স্বাস্থ্য ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৫ ১০:৩১ এএম
ডায়াবেটিসের ৫টি জরুরি লক্ষণ, যা কখনোই উপেক্ষা করবেন না
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে তা ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিসের ইঙ্গিত দিতে পারে, যা হৃদরোগ, কিডনির ক্ষতি এবং স্নায়ুর সমস্যাসহ নানা জটিলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ ডায়াবেটিস ও প্রিডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাই সময়মতো শর্করার মাত্রার পরিবর্তন বুঝে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। নিচে দেয়া হলো ৫টি সাধারণ লক্ষণ, যেগুলো ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত দেবে, কিন্তু অনেকেই এগুলোকে সেরকম গুরুত্ব দেন না—
১. নিরন্তর ক্লান্তি:
পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সত্ত্বেও যদি ক্রমাগত ক্লান্তি অনুভব করেন, তবে এটি উচ্চ রক্তে শর্করার লক্ষণ হতে পারে। কারণ শরীর গ্লুকোজ থেকে শক্তি তৈরি করতে পারছে না।
২. অতিরিক্ত তৃষ্ণা ও ঘন ঘন প্রস্রাব:
খুব বেশি তৃষ্ণার্ত বোধ করা এবং বারবার প্রস্রাবের জন্য টয়লেটে যাওয়া রক্তে শর্করার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। অতিরিক্ত গ্লুকোজ কিডনিকে বেশি পরিশ্রম করতে বাধ্য করে, যার ফলে এসব সমস্যা দেখা দেয়।
৩. ঝাপসা দৃষ্টি:
দৃষ্টিশক্তিতে পরিবর্তন, বিশেষ করে ঝাপসা দেখা, উচ্চ রক্তে শর্করার আরেকটি সাধারণ লক্ষণ। গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে চোখের লেন্সে তরলের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়, যা অস্থায়ী দৃষ্টি সমস্যার কারণ হয়।
৪. ধীর নিরাময়:
কাটা বা ক্ষত সুস্থ হতে অস্বাভাবিকভাবে বেশি সময় নেয়? এটি ডায়াবেটিসের কারণে রক্ত সঞ্চালন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে।
৫. অপ্রত্যাশিত ওজন কমা:
পর্যাপ্ত পুষ্টি ও খাদ্য গ্রহণের পরেও হঠাৎ ওজন কমে গেলে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। কারণ ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে গেলে শরীর শক্তির জন্য চর্বি ও পেশী ভেঙে ফেলে।
এগুলো কোনো উপেক্ষার বিষয় নয়। শরীরের এই ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করলে দ্রুত ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন।
ভোরের আকাশ//হ.র