বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫ ০১:৩৩ এএম
হঠাৎ বিএনপি অফিসে অভিনেত্রী রিনা খান, জানালেন কারণ
ঢালিউডের জনপ্রিয় খল অভিনেত্রী রিনা খানকে হঠাৎ করে বিএনপি কার্যালয়ে দেখা যাওয়ায় শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। পরে এক ভিডিওবার্তায় নিজেই সেই উপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি। মঙ্গলবার (১৭ জুন) প্রকাশিত ভিডিওবার্তায় রিনা খান জানান, তিনি বিএনপির অঙ্গসংগঠন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভানেত্রী হিসেবে দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
ভিডিওবার্তায় আবেগঘন কণ্ঠে রিনা খান বলেন, “আমি বিএনপি করি বলেই আজ আমার এই অবস্থা। আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন চেয়েছি এবং সেটিই হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন আর কেউ আমাদের ওপর কিংবা কারও ওপর জুলুম করতে না পারে, সেটাই কামনা করি। আমি আজ খুব খুশি, খুশিতে কান্না চলে আসছে।”
নিজেকে ‘নির্যাতিত সন্তানের মা’ উল্লেখ করে অভিনেত্রী জানান, শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তার বড় ছেলেকে ২০০৯ সালে জার্মানিতে চলে যেতে হয়। তার বিরুদ্ধেও মামলা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এমনকি ছোট ছেলেকেও পুলিশ হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রিনা খান বলেন, “বাড়িতে থাকতে পারতাম না, কোনো অনুষ্ঠানেও যেতে পারতাম না। বিটিভির কোনো অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকা হতো না। ফ্যাসিস্ট সরকার চলে যাওয়ার পর যেন নতুন করে বাঁচতে পারছি।”
তিনি আরও জানান, তার বড় ছেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন জানাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। আবেদন জমা দেওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, “আমি সালাহউদ্দিন সাহেবের (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য) সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমাকে অনেক সময় দিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন। দলের অন্যরাও আমাকে আন্তরিকভাবে সহায়তা করেছেন।”
উল্লেখ্য, রিনা খান ১৯৮২ সালে ‘সোহাগ মিলন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে অভিষেক করেন। খল চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য তিনি ঢালিউডে আলাদা অবস্থান তৈরি করেছেন। চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি নাটক ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন।
ভোরের আকাশ//হ.র