সিঙ্গাপুরের বিমানবন্দরে দোকান চুরির অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
সিঙ্গাপুরের জুয়েল চাঙ্গি বিমানবন্দরের বিভিন্ন দোকান থেকে মূল্যবান পণ্য চুরির অভিযোগে এক ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। বৃহস্পতিবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
৩৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি বিমানবন্দরের ১৪টি দোকান থেকে মোট ৫,১৩৬ সিঙ্গাপুরি ডলার (প্রায় সাড়ে তিন লাখ ভারতীয় রুপি) মূল্যের পারফিউম, প্রসাধনী ও ব্যাগসহ বিভিন্ন সামগ্রী চুরি করেন বলে জানায় পুলিশ। চুরির পর তিনি কোনো বাধা ছাড়াই বিমানে ওঠে দেশ ত্যাগ করেন।
তবে ১ জুন তিনি আবার সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করলে, ট্রানজিট অবস্থায় চাঙ্গি বিমানবন্দরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
একটি দোকান থেকে ব্যাগ হারিয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ চোরের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারের সময় ওই ভারতীয় নাগরিকের কাছ থেকে চুরি হওয়া সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। আগামী ২৫ জুলাই তার বিরুদ্ধে চুরি ও সম্পত্তির জালিয়াতির অভিযোগ আনা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সিঙ্গাপুর পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “অপরাধীরা যদি ভাবেন দ্রুত ফ্লাইটে উঠে পালিয়ে যেতে পারবেন, তা ভুল ধারণা। দোকানে চুরি প্রতিরোধে আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাব।”
প্রসঙ্গত, এর আগেও এ বছরের শুরুতে চাঙ্গি বিমানবন্দরের পাঁচটি দোকান থেকে ১,৮০০ সিঙ্গাপুরি ডলার মূল্যের পণ্য চুরির ঘটনায় আরেক ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সংঘাত নিরসনে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে কম্বোডিয়া। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে দেশটি। তবে থাইল্যান্ড এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক সম্মতি দেয়নি, বরং সীমান্ত এলাকায় সামরিক শক্তি আরও বাড়াচ্ছে তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, “থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সংঘাত নিরসনের জন্য মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে আমি স্বাগত জানাই। তবে এই সংকটের সমাধানের চাবিকাঠি এখন থাইল্যান্ডের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে।”উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে এক দশকের মধ্যে এটি সবচেয়ে তীব্র সংঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ সংকট সমাধানে মধ্যস্থতা করছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, যিনি বর্তমানে আসিয়ান জোটের সভাপতিও।এদিকে চীনও দ্বিপক্ষীয় এই সংঘাতে মধ্যস্থতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, “এই বিরোধের মূল কারণ ঐতিহাসিকভাবে পশ্চিমা উপনিবেশবাদের রেখে যাওয়া দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব। এখন সময় এসেছে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসার।” তিনি আরও জানান, চীন সংকট নিরসনে গঠনমূলক এবং নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখবে।চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বেইজিংয়ে আসিয়ান মহাসচিব কাও কিম হোর্নের সঙ্গে বৈঠকে চীনের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। চীন মনে করছে, হতাহতের প্রতিটি ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংঘাত বন্ধ হওয়া উচিত।অন্যদিকে সীমান্ত অঞ্চলে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা। শুক্রবার সকাল থেকে উভয় পক্ষই ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে, যা পুরো এলাকাকে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে।আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকদের মতে, যদি দ্রুত কোনো সমাধানে পৌঁছানো না যায়, তাহলে সীমান্ত সংঘাত আরও বিস্তৃত আকার ধারণ করতে পারে, যা পুরো আসিয়ান অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।ভোরের আকাশ//হ.র
রাশিয়ার আমুর অঞ্চলের তুনদা এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, যাতে প্রায় ৫০ জন আরোহী ছিলেন।বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় বিমানটিকে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া খবর পাওয়া যায়। সাইবেরিয়াভিত্তিক এয়ারলাইনস আনগারার এএন-২৪ উড়োজাহাজটি চীন সীমান্তঘেঁষা আমুর অঞ্চলের তুনদার দিকে যাওয়ার পথে রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।আঞ্চলিক গভর্নর ভাসিলি অরলভ জানিয়েছেন, বিমানটিতে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে পাঁচটি শিশু রয়েছে। এছাড়া ক্রু হিসেবে ছয়জন ছিলেন। জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানে মোট ৪০ জনের মতো আরোহী ছিল।রুশ জরুরি সেবা বিভাগের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটির ধ্বংসাবশেষ তুনদা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে একটি পাহাড়ে পাওয়া গেছে।টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে রুশ কর্মকর্তারা জানান, রোসাভিয়াতসিয়ার একটি মিগ-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজালাজ (মূল কাঠামো) খুঁজে পায়, যা আগুনে জ্বলছিল।তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান দ্রুততম সময়ে চালানো হচ্ছে।ভোরের আকাশ//হ.র
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই চীন গোপনে রাশিয়ায় ড্রোন ইঞ্জিন পাঠাচ্ছে—এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। একাধিক চুক্তিপত্র, চালান ও শুল্কসংক্রান্ত নথির ভিত্তিতে জানা গেছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ‘শিল্প শীতলীকরণ যন্ত্র’ (industrial refrigeration units) নামে রপ্তানি করা হচ্ছে ড্রোন নির্মাণে ব্যবহৃত বিশেষ ইঞ্জিন।রয়টার্স জানায়, ইউরোপের তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেছে, এই ইঞ্জিনগুলো রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান IEMZ Kupol-এর কাছে পৌঁছাচ্ছে, যারা ইউক্রেনে ব্যবহৃত গারপিয়া-এ১ ড্রোন তৈরি করে। এই গোপন চক্রের ফলে কুপল ড্রোন উৎপাদন তিনগুণ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। যেখানে ২০২৩ সালে ২ হাজার ড্রোন তৈরি হয়েছিল, ২০২৪ সালে তাদের লক্ষ্য ৬ হাজার।জানা গেছে, এপ্রিলের মধ্যেই দেড় হাজারের বেশি ড্রোন তৈরির যন্ত্রাংশ রাশিয়ায় পাঠানো হয়। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিমাসে গড়ে ৫০০ গারপিয়া ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়া ইউক্রেনের সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়।এর আগে, চীনা প্রতিষ্ঠান Xiamen Limbach Aviation Engine Co.-এর তৈরি L550E ইঞ্জিন গারপিয়া ড্রোনে ব্যবহৃত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর প্রতিষ্ঠানটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র।তবে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন আরেক চীনা প্রতিষ্ঠান Beijing Jichao International Technology & Trade Co. গোপনে ওই ইঞ্জিন সরবরাহ করছে। তারা ‘SMP-138’ নামের এক রুশ ফ্রন্ট কোম্পানির মাধ্যমে ইঞ্জিন পাঠিয়ে দিচ্ছে, যা পরবর্তীতে ‘LIBAS’ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে কুপল কারখানায় পৌঁছায়।রপ্তানির নথিতে ইঞ্জিনগুলোকে ‘শীতলীকরণ যন্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে যাতে চীনা কর্তৃপক্ষ ও বৈশ্বিক নজরদারি এড়িয়ে যাওয়া যায়।উল্লেখ্য, গারপিয়া-এ১ ড্রোনটি ইরানের শাহেদ ড্রোনের অনুকরণে তৈরি হলেও এর প্রকৃত নির্মাণ ও প্রযুক্তিগত ভিত্তি পুরোপুরি চীনের।ভোরের আকাশ//হ.র
বিশ্ব রেসলিং অঙ্গনের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা হাল্ক হোগান আর নেই। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ৭১ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ডব্লিউডব্লিউই (WWE)।আসল নাম টেরি বোল্লেয়া হলেও, ‘হাল্ক হোগান’ নামেই তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত ছিলেন। ১৯৮০-এর দশকে রেসলিংকে বিশ্বমঞ্চে পরিচিত করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।ডব্লিউডব্লিউই এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে জানিয়েছে, “আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের হল অব ফেমার হাল্ক হোগান আর নেই। তিনি শুধু রেসলিং-ই নয়, পপ সংস্কৃতিতেও ছিলেন এক অবিচ্ছেদ্য নাম। আমরা তাঁর পরিবার, বন্ধু ও ভক্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”রিংয়ের বাইরে হাল্ক হোগান চলচ্চিত্র ও বিনোদন জগতেও সক্রিয় ছিলেন। অভিনয় করেছেন বেশ কিছু সিনেমায়।সূত্র: সিএনএনভোরের আকাশ//হ.র