সংগৃহীত ছবি
সৌদি আরব বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশে নবনিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল্লাহ জাফর এইচ. বিন আবিয়াহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হওয়া পৃথক সাক্ষাতে উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্রসচিব রাষ্ট্রদূতকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং ঢাকায় তাকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রদূত দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে উষ্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন সৌদির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জাফর আবিয়াহ। তিনি গত ১ জুলাই ঢাকা মিশনে যোগ দেন। তিনি সৌদির সাবেক রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের স্থলাভিষিক্ত হন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
'নোটস্ অন জুলাই' পোস্টকার্ডের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকথা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।এ কার্যক্রমের আওতায় সোমবার (১৪ই জুলাই) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে ৭০০ জনের স্মৃতিকথা সংগ্রহ করা হয়েছে।তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থা এবং জেলা তথ্য অফিসসমূহের মাধ্যমে আগামী ৫ই আগস্ট পর্যন্ত 'নোটস্ অন জুলাই' পোস্টকার্ডের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকথা সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে।এতে করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এই পোস্টকার্ডে জুলাই গণঅভ্যুত্থান-সম্পর্কিত স্মৃতি ও মতামত প্রদান করতে পারবেন।ভোরের আকাশ/জাআ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, যদি আমরা কোথাও ব্যর্থ হই, সে ব্যর্থতা আমাদের সবার। কমিশন যদি ব্যর্থ হয় তাহলে এটা সবার ব্যর্থতা হবে। সেই জায়গায় আমাদেরকে বিবেচনা করতে হবে। ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৪তম দিনের আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।আলী রীয়াজ বলেন, সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, অথচ প্রত্যাশিত অগ্রগতি হচ্ছে না। অনিষ্পন্ন বিষয়গুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করে আমাদের জাতীয় সনদ তৈরির পথে এগিয়ে যেতে হবে।তিনি বলেন, বিগত কয়েক দিনের আলোচনা থেকে কাঠামোগত বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণে রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।আলোচনার মূল প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, মৌলিক বিষয়ে সবার মতামতের সমন্বয়ের মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে, কমিশন কোনো ভিন্ন সংগঠন নয় এটি রাজনৈতিক দলগুলোর সমষ্টিগত প্রয়াস। কমিশনের ব্যর্থতা মানেই আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা। আর আমাদের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই।আজকের আলোচনায় বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ-এ তথ্য জানানো হয়েছে।বৈঠকে উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য অনেক অর্থব্যয় হয়েছে। কিন্তু মূল যে উদ্দেশ্য-শিক্ষার মান বৃদ্ধি, সেটি সাধন হয়নি। আমরা মূল্যায়ন করে স্কুলগুলোকে র্যাংকিং করছি। যেসব স্কুলের বাচ্চারা পিছিয়ে আছে তাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নিচ্ছি।তিনি বলেন, মূল্যায়নে দেখা গেছে যেসব স্কুলের মান ভালো সেখানে প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতা ও তার সঙ্গে অন্য সহকর্মীদের সম্পর্ক-ব্যবহার বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। দেশের ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ বর্তমানে শূন্য রয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান বলেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন তিনি।বৈঠকে প্রধান শিক্ষক পদে পদায়নের পাশাপাশি নতুন নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কীভাবে যোগ্যদের নিয়ে আসা যায় সে বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। কয়েকটা ক্যাটাগরি করে দিতে হবে। যারা বহু বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন, অভিজ্ঞ তারা প্রাধান্য পাবেন। এর পাশাপাশি তরুণদেরও প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সুযোগ দিতে হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে।সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে সমন্বয় করে অতিদ্রুত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ দেন তিনি। এর পাশাপাশি শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রেও নীতিমালায় পরিবর্তন আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।তিনি বলেন, অনেক সময় এক উপজেলায় নিয়োগ পেয়ে পরে অন্য উপজেলায়, শহরের কাছে কোনো স্কুলে শিক্ষকরা বদলির জন্য চেষ্টা করেন, তারা সুপারিশ-তদবির নিয়ে বিভিন্ন মহলে ঘোরেন। এক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা ও প্রক্রিয়া থাকতে হবে। কেবল ওই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তিনি বদলি হতে পারবেন।স্কুলগুলোতে মেয়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, স্কুলের অবকাঠামো নারীবান্ধব কি না এসব বিষয়েও জানতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, স্কুলের ভবন নির্মাণের সময় কমিটিতে অন্তত একজন নারী স্থপতি রাখতে হবে যাতে নারীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ হয়। পরিকল্পনায়, চিন্তায়, বাস্তবায়নে মেয়েদের বিষয় আলাদা করে গুরুত্ব দিতে হবে, সব ব্যবস্থা রাখতে হবে।এছাড়া দেশের সব প্রাথমিক স্কুলকে ধারাবাহিকভাবে ইন্টারনেট সংযোগ ও মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ তৈরির বিষয়েও জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সৌদি আরব বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।সোমবার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশে নবনিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল্লাহ জাফর এইচ. বিন আবিয়াহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হওয়া পৃথক সাক্ষাতে উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্রসচিব রাষ্ট্রদূতকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং ঢাকায় তাকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন।রাষ্ট্রদূত দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে উষ্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন সৌদির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জাফর আবিয়াহ। তিনি গত ১ জুলাই ঢাকা মিশনে যোগ দেন। তিনি সৌদির সাবেক রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের স্থলাভিষিক্ত হন।ভোরের আকাশ/এসএইচ