আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৫ ০১:১২ এএম
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চীন থেকে গোপনে রাশিয়ায় ড্রোন ইঞ্জিন রপ্তানি!
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই চীন গোপনে রাশিয়ায় ড্রোন ইঞ্জিন পাঠাচ্ছে—এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। একাধিক চুক্তিপত্র, চালান ও শুল্কসংক্রান্ত নথির ভিত্তিতে জানা গেছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ‘শিল্প শীতলীকরণ যন্ত্র’ (industrial refrigeration units) নামে রপ্তানি করা হচ্ছে ড্রোন নির্মাণে ব্যবহৃত বিশেষ ইঞ্জিন।
রয়টার্স জানায়, ইউরোপের তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেছে, এই ইঞ্জিনগুলো রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান IEMZ Kupol-এর কাছে পৌঁছাচ্ছে, যারা ইউক্রেনে ব্যবহৃত গারপিয়া-এ১ ড্রোন তৈরি করে। এই গোপন চক্রের ফলে কুপল ড্রোন উৎপাদন তিনগুণ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। যেখানে ২০২৩ সালে ২ হাজার ড্রোন তৈরি হয়েছিল, ২০২৪ সালে তাদের লক্ষ্য ৬ হাজার।
জানা গেছে, এপ্রিলের মধ্যেই দেড় হাজারের বেশি ড্রোন তৈরির যন্ত্রাংশ রাশিয়ায় পাঠানো হয়। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিমাসে গড়ে ৫০০ গারপিয়া ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়া ইউক্রেনের সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
এর আগে, চীনা প্রতিষ্ঠান Xiamen Limbach Aviation Engine Co.-এর তৈরি L550E ইঞ্জিন গারপিয়া ড্রোনে ব্যবহৃত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর প্রতিষ্ঠানটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র।
তবে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন আরেক চীনা প্রতিষ্ঠান Beijing Jichao International Technology & Trade Co. গোপনে ওই ইঞ্জিন সরবরাহ করছে। তারা ‘SMP-138’ নামের এক রুশ ফ্রন্ট কোম্পানির মাধ্যমে ইঞ্জিন পাঠিয়ে দিচ্ছে, যা পরবর্তীতে ‘LIBAS’ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে কুপল কারখানায় পৌঁছায়।
রপ্তানির নথিতে ইঞ্জিনগুলোকে ‘শীতলীকরণ যন্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে যাতে চীনা কর্তৃপক্ষ ও বৈশ্বিক নজরদারি এড়িয়ে যাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, গারপিয়া-এ১ ড্রোনটি ইরানের শাহেদ ড্রোনের অনুকরণে তৈরি হলেও এর প্রকৃত নির্মাণ ও প্রযুক্তিগত ভিত্তি পুরোপুরি চীনের।
ভোরের আকাশ//হ.র