পরীমনির বিরুদ্ধে নাছির উদ্দিনের মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই
চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার কার্যক্রম চলতে আর কোনো আইনি বাধা নেই।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নবম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাজ্জাদুর রহমান খান রিভিশন আবেদন খারিজ করে দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মোমেন খান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদন করা হয়। তবে শুনানি শেষে তা খারিজ হয়ে যাওয়ায় মামলাটির বিচার কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই এগোবে। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদ পরীমনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরের দিন আত্মসমর্পণ করে জামিন পান পরীমনি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৬ জুলাই নাছির উদ্দিন মাহমুদ ঢাকার সাভারের বোট ক্লাব সংক্রান্ত ঘটনার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. মনির হোসেন আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। তাতে পরীমনি ও জিমির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
বাংলা চলচ্চিত্রের বরেণ্য নির্মাতা, ‘চাঁদের আলো’সহ বহু জনপ্রিয় সিনেমার পরিচালক শেখ নজরুল ইসলাম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।নির্মাতা গাজী মাহবুব ও ‘চাঁদের আলো’র অভিনেত্রী রুমানা ইসলাম তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। গাজী মাহবুব জানান, ‘বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা শেখ নজরুল ইসলাম আমার ওস্তাদজি। তিনি ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টায় মারা যান। রাতেই মরদেহ নিয়ে নাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হবে। রোববার নাটোরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।’পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১৬ নভেম্বর দুপুরে মাইল্ড স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। আইসিউতে রেখে তাকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। সেই সময় শেষ হয় শনিবার সকাল ১০টায়। পরে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।১৯৩৫ সালের ৭ নভেম্বর নাটোরের কালিগঞ্জ থানার পিপরুল গ্রামে জন্ম নেওয়া শেখ নজরুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। নির্মাতা জহির রায়হান ও খান আতাউর রহমানের সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে তার যাত্রা শুরু। ১৯৭৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘চাবুক’ ছিল তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র।দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি উপহার দিয়েছেন বহু জনপ্রিয় চলচ্চিত্র- ‘নদের চাঁদ’, ‘এতিম’, ‘নাগিন’, ‘মাসুম’, ‘ঈদ মোবারক’, ‘আশা’, ‘পরিবর্তন’, ‘নতুন পৃথিবী’, ‘দিদার’, ‘সালমা’, ‘বউ শাশুড়ি’, ‘কসম’, ‘বিধাতা’, ‘স্ত্রীর পাওনা’, ‘চাঁদের আলো’, ‘চাঁদের হাসি’, ‘চক্রান্ত’, ‘সিংহ পুরুষ’, ‘সব খতম’সহ অসংখ্য সিনেমা।পরিচালনার পাশাপাশি তিনি অভিনয়ও করেছেন। ষাটের দশকে ‘সাত ভাই চম্পা’ ছবিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। জহির রায়হানের অসমাপ্ত চলচ্চিত্র ‘লেট দেয়ার বি লাইট’-এ তিনি সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি একটি চরিত্রে অভিনয় করেন।ভোরের আকাশ/তা.কা
ছুটির দিনে সকালে এক ভয়াবহ আতঙ্ক দিয়ে দিন শুরু করল বাংলাদেশের মানুষ। এমন সময়ে ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে কোটি মানুষের মনে। হয়তো অনেকের অজানা, এই পৃথিবীতে বহু ভয়ঙ্কর কিছু ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে; যা নিয়ে নির্মাণ হয়েছে চলচ্চিত্র। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক, এই চলচ্চিত্রগুলোর গল্প কী!এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই জানতে চাইছেন ভূমিকম্প কতটা বিধ্বংসী হতে পারে? বাস্তব পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত বেশ কিছু চলচ্চিত্র রয়েছে, যেগুলোতে দুর্যোগের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে অবিশ্বাস্য বাস্তবতায়। দেখে নেওয়া যাক তেমনই পাঁচটি সিনেমার গল্পস্যান অ্যানড্রেস (২০১৫): ডোয়াইন জনসন অভিনীত এই ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার কুখ্যাত ‘স্যান অ্যানড্রেস ফল্ট’কে কেন্দ্র করে। গল্পে দেখানো হয় ৯ মাত্রার এক ভূমিকম্প ক্যালিফোর্নিয়াকে মুহূর্তে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করছে। ধসে পড়া ভবন, সুনামি এবং শহরজুড়ে বিপর্যয়ের দৃশ্যগুলো অত্যন্ত বাস্তবভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এক রেসকিউ পাইলট তার স্ত্রীকে নিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করতে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে সান ফ্রান্সিসকোতে দুঃসাহসিক যাত্রা করেন।দি ইম্পসিবল (২০১২): ২০০৪ সালের ভারত মহাসাগরের ভয়াবহ ভূমিকম্প ও তৎপরবর্তী সুনামির সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হৃদয়বিদারক এই চলচ্চিত্রে থাইল্যান্ডে ছুটিতে যাওয়া এক স্প্যানিশ পরিবারের ওপর নেমে আসা বিভীষিকাময় ঘটনার কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। বিশাল জলোচ্ছ্বাসে পরিবারটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, আর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেঁচে থাকার সংগ্রাম এবং প্রিয়জনকে খুঁজে পাওয়ার লড়াইই ছবিটির প্রধান গল্প। নাওমি ওয়াটস ও ইউয়ান ম্যাকগ্রেগর অভিনীত এই ছবি দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলে।আফটারশক (২০১২): চিলিতে আঘাত হানা ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের পটভূমিতে নির্মিত এই দুর্যোগধর্মী চলচ্চিত্রে দেখানো হয় একটি নাইটক্লাব ধসে পড়ার পর কয়েকজন পর্যটক কীভাবে জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করে। ভূমিকম্পের পর বেরিয়ে আসার পরও শুরু হয় নতুন দুঃস্বপ্ন; চারদিকে বিশৃঙ্খলা, লুটপাট ও বাঁচার লড়াই।দ্য কোয়াক (২০১৮): নরওয়েজিয়ান এই সিনেমা ‘দ্য ওয়েভ’-এর সিক্যুয়েল। একজন ভূতাত্ত্বিক ক্রিশ্চিয়ান আইকজর্ড অনুসন্ধান করতে গিয়ে বুঝতে পারেন অসলোতে যেকোনো মুহূর্তে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। কর্তৃপক্ষ সতর্কবার্তা উপেক্ষা করলেও দুর্যোগ এসে হাজির হয়, আর তখন পরিবারকে বাঁচাতে তার শুরু হয় জীবন-মরণ সংগ্রাম। টানটান উত্তেজনা ও ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের জন্য চলচ্চিত্রটি বিশেষভাবে প্রশংসিত।আর্থকোয়েক (১৯৭৪):লস অ্যাঞ্জেলেসে ৯.৯ মাত্রার কাল্পনিক ভূমিকম্পের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই ক্লাসিক দুর্যোগ চলচ্চিত্রে। বিভিন্ন চরিত্রের জীবনের সংকট ও ভূমিকম্পের মুহূর্তে তাদের সংগ্রাম গল্পে তুলে ধরা হয়েছে। সে যুগের প্রযুক্তি সত্ত্বেও বিশেষ ইফেক্ট ও অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে এবং এখনও এটি দুর্যোগভিত্তিক চলচ্চিত্রের এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত।ভূমিকম্পে বাস্তব ক্ষয়ক্ষতির খবরের সঙ্গে এই চলচ্চিত্রগুলোর দৃশ্য মিলিয়ে আজ বহু মানুষ নিজের ভয়ের প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছেন। দুর্যোগপ্রবণ দেশে সচেতনতা বাড়াতে বাস্তব ঘটনার ওপর নির্মিত এসব চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।ভোরের আকাশ/তা.কা
বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আসর ‘মিস ইউনিভার্সের’ ৭৪তম আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর মিস ইউনিভার্সের মুকুট জিতেছেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ। তীব্র নাটকীয়তায় ভরা মিস ইউনিভার্স ২০২৫ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসরে বিজয়ীর মুকুট উঠল ২৫ বছর বয়সী এই মানবিক-কর্মীর মাথায়।মাত্র কয়েকদিন আগেই লাইভ-স্ট্রিম হওয়া এক বৈঠকে থাই পেজেন্ট ডিরেক্টরের প্রকাশ্য তিরস্কারের শিকার হন তিনি, যা মুহূর্তেই ঝড় তোলে বিশ্বজুড়ে। প্রতিবাদে কয়েকজন প্রতিযোগীর ওয়াকআউট—আর ঠিক সেই ঘটনার পরই বশ হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বজোড়া ভক্তদের অন্যতম প্রিয় মুখ।বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাতে থাইল্যান্ডে আয়োজিত মহাসমারোহে গতবারের মিস ইউনিভার্স, ডেনমার্কের ভিক্টোরিয়া ক্যায়ের থেইলভিগের হাত থেকে মুকুট গ্রহণ করেন ফাতিমা। এই প্রতিযোগীতায় রানারআপ হয়েছেন আয়োজক দেশের প্রাভিনার সিংহ। শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নেন ভেনেজুয়েলার স্টেফানি আবাসালি, ফিলিপাইনের আটিসা মানালো এবং আইভরি কোস্টের অলিভিয়া ইয়াসে।বিশ্বব্যাপী সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার “সুপার বোল” হিসেবে খ্যাত মিস ইউনিভার্সে এ বছর অংশ নেন ১২০ দেশের প্রতিনিধি। প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন নাদিন আয়ুব; তিনি সেমিফাইনালে পৌঁছালেও শীর্ষ ৩০ থেকে বিদায় নেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন মার্কিন কৌতুকশিল্পী স্টিভ বায়ার্ন, উদ্বোধনী পরিবেশনায় ছিলেন থাই তারকা জেফ স্যাচুর।দীর্ঘ তিন সপ্তাহের যাত্রায় প্রতিযোগীরা থাইল্যান্ড জুড়ে ঘুরে ঘুরে অংশ নেন রিহার্সাল ও নানা ইভেন্টে। বুধবার অনুষ্ঠিত হয় ন্যাশনাল কস্টিউম শোকেস—যেখানে প্রতিযোগীরা নিজেদের দেশের ঐতিহ্য ও বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলার জন্য পরিধান করেন চোখ ধাঁধানো পোশাক। মিস ইউএসএ অড্রি একার্ট হাজির হন সাইমন ভিলালবার নকশা করা চমকপ্রদ ‘বাল্ড ঈগল’ কস্টিউমে। একইদিন প্রিলিমিনারির সন্ধ্যার গাউন রাউন্ডে ভয়াবহভাবে পড়ে যান জ্যামাইকার গাব্রিয়েল হেনরি, যাকে পরে স্ট্রেচারে করে নেওয়া হয়। পরে মিস ইউনিভার্স প্রেসিডেন্ট রাউল রোচা জানান—হেনরির কোনো হাড় ভাঙেনি এবং তিনি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন।এদিকে ফাইনালে প্রতিযোগীদের করা হয় দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন—জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সুযোগ পেলে কোন বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে কথা বলবেন, এবং কিশোরী মেয়েদের ক্ষমতায়নে কীভাবে মিস ইউনিভার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবেন। উত্তরে ফাতিমা বশ বলেন, ‘আপনার স্বকীয়তার শক্তিতে বিশ্বাস রাখুন। আপনার স্বপ্নের মূল্য আছে, আপনার হৃদয়ের মূল্য আছে। কাউকে আপনার মূল্য নিয়ে সন্দেহ তৈরি করতে দেবেন না।’বিতর্ক আর নাটকীয়তা পেরিয়ে ফাতিমা বশের এই অভিষেক জয় এবার নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে মিস ইউনিভার্স মুকুট জেতার পাশাপাশি ফাতিমা কি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার ভুবনে নতুন এক পরিবর্তনের বার্তাও রেখে গেলেন?এদিকে বিচার প্রক্রিয়ায় কারচুপির অভিযোগ তুলে এবারের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ান দুজন বিচারক। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) লেবানিজ-ফরাসি সংগীতশিল্পী ওমর হারফুশ আট সদস্যের জুরিবোর্ড থেকে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। হারফুশের পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টা পরই দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন ফরাসি ফুটবল ম্যানেজার ক্লদ মাকেলেলে। তবে পদত্যাগের কারণ হিসেবে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ উল্লেখ করেন তিনি।হারফুশ তার পোস্টে লেখেন, ১৩৬ দেশের প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ৩০ জন ফাইনালিস্ট বাছাইয়ের জন্য একটি অনানুষ্ঠানিক জুরিবোর্ড গঠন করা হয়েছে। এ দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আমাদের আসল আট সদস্যের জুরির কেউই উপস্থিত ছিলেন না, আমিও না। আমি বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেনে হতবাক হয়েছি।হারফুশ দাবি করেন, অনানুষ্ঠানিক কমিটিতে এমন ব্যক্তিরা রয়েছেন, যাদের কিছু প্রতিযোগীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। তবে এ অনানুষ্ঠানিক জুরি কীভাবে কাজ করছেন বা কীভাবে তারা আসল জুরির ভূমিকা অকার্যকর করছেন, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা করেননি হারফুশ । তবে তার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, কোনো বাইরের দলকে প্রতিযোগীদের মূল্যায়ন বা ফাইনালিস্ট বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।সংগঠনের মতে, হারফুশ হয়তো ‘বিয়ন্ড দ্য ক্রাউন’ নামে একটি কর্মসূচিকে অনানুষ্ঠানিক জুরি ভেবে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছেন। এটি মূল প্রতিযোগিতা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটি সামাজিক উদ্যোগ। এর নিজস্ব নির্বাচন কমিটি রয়েছে।অন্যদিকে মাকেলেলে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে লেখেন, এটি তার জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত। মিস ইউনিভার্স প্ল্যাটফর্ম ক্ষমতায়ন, বৈচিত্র্য ও উৎকর্ষের প্রতীক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব মূল্যবোধ আমি সব সময় লালন করেছি। চলতি মাসের শুরুতেই প্রতিযোগিতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।থাইল্যান্ডের আয়োজক কমিটির পরিচালক নাওয়াত ইটসারাগ্রিসিল একটি প্রাক্-ইভেন্টে মিস মেক্সিকো ফাতিমা বোশকে প্রকাশ্যে জানান, কেন তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণামূলক কনটেন্ট পোস্ট করছেন না। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে দেখা যায়, বোশসহ কয়েকজন প্রতিযোগী অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ নাওয়াতের দিকে চিৎকারও করছিলেন। পরবর্তী সময়ে নাওয়াত দাবি করেন যে, তার কথার কিছু অংশ ভুলভাবে বোঝা হয়েছে। তবু তার আচরণে ক্ষুব্ধ হয় মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ।ভোরের আকাশ/মো.আ.
ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। ‘তাকদীর’ নামক ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে ভক্ত-অনুরাগীদের মনে বিশেষভাবে জায়গা করে নিয়েছেন। এরপর দর্শকমহলে নিজের অভিনয় দক্ষতার কারণে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ সরব। সম্প্রতি এক পোস্টে জানান, আমার বয়স বেশি না, তবুও এমন কেন হয়? পোস্টে সাদিয়া লিখেছেন, ‘আমার অনেক গুলো সুন্দর সুন্দর ছবি, ভিডিওস জমে গিয়েছে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। পোস্ট করবো করবো করে করাই হলো না! এখন আর ইচ্ছাও করছে না সেগুলো পোস্ট করতে।’আমার বয়স বেশি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটা ছবি কিংবা ভিডিওর পেছনে কত এফোর্ট দিতে হয়! ছবি সিলেক্ট, এডিট, এরপর গান সিলেক্ট করা! এখন এগুলো অনেক প্রেসার লাগে। নাহ আমার বয়সও তো বেশি না, তবুও এমন কেন হয়? আচ্ছা, এমনটা কি আপনাদের সাথেও হয়?’তার কথায়, ‘ওহ! পোস্টের সাথে আবার রিলেটেবল ক্যাপশন ও ভাবতে হয়। এটার কথা বলতে তো ভুলেই গিয়েছি।’ সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে একজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, আমার সাথেও ঘটে কোন গান রাখবো ভাবতে ভাবতে মুড চেঞ্জ হয়ে যায়।’ আরেকজনের কথায়, ‘পরিস্থিতি সব সময় এক থাকে না, মন খারাপে কোনো কিছুই ভালো লাগে না।’ভোরের আকাশ/মো.আ.