ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনিকে হত্যার হুমকি ইসরায়েলের
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ প্রকাশ্যেই এই হুমকি দিয়েছেন।
একইসঙ্গে ইরানে নতুন করে হামলার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। রোববার (২৭ জুলাই) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ রোববার প্রকাশ্যেই ইরানকে নতুন করে হামলার হুমকি দিয়েছেন এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
দক্ষিণ ইসরায়েলের রামন বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে কাটজ বলেন, “আমি এখান থেকেই স্বৈরাচারী খামেনিকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই: যদি আপনি ইসরায়েলকে হুমকি দেওয়া চালিয়ে যান, তাহলে আমাদের দীর্ঘ হাত আবারও তেহরানে পৌঁছাবে, আগের চেয়ে আরও বেশি শক্তি নিয়ে এবং এবার ব্যক্তিগতভাবে আপনিও লক্ষ্যবস্তু হবেন।”
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যটি উদ্ধৃত করেছে ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথ। অবশ্য ইসরায়েলি এই হুমকির প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে ইরানের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালালে দুই দেশের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাত শুরু হয়। পাল্টা জবাবে তেহরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়, আর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়।
অবশেষে এই সংঘাত গত ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া এক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে স্থগিত হয়।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দীর্ঘদিন অবরোধ আরোপ করে রেখেছে দখলদাল ইসরায়েল। এতে সেখানকার মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছেন। তাদের এ দুঃখ দুর্দশা সইতে না পেরে বোতলে মসুর ডাল ভরে সেগুলো সমুদ্রে ছুড়ে ফেলেন মিসরের এক নাগরিক। তার প্রত্যাশা ছিল— হয়ত ভাসতে ভাসতে এটি গাজায় পৌঁছে যাবে।অবিশ্বাস্যভাবে ওই বোতলটি ভেসে সত্যিই গাজায় গেছে। যা পেয়েছেন গাজার এক মৎস শিকারী। বোতলটি হাতে নিয়ে এক ব্যক্তিকে বেশ উচ্ছ্বাশ প্রকাশ করতে দেখা যায়। তিনি জানান, আজ তারা কিছু খেতে পারবেন।সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড ভিডিওটি প্রকাশ করেছে। সেখানে বোতল হাতে গাজার ওই বাসিন্দা বলছেন, “বলুন আল্লাহু আকবর। আমাদের মিসরের ভাইয়েরা… চাল-আল ডাল ভর্তি বোতল গাজার উপকূলে পৌঁছেছে। বোতলটি সমুদ্রের মাঝে থেকে নিয়ে এসেছেন এক জেলে। তিনি জানিয়েছেন, খুবই অল্প কিছু বোতল গাজায় এসেছে। যার অর্থ আমরা আজ ডাল খেতে পারব।”তিনি আরও বলেছেন, “বোতলের ভেতর একটি নোট ছিল। এতে লেখা আছে, ‘মিসর দীর্ঘজীবী হোক’। আল্লাহর ইচ্ছায় মিসর ও পুরো আরব বিশ্ব এবং ইসলামিক উম্মাহ দীর্ঘজীবী হোক।”এরআগে গত ২৩ জুলাই এক মিসরীয় সমুদ্রের পাশে দাঁড়িয়ে কয়েকটি বোতল ছুঁড়তে থাকেন। যা কেউ একজন ভিডিও করেন। ওই ব্যক্তি বলতে থাকেন, ‘(গাজার) ভাইয়ের আমাদের ক্ষমা করুন। আমরা এর বেশি কিছু করতে পারছি না।”এদিকে গাজার পাশেই মিসর অবস্থিত। তা সত্ত্বেও গাজার জন্য শক্তিশালী এ মুসলিম দেশটির সরকার কিছু করতে পারেনি।সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ডভোরের আকাশ//হ.র
গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা স্থবির করার জন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন হামাসের কাতার-ভিত্তিক নেতা খলিল আল-হায়্যা।রোববার (২৭ জুলাই) এক টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে হামাসের গুরুত্বপূর্ণ এই রাজনৈতিক নেতা বলেন, গাজায় চলমান খাদ্য সংকটের কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া 'অর্থহীন'।দলটির প্রধান আলোচক আল-হায়্যা দাবি করেন, আলোচনার সর্বশেষ দফায় হামাস 'সব ধরনের নমনীয়তা' দেখিয়েছে এবং 'স্পষ্ট অগ্রগতি' অর্জন করেছে। ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, জিম্মি ও বন্দি বিনিময় এবং ত্রাণ সরবরাহ নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবের সঙ্গে তারা মূলত একমত হয়েছিলেন।তিনি বলেন, ‘তারা (মধ্যস্থতাকারীরা) আমাদের কাছে ইসরায়েলের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া আসার কথা জানিয়েছিলেন, কিন্তু আমরা অবাক হয়ে দেখলাম যে দখলদার বাহিনী আলোচনা থেকে সরে গেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত (স্টিভ) উইটকফ তাদের সঙ্গে আঁতাত করেছেন।’তিনি আরও বলেন, গাজায় চলমান অবরোধ ও 'অনাহার' পরিস্থিতির মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার 'কোনো মানে হয় না'। তিনি যে কোনো আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে 'অবিলম্বে ও সম্মানের সঙ্গে খাদ্য ও ওষুধ প্রবেশ'-এর দাবি জানান এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগকে 'দখলদার বাহিনীর দর কষাকষির কৌশল' হিসেবে ব্যবহার করতে অস্বীকার করেন।তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে 'সময় নষ্ট' করার এবং ইচ্ছাকৃতভাবে আলোচনা বিলম্বিত করার অভিযোগ করেন, যাতে গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর ধ্বংসযজ্ঞ চালানো অব্যাহত রাখা যায়।এর আগে, গত শুক্রবার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনায় অবশিষ্ট দুটি বিতর্কিত বিষয় হলো জিম্মি ও বন্দি বিনিময় এবং ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারের সময়সূচি।ওই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বৃহস্পতিবার তাদের প্রতিনিধিদলকে আলোচনা থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঠিক আগে হামাস এই বিষয়গুলো নিয়ে দুটি প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। তবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে অসৎ উদ্দেশে কাজ করার অভিযোগ এনেছিল।ভোরের আকাশ//হ.র
দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে। স্কটল্যান্ডে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন।চুক্তি অনুযায়ী, ইউরোপীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করবে। সোমবার (২৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।বার্তাসংস্থাটি বলছে, স্কটল্যান্ডের টার্নবেরিতে নিজের গলফ রিসোর্টে সংবাদ সম্মেলনে ফন ডার লিয়েনের পাশে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যকার এই বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দেন ট্রাম্প।তিনি বলেন, “আজ আমরা চুক্তি করলাম, এটা খুব ভালো হলো। কোনো ধরনের খেলা না খেলে একটা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারা দারুণ ব্যাপার।”চুক্তি অনুযায়ী, ইউরোপীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ৩০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিল।এক প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র ১৫ শতাংশের নিচে শুল্ক হার নামাবে না। তিনি আরও বলেন, “এটি আমাদের আরও কাছাকাছি আনবে... এক ধরনের অংশীদারিত্ব তৈরি হবে”। এই চুক্তিকে তিনি “এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চুক্তি” বলেও উল্লেখ করেন এবং জানান, যুক্তরাষ্ট্র আরও তিন-চারটি দেশের সঙ্গে চুক্তির কথা ভাবছে।অন্যদিকে চুক্তির অংশ হিসেবে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৭৫০ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি ও সামরিক সরঞ্জাম কিনবে। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “জ্বালানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।”ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনও চুক্তির প্রশংসা করে বলেন, এটি “বড় ধরনের একটি চুক্তি”। তিনি বলেন, “বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে এই চুক্তি হয়েছে, যা কঠিন আলোচনার পর সম্ভব হয়েছে।”তিনি আরও বলেন, “এই চুক্তি স্থিতিশীলতা ও পূর্বানুমানযোগ্যতা আনবে— যা উভয়পারের ব্যবসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”ফন ডার লিয়েন বলেন, সব ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক কার্যকর হবে বলে দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি শুরুতেই জানতাম এটা কঠিন হবে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভালো একটি ফলাফলে পৌঁছাতে পেরেছি।”ভোরের আকাশ//হ.র
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ প্রকাশ্যেই এই হুমকি দিয়েছেন।একইসঙ্গে ইরানে নতুন করে হামলার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। রোববার (২৭ জুলাই) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ রোববার প্রকাশ্যেই ইরানকে নতুন করে হামলার হুমকি দিয়েছেন এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।দক্ষিণ ইসরায়েলের রামন বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে কাটজ বলেন, “আমি এখান থেকেই স্বৈরাচারী খামেনিকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই: যদি আপনি ইসরায়েলকে হুমকি দেওয়া চালিয়ে যান, তাহলে আমাদের দীর্ঘ হাত আবারও তেহরানে পৌঁছাবে, আগের চেয়ে আরও বেশি শক্তি নিয়ে এবং এবার ব্যক্তিগতভাবে আপনিও লক্ষ্যবস্তু হবেন।”ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যটি উদ্ধৃত করেছে ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথ। অবশ্য ইসরায়েলি এই হুমকির প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে ইরানের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।এর আগে গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালালে দুই দেশের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাত শুরু হয়। পাল্টা জবাবে তেহরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়, আর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়।অবশেষে এই সংঘাত গত ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া এক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে স্থগিত হয়।ভোরের আকাশ//হ.র