ছবি- সংগৃহীত
হাতে হাতকড়া পরানোয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজতখানার ওসিকে ধমক দিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলী।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে প্রিজনভ্যান থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে এ ধমক দেন সুব্রত বাইন।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানার অস্ত্র মামলায় চার্জ গঠনের শুনানি করতে বুধবার সকালে সুব্রত বাইনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতের ওসি রিপন মোল্লা তাকে হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরান।
এরপর তার হাতে হাতকড়া পরাতে গেলে ওসি হাজতকে ধমক দিয়ে ওঠেন সুব্রত বাইন। এ সময় ওসির উদ্দেশে সুব্রত বাইন বলেন, ডাণ্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় হাতকড়া কিসের। আপনি কবে থেকে ডিউটি করেন।
উল্লেখ্য, আজ রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত মামলায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ৮ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত মামলায় ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, সচিব এবং সাবেক সাংসদসহ মোট ৪৫ আসামিকে। পরে আওয়ামী লীগ ও তৎকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ শীর্ষ আসামিদের এজলাসে না তুলে, খাস কামরা থেকেই ৮ জানুয়ারির মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার আদেশ দেওয়া হয়।এদিকে, জুলাই মাসে সংঘটিত কথিত গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্কের চতুর্থ দিনের শুনানি চলছে। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন করবেন।মঙ্গলবার দিনভর এই মামলার শুনানিতে দালিলিক প্রমাণ ‘প্লেস অব অকরেন্স’, গণহত্যার বিস্তার, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর ভূমিকা এবং জুলাইয়ের ধারাবাহিক ঘটনাক্রম তুলে ধরা হয়। প্রসিকিউশন আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পাঁচটি অভিযোগ উপস্থাপন করে। এছাড়া আশুলিয়া মরদেহ পোড়ানো মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
হাতে হাতকড়া পরানোয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজতখানার ওসিকে ধমক দিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলী।বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে প্রিজনভ্যান থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে এ ধমক দেন সুব্রত বাইন।রাজধানীর হাতিরঝিল থানার অস্ত্র মামলায় চার্জ গঠনের শুনানি করতে বুধবার সকালে সুব্রত বাইনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতের ওসি রিপন মোল্লা তাকে হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরান।এরপর তার হাতে হাতকড়া পরাতে গেলে ওসি হাজতকে ধমক দিয়ে ওঠেন সুব্রত বাইন। এ সময় ওসির উদ্দেশে সুব্রত বাইন বলেন, ডাণ্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় হাতকড়া কিসের। আপনি কবে থেকে ডিউটি করেন।উল্লেখ্য, আজ রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে প্রিজন ভ্যানে করে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি। এছাড়াও সাবেক ১০ জন মন্ত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী ছাড়াও সচিব ও সাবেক সংসদ সদস্যসহ মোট ৪৫ জন।জানা গেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ট্রাইব্যুনাল-২ এ এই সাত মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এসব মামলায় তাদের বিরুদ্ধে বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারিত থাকলেও সময় আবেদন করতে পারে প্রসিকিউশন।এদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আজ। বুধবার বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ এ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যুক্তি তুলে ধরবেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।এর আগে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দিনভর এ মামলার শুনানিতে দালিলিক প্রমাণ, ‘প্লেস অব অকরেন্স’, গণহত্যার বিস্তার, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর ভূমিকা এবং জুলাইয়ের ধারাবাহিক ঘটনাক্রম তুলে ধরা হয়। প্রসিকিউশন আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পাঁচটি অভিযোগ উপস্থাপন করছে। এছাড়াও বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ সাভারের আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানো মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে আশুলিয়ায় ছয়জনের লাশ পোড়ানোসহ সাতজনকে হত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১১তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ।বুধবার (১৫ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ পেশ হবে। এদিন দুজন সাক্ষী নিজেদের জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে।গত ৯ অক্টোবর দশম দিনে সাক্ষ্য দেন শহীদ ওমর ফারুকের বাবা চান মিয়া। ১৪তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দিতে গত বছরের ৫ আগস্টের বর্ণনা তুলে ধরেন তিনি। পরে তাকে জেরা করেন পলাতক আট আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করা হয়।ট্রাইব্যুনালে ওই দিন প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর আবদুস সোবহান তরফদার।৮ অক্টোবর নবম দিনের মতো এ মামলায় সাক্ষ্য দেন এএসআই মনিরুল ইসলাম। তিনি জব্দ তালিকার সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। ৭ অক্টোবর সাক্ষ্য দেন কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম। তিনি ওই দিনের পুরো বর্ণনা তুলে ধরেন। ২৮ সেপ্টেম্বর সপ্তম দিনে নবম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়া একাত্তর টিভির স্থানীয় সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম অনিকের জেরা শেষ হয়। পলাতক আট আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।২৫ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠ দিনে অনিকসহ দুজন জবানবন্দি দিয়েছেন। ২৪ সেপ্টেম্বর প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়া শফিকুল ইসলামের জেরা শেষ হলে আট নম্বর সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাত নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন শফিকুল। একই দিন সাক্ষ্য দেন প্রত্যক্ষদর্শী মতিবর রহমান। ১৮ সেপ্টেম্বর এ মামলার তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দেন দুজন সাক্ষী। ১৫ সেপ্টেম্বর প্রথম দিনের মতো এ মামলায় সাক্ষ্য দেন শহীদ আস সাবুরের ভাই রেজওয়ানুল ইসলাম ও শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের বাবা মো. খলিলুর রহমান।গত ১৪ সেপ্টেম্বর মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্ট আশুলিয়ার সেই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা তুলে ধরেন। ২১ আগস্ট এ মামলায় ১৬ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই সময় উপস্থিত আট আসামির সাতজনই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। তবে দোষ স্বীকার করেছেন এসআই শেখ আবজালুল হক। একইসঙ্গে রাজসাক্ষী হতে চেয়ে মামলার ব্যাপারে যা জানেন সব আদালতের কাছে বলতে চেয়েছেন। পরে তার দোষ স্বীকারের অংশটুকু রেকর্ড করেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া রাজসাক্ষী হতে চাওয়া নিয়ে লিখিত আবেদন করতে বলা হয়। লিখিত আবেদনের পর রাজসাক্ষী হয়েছেন তিনি।এ মামলায় গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আবজাল ও কনস্টেবল মুকুল। তবে সাবেক এমপি সাইফুলসহ আটজন এখনও পলাতক রয়েছেন।গত ২ জুলাই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগের সঙ্গে অন্যান্য তথ্যসূত্র হিসেবে ৩১৩ পৃষ্ঠা, সাক্ষী ৬২, দালিলিক প্রমাণাদি ১৬৮ পৃষ্ঠা ও দুটি পেনড্রাইভ যুক্ত করা হয়। পরে এ মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ছয় তরুণ। এরপর পুলিশ ভ্যানে তাদের লাশ তুলে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নৃশংস এ ঘটনার সময় একজন জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাকেও বাঁচতে দেননি তারা। পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত মানুষকেই পুড়িয়ে মারা হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।ভোরের আকাশ/তা.কা