আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৫ ০১:৪৩ এএম
তুরস্কে তিন মেয়র গ্রেপ্তার, বিরোধী দলে ‘দমন-পীড়নের’ অভিযোগ
তুরস্কে এক দিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজন মেয়রকে। শনিবার (৫ জুলাই) সকালে দেশটির বিভিন্ন শহরে চালানো পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়। সম্প্রতি বিরোধীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযোগের মধ্যে এই গ্রেপ্তারকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি-র বরাতে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এবং দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া মেয়ররা সবাই প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি)-এর সদস্য।
আদিয়ামানের মেয়র আবদুর রহমান তুতদেরে এবং আদানা শহরের মেয়র জেইদান কারালারকে ভোরে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। এদিকে, আন্টালিয়া শহরের মেয়র মুহিতিন বোসেককেও ঘুষ সংক্রান্ত একটি পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় প্রসিকিউটর কার্যালয়।
প্রসিকিউশনের দাবি, এসব মেয়রদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ঘুষ লেনদেন এবং দরপত্রে জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত চলছে। ইস্তাম্বুলের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে টুটদেরে ও কারালারসহ মোট ১০ জনকে একই অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তুতদেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (আগের টুইটার) জানিয়েছেন, তাকে রাজধানী আঙ্কারা থেকে ইস্তাম্বুলে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে এখনো তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে সিএইচপি নিয়ন্ত্রিত বেশ কিছু পৌরসভায় সরকারি তদন্ত ও গ্রেপ্তারের ঘটনা বেড়েছে। বিরোধী নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সরকার বিরোধী দলকে দমন করতেই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত মার্চে দুর্নীতির অভিযোগে ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ২২ বছরের শাসনের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত হন।
তবে সরকার পক্ষ বলছে, এসব মামলা ও গ্রেপ্তারের পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। তারা দাবি করেছে, তুরস্কের বিচার বিভাগ ও প্রসিকিউটররা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন এবং আইন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে সরকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, এসব গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ আইনসম্মত হবে না।
ভোরের আকাশ//হ.র