- মিছিল ও সংক্ষিপ্ত অবস্থান কর্মসূচির কারণে স্বল্প সময়ের যানজট তৈরি হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফ্যাসিস্ট বা স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা যাতে দেশে আর ফিরে না আসতে পারে সেজন্য জন–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের মাধ্যমে দেশে সুশাসন, গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি চিরস্থায়ীভাবে রোধ করার উদ্দেশ্যে বিদ্যমান সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থায় সংস্কারে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এছাড়া ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে ‘সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত’ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা সব বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোটও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে। আর গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় আইনও প্রণয়ন করা হবে।এছাড়া নির্বাচনকালে ভবিষ্যতে নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ‘জুলাই সনদের’ ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গঠন করাসহ রাজনৈতিকভাবে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আর সার্বিকভাবে বিদ্যমান রাজনৈতিক জটিলতা ও নির্বাচন অনুষ্ঠান ও সরকার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে জটিলতা নিরসনে গণভোটে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে দেশের ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে নাগরিকদের মতামত জানাবে। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের দিনেই ‘গণভোট’ অনুষ্ঠিত হবে বলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।উল্লেখ্য, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষতাসীন হওয়ার পর রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় সংস্কারের মাধ্যমে দেশে সুশাসন, গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ করার উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করে এবং এই কমিশনগুলো কয়েক মাস কাজ করে সরকারের প্রতিবেদন নিকট পেশ করে।আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ এর গেজেট জারি করেছে সরকার। এতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাক্ষরও করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হয়েছে। এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জাতীয় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন অনুমোদন করা হয়।সরকারের আদেশে বলা হয়েছে, সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুথানের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের প্রকাশ ঘটেছে। এ গণঅভ্যুত্থানের ফলে ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটে। চব্বিশের ৬ আগস্ট জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয় এবং ৮ আগস্ট বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকারিতা ও স্বীকৃতি লাভ করে।আদেশে আরো বলা হয়েছে, সংবিধান সংস্কার বিষয়ে জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন প্রয়োজন এবং এ উদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান, সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার করার আবশ্যকতা রয়েছে।আদেশে আরো বলা হয়েছে, প্রতিবেদনগুলোতে অন্তর্ভুক্ত সুপারিশের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার গত ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনাক্রমে সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশ সংবলিত জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ প্রণয়ন করে এবং রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহ সম্মিলিতভাবে এ সনদে স্বাক্ষর ও তা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে।আর আদেশের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ১৩৩ শিশু, শত শত তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষের মৃত্যু, হাজার হাজার মানুষের অঙ্গহানির মধ্য দিয়ে যে ত্যাগ সেটিকে আমাদের সম্মান জানাতেই হবে। গণভোট এবং জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলো জাতির বৃহত্তর স্বার্থে মেনে নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, একটি উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচনের দিকে জাতি এগিয়ে যাবে। যার মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করব। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছি।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপদেষ্টা ভোরের আকাশকে জানান, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করার বিষয়টিকে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে।এছাড়া ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে ছাত্র-জনতা হত্যা নির্যাতন ও গুমের বিরুদ্ধে সফল গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরামর্শক্রমে, রাষ্ট্রপতি এই আদেশ জারি করেছেন। এই আদেশ জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ নামে অভিহিত হবে।প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত জুলাই সনদে সংবিধানবিষয়ক ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কিছু প্রস্তাবে সামান্য ভিন্নমত থাকলেও প্রস্তাবগুলোর ক্ষেত্রে মতভিন্নতা খুব বেশি ছিল না। কোন কোন দল সংবিধান সংস্কার চেয়েছে, অন্যরা আইনের মাধ্যমে তা করতে চেয়েছে। কিন্তু সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা, নীতি ও লক্ষ্য নিয়ে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মৌলিক বা বড়ধরণের মতভেদ না থাকায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য কাজটি সম্ভব হয়েছে।জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ অনুমোদনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃক স্বাক্ষরিত জুলাই সনদকে মূল দলিল হিসেবে মেনে নেওয়ায় সরকারের পক্ষে সহজ হয়েছে। উল্লেখ্য, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই আদেশে সরকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধান নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সনদের সংবিধানবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাবের ওপর গণভোট অনুষ্ঠান এবং পরে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত।জানা গেছে, এছাড়া জুলাই সনদের আলোকে গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নও নির্ধারণ করেছে সরকার। আর গণভোটের দিন সংশ্লিষ্ট চার বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে ভোটররা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে তাদের মতামত জানাবে। গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিরা একই সঙ্গে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে।এর মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত। তবে এর আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সুপারিশে বলা হয়েছিল, প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ২৭০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করার বাধ্যবাধকতা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।বলা হয়েছিল, এ সময়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংবিধানে যুক্ত হবে। তবে চূড়ান্ত প্রস্তাবে সেই বাধ্যবাধকতা থাকছে না। অন্যদিকে, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিএনপির ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (আপত্তি) এবং বাছাইপ্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপে ঐকমত্য কমিশন ‘র্যাংকড চয়েস’ পদ্ধতির কথা বলেছে। তবে বিএনপি এ পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বাছাইয়ের দায়িত্ব সংসদকে দেওয়ার পক্ষে। তবে এ বিষয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ‘র্যাংকড চয়েস’ পদ্ধতির পক্ষে।অবশেষে বিষয়টিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গণভোটের মাধ্যমে এ বিষয়ে জনগণের রায় নেবে। এ ছাড়া উচ্চকক্ষে ভোটের অনুপাতে দলগুলোর প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়ে বিএনপি ছাড়া প্রায় সব দলেরই ঐকমত্য ছিল। সে ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দিয়ে প্রস্তাবটি গণভোটের মাধ্যমে ফয়সালা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে গণভোট হবে।বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এই ঘোষণা দেন।গণভোটের প্রশ্নটি হবে‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?’ব্যালটে প্রদত্ত বিষয়গুলো হলোক) নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।খ) আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকার-সহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।ঘ) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।গণভোটের দিন এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে আপনি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে আপনার মতামত জানাবেন। গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিগণ একইসঙ্গে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হতে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। এর মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।ভোরের আকাশ/এসএইচ