ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার
দুই দিনের সফরে আগামী ২৭ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এই তথ্য জানান পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব এম জসীম উদ্দিন। আর পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বৈঠকে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের ঢাকা সফরসূচিও চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ২৭-২৮ এপ্রিল ইসহাক দার ঢাকা সফর করবেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে মোট ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।সোমবার (৩০ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পিএসসির জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২১ সালের ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন ক্যাডারে মোট ১ হাজার ৭১০টি শূন্য পদ ছিল। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৯০টি পদে যোগ্য প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে। তবে কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ২০টি পদ খালি থেকে গেছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও সকল প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হয়নি। যারা ক্যাডার পদে মনোনয়ন পাননি, তাদেরকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের বিধি অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে শূন্যপদের বিপরীতে মেধাক্রম অনুসারে নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd) এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে (http://bpsc.teletalk.com.bd)।ভোরের আকাশ//হ.র
প্রশাসনে অনেকদিন ধরেই ঝুলে আছে উপসচিব পদে পদোন্নতি। এ বিষয়ে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) একাধিক বৈঠক করে ফাইল ফেরত পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য। কেননা, সেখানে বেশির ভাগ কর্মকর্তা গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দায়িত্বে থাকাকালীন রাতের ভোটের কারিগর হিসেবে কাজ করছেন।এছাড়াও অনেকে আওয়ামী সুবিধাভোগী হিসেবে চিহ্নিত বলে সন্দেহ পোষণ করছে এসএসবির সদস্যরা। ফলে আবারও ঝুলে যাচ্ছে ৩০ ব্যাচের কর্মকর্তাদের উপসচিব পদে পদোন্নতি। তবে নিজেদের পদোন্নতি ভাগিয়ে নিতে জোর তদবির করছেন বিতর্কিত কিছু কর্মকর্তা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) বৈঠকে আলোচনা সাপেক্ষে পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি উপসচিব পদে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পদোন্নতিযোগ্য ২৯১ জনের মধ্যে ‘নেতিবাচক’ তথ্য পাওয়া গেছে মাত্র ৫৬ জন কর্মকর্তার। বাকি ২৩৫ জনের বিষয়ে ইতিবাচক তথ্যে এসেছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। এমন তথ্যে প্রশ্ন তুলেছেন সরকারের কর্তাব্যক্তিরা। তাদের দাবি, ফ্যাসিস্ট আমলে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তার তথ্য যাচাই করেছেন ওই আমলেই নিয়োগ পাওয়া গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এ কারণেই হয়তো তথ্যের এই হাল! তাই পদোন্নতিযোগ্য এসব কর্মকর্তার নতুন করে তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন কর্তাব্যক্তিরা। নতুন তথ্য পাওয়ার পর পদোন্নতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে সুপারিশকারী সংস্থা ‘সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)’। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েল এপিডি উইং সূত্রে জানা যায়, ৩০তম ব্যাচের তালিকা প্রস্তুত করে এসএসবির বৈঠকও হয়েছে। তবে সেখানে বেশির ভাগ কর্মকর্তা গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সুবিধাভোগী থাকতে পারে বলে সন্দেহ পোষণ করে এসএসবি। ফলে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পুনরায় প্রত্যেকের ব্যাপারে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ফাইল ফেরত পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাই শেষ হলে এসএসবি আবার বৈঠক করবে। জানা গেছে, প্রশাসনে ৪৩০টি সুপারনিউমারারি পদসহ উপসচিবের অনুমোদিত পদ ১ হাজার ৪২৮টি। জনপ্রশাসনের সরকারি কর্মচারী বাতায়নের (জেমস) তথ্য অনুসারে উপসচিব পদে কর্মরত আছেন ১ হাজার ৪০৩ জন। ৩০তম ব্যাচের ২৭৭ জন আর বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডারের ২৫ জন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এই ব্যাচে। ফলে পদোন্নতি যোগ্য ২৯০ জনের মতো কর্মকর্তা রয়েছেন। পাশাপাশি অন্য ক্যাডার থেকেও উপসচিব পদোন্নতির জন্য ২ শতাধিক কর্মকর্তা রয়েছেন। উপসচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পাঁচ বছর চাকরিসহ কমপক্ষে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মতে, তাদের চাকরি ইতিমধ্যে ১৩ বছর হয়েছে। আরো জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২০১২ সালের ৩ জুন সরকারি চাকরিতে যোগ দেন বিসিএস ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তারা। সে হিসেবে তাদের উপসচিব পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জিত হয় ২০২২ সালের ৩ জুন। নানা কারণে এর দুই বছর পর ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি উপসচিব পদে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গঠিত হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে মন্ত্রিপরিষদসচিব, মুখ্য সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবসহ এসএসবিতে বড় পরিবর্তন আসে। চাপ বাড়ে আওয়ামী আমলে বঞ্চিত বিএনপি-জামায়াত সমর্থক কর্মকর্তাদের পদোন্নতির। পর্যায়ক্রমে আগের বঞ্চিত বিভিন্ন স্তরের প্রায় ৭০০ কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়। পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে তাদের সুপারিশে আওয়ামী আমলে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো এবং বছরের পর বছর ওএসডি থাকা ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে উপসচিব পদে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের তথ্য আসে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। এতে দেখা যায়, নিয়মিত হিসেবে ৩০তম ব্যাচের ২৯১ জন কর্মকর্তার মধ্যে ৫৬ জনের বিষয়ে ‘নেতিবাচক’ তথ্য পাওয়া গেছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। যা অনেকটা নজিরবিহীন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।জনপ্রশাসনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, উপসচিব পদোন্নতির জন্য প্রশাসন ক্যাডারের ৩১৭ জন এবং অন্যান্য ক্যাডারের ২০৮ জন কর্মকর্তাকে বিবেচনায় নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা এবং ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলার তথ্য পেয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চলতি সপ্তাহে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) এর সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিসিএস ৩০তম প্রশাসন ক্যাডারে ২৭৭ জন কর্মকর্তাকে ২০১২ সালে নিয়োগ দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এই কর্মকর্তাদের বেশিরভাগই রাতের ভোটের কারিগর। ২০১৮ নির্বাচনে সহকারী রিটানিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে রাতেই ভোট সম্পন্ন করেন। ছাত্রজনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে এই কর্মকর্তারাই ভোল পাল্টিয়ে নিজেদের বঞ্চিত দাবি করতে শুরু করে। রাতের ভোটে দায়িত্ব পালন করে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে প্রাইজ পোস্টিং নিয়ে এবার তারা উপসচিব পদোন্নতির জন্য তোড়জোর চালাচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে কর্মরতদের সাথে নিয়ে দল বেধে এসএসবির সদস্যদের ম্যানেজের চেষ্টা করছেন। উপসচিব পদোন্নতির জন্য দল বেধে সচিব এবং উপদেষ্টাদের কাছে তদবির এর কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৩০ ব্যাচের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নিকারুজ্জামান। তারা বাবা ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার আপন ছোটভাই তানভীর চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক। রাতের ভোটে এই কর্মকর্তা কক্সবাজারের উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন। পদোন্নতির তদবিরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আরেক আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা বারীউল করিম খান। এই কর্মকর্তা শেখ হাসিনার শাসনামলে জনপ্রশাসন সচিব মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরীর একান্ত সচিব ছিলেন। ৫ আগস্টের পর তাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে বদলি করা হলে তিনি সেখানে যোগদানও করেন। এরপর নতুন নিয়োগ পাওয়া জনপ্রশাসন সচিব মোখলেসুর রহমানকে ম্যানেজ করে তার একান্ত সচিব হিসেবে থেকে যান। পরবর্তীতে সমালোচার মুখে মোখলেসুর রহমান তাকে সরিয়ে দিলে তারই ব্যাচমেট নুর এ আলমকে একান্ত সচিব হিসেবে নিয়ে আসেন। আওয়ামী সুবিধাভোগী বারীউল করিম খান এর আগে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেছেন। ২০২১ সালে তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলার মানুষকে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, সেই সোনার বাংলা গড়ে তুলেছে আমরা তিলে তিলে’। সিলেটের কানাইঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকাকালে ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল বন্ধ করতে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছিলেন এই কর্মকর্তা। পদোন্নতির তদবিরে রাতের ভোটের যে সকল কারিগর রয়েছেন তারা হলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কাজী হাফিজুল আমিন। তিনি শেখ হাসিনার সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে ঢাকা জেলার এডিসি, গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার ইউএনও পদায়ন ছিলেন এই কর্মকর্তা। ৫ আগস্টের কয়েকদিন আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যোগদান করলেও ৫ আগস্টের পর ভোল পাল্টে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার একান্ত সচিব হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে এই কর্মকর্তা বেরিয়ে এলে তড়িঘড়ি করে তাকে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। ২০২৪ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ জেলায় ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হাফিজুল আমীন। ফরিদপুরের নগরকান্দার রাতের ভোটের কারিগর ছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বদরুদ্দোজা শুভ। এই কর্মকর্তা ৫ আগস্টের পর কোন ভোট ছাড়াই ব্যাচের সভাপতি পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নাজমুল আলম ছিলেন তথ্য সচিবের একান্ত সচিব। ২০১৪ সালের নির্বাচনে কাজ করেছেন যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে পালিয়ে বেড়ানো পুরবী গোলদার ছিলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার রাতের ভোটের কারিগর। ২০২৪ সালের নির্বাচনেও এই কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ভোল পাল্টিয়ে এই কর্মকর্তা ৫ আগস্টের পর ব্যাচের গঠিত কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে মনোনিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রীর একান্ত সচিব নকিব তরফদার ছিলেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার রাতের ভোটের কারিগর। জামালপুর জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদির মিয়া রাতের ভোটে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছেন। তেজগাঁও রাজস্ব সার্কেলের এসিল্যান্ড, ঢাকার এডিসি এলএ থাকাকালী দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছিল। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর এপিএস থাকাকালীন তিনি ব্যাচের কর্মকর্তাদের সরকারবিরোধী ট্যাগ দিয়ে হয়রানি করতেন বলে জানা গেছে। চট্রগ্রামের পটিয়া উপজেলার রাতের ভোটের কারিগর ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনরে উপপরিচালক হাবিবুল হাসান। আওয়ামী সুবিধাভোগী হওয়ায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজ করেছেন। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ ওরফে সনেট তাবরীজ ছিলেন চটগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার রাতের ভোটের কারিগর। শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার রাতের ভোটের কারিগর ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের প্রথম সচিব সাব্বির আহমেদ। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রাতের ভোটের কারিগর ছিলেন আল ইমরান রুহুল ইসলাম। এরপর তাকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়। হবিগঞ্জের একটি উপজেলা আওয়ামী লীগের জামাই এই কর্মকর্তার তার ফেসবুকে ধর্মবিরোধী নানা পোস্ট করতেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রাতের ভোটের কারিগর ছিলেন পঙ্কজ বড়ুয়া। সে সময় তিনি সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী আ. ম. ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে এমপি নির্বাচিত করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। ২০২২ সালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে নোয়াখালী জেলায় পদায়ন হওয়ার পরও সেখানে যোগদান না করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঐ আদেশ বাতিল করে নিজ পছন্দে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পোস্টিং নেন। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়া অধ্যাপক ডা: বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সত্যজিত রায় দাশ। এই কর্মকর্তার ভাই বিশ্বজিত রায় দাশ খাগড়াছড়ি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০২৪ এর নির্বাচনে টাঙ্গাইলের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।পাবনার সুজানগর উপজেলার রাতের ভোটের কারিগর ছিলেন স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সুজিৎ দেবনাথ। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার রাতের ভোটের কারিগর ছিলেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব এবং বর্তমানে নদী রক্ষা কমিশনের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল জাকী। এই কর্মকর্তা এর আগে নরসিংদীর এডিসি, গাজীপুর সদরের ইউএনও এবং নারায়ণগঞ্জ সদরের এসিল্যান্ড হিসেবে কাজ করেছেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব রুবায়েত হায়াত শিপলু ছিলেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার রাতের ভোটের কারিগর। এছাড়াও এই কর্মকর্তা নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এবং সোনারগাঁও উপজেলার এসিল্যান্ড হিসেবে কাজ করেছেন। ডাল ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব এবং বর্তমানে নড়াইল জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান। এই কর্মকর্তা এর আগে কেরানিগঞ্জের এসিল্যান্ড, বিতর্কিত ২০১৮ সালের নির্বাচনে টাঙ্গাইল সদরের সহকারী রিটানিং অফিসার, সাভারের ইউএনও এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজ করেছেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. হুমায়ুন কবির ছিলেন নরসিংদীর শিবপুরের রাতের ভোটের কারিগর। তৎকালীন ওএসডি হওয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন এর ক্যাশিয়ার খ্যাত এই কর্মকর্তা গাজীপুরের এডিসি, মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের ইউএনও, নরসিংদীর রায়পুরার এসিল্যান্ড এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজ করেছেন।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব এবং বর্তমানে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাহফুজুর রহমান। গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার রাতের ভোটের কারিগর এই কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জের এডিসি, নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের এসিল্যান্ড হিসেব কাজ করেছেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শিমুল কুমার সাহা কাজ করেছেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে। খুলনার কয়রা উপজেলার রাতের ভোটের এই কর্মকর্তা এর আগে নড়াইল সদর উপজেলার এসিল্যান্ড হিসেব কাজ করেছেন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব স্নেহাশীষ দাশ এর আগে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে কাজ করেছেন। এর আগে তিনি চাদপুরের মতলব ও কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন। ২০২৪ এর নির্বাচনে রাজবাড়ী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছেন।জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব ও বর্তমানে রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম। এই কর্মকর্তা আগে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং ২০১৮ এর বির্তকিত নির্বাচনে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার সহকারী রিটানিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন সারোয়ার এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এর আগে তিনি রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন।র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এর আইন কর্মকর্তা ও বর্তমানে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মাজহারুল ইসলাম। এই কর্মকর্তা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এর আইন কর্মকর্তা হিসেবে চার বছর র্যাবের বিভিন্ন অপকর্মের বৈধতা দিয়েছেন। টাঙ্গাইলের গোপালপুরের রাতের ভোটের কারিগর জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব বিকাশ বিশ্বাস। চার বছরের বেশি সময় ধরে একই বিভাগে কর্মরত আছেন তিনি। ধনঞ্জয় কুমার দাশের বিশ্বস্ত এ কর্মকর্তা ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি এই পদে যোগ দেন।অর্থ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব দেবাংশু কুমার সিংহ মাঠ প্রশাসনে সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার ও সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব এবং বর্তমানে গোপালগঞ্জের জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ। বরিশালের সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ এর ভাগ্নে পরিচয়ে দাপটের সাথে চাকুরি করেছেন। তিনি ছিলেন ঢাকার লালবাগ সার্কেল এবং নরসিংদীর পলাশ উপজেলার এসিল্যান্ড। ইউএনও হিসেবে চাকুরি করেছেন ঢাকার কেরানীগঞ্জ এবং টাঙ্গাইলের কালীহাতি উপজেলায়। রাজউকের উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মত লোভনীয় জায়গায় কাজ করেছেন এই কর্মকর্তা।বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রাতের ভোটের কারিগর ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আলমগীর কবীর, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর রাতের ভোটের কারিগর ছিলেন জেনেভার প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) রাজীবুল ইসলাম খান, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর রাতের ভোটের কারিগর ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাশফাকুর রহমান, সিলেটের বিয়ানী বাজারের রাতের ভোটের কারিগর ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কাজী আরিফুর রহমান, নীলফামারীর ডিমলার রাতের ভোটের কারিগর ছিলেন বোয়েসেলের উপমহাব্যবস্থাপক মোছা. নাজমুন নাহার, ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রাতের ভোটের কারিগর ছিলেন শেরপুর জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার শাম্মী, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রাতের ভোটের কারিগর ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সেজুতি ধর, সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার রাতের ভোটের কারিগর ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সফি উল্লাহ, রাতের ভোটের নওগার সাপাহার উপজেলার কারিগর পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব কল্যাণ চৌধুরী, লালমনির হাট সদর উপজেলার রাতের ভোটের কারিগর বর্তমানে রংপুর সিটি করপোরেশনের সচিব জয়শ্রী রাণী রায়।বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ৩০তম বিসিএস ব্যাচের উপ-সচিব না হতে পারা কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘদিন পদবঞ্চিত সিনিয়রদেরও সরকার পদোন্নতি দিয়েছে। তাদের পদের অনুকূলে অর্থছাড়ও হয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো ৫ গ্রেড অর্থাৎ উপসচিব হতে পারলাম না।তারা জানান, ২০১২ সালে চাকরিতে যোগদান করে ১৩ বছর পার করেছেন। কিন্তু পদোন্নতি পাননি। যেখানে ২৯তম বিসিএস কর্তার ১২ বছর ৩ মাসে পদোন্নতি পান। ২৮তম বিসিএস ক্যাডাররা ১১ বছর ১১ মাসে ৫ম গ্রেড পেয়েছেন।তারা আরও বলছেন, একই ব্যাচের কাস্টম, ট্যাক্স, পররাষ্ট্রসহ কয়েকটি ক্যাডারের কর্মকর্তারা ১০ বছর পার হতেই পদোন্নতি পেয়ে উপসচিব হয়েছেন। এর মধ্যে নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের কর্মর্তারা ১০ বছর পরই পদোন্নতি পেয়েছেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ক্যাডাররা ১০ বছর ৫ মাসে অর্জন করেছেন পদোন্নতি। পররাষ্ট্র ক্যাডার ১০ বছর ৬ মাসে পেয়েছেন। গণপূর্ত ক্যাডারদের লেগেছে ১০ বছর ১১ মাস। ৩১তম ব্যাচের পররাষ্ট্র ক্যাডাররা ১১ বছরেই পেয়ে গেছেন উপসচিব পদ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ শূন্য রয়েছে, যা মোট অনুমোদিত পদের ২৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ‘২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান’ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিতে মোট ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে চার লাখ পদের বিপরীতে এখনো কোনো নিয়োগ হয়নি।গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শূন্য পদের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।২০১৮ সালে শূন্য ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি পদ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫টি২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি২০২২ সালে বেড়ে হয় ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টিআর ২০২৩ সালে তা দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭৩ হাজার ১টিতেসরকারি চাকরিতে বিভিন্ন গ্রেডভিত্তিক শূন্য পদের চিত্র বিশ্লেষণে উঠে এসেছে:প্রথম থেকে নবম গ্রেড (সাবেক প্রথম শ্রেণি):মোট অনুমোদিত পদ ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি। কর্মরত আছেন ১ লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। শূন্য পদ ৬৮ হাজার ৮৮৪টি।দশম থেকে দ্বাদশ গ্রেড (সাবেক দ্বিতীয় শ্রেণি):মোট পদ ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি, যার মধ্যে ১ লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি খালি।১৩ থেকে ১৬তম গ্রেড (সাবেক তৃতীয় শ্রেণি):৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি অনুমোদিত পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি।১৭ থেকে ২০তম গ্রেড (সাবেক চতুর্থ শ্রেণি):মোট পদ ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি। কর্মরত ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। শূন্য পদ ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি।অন্যান্য ও নির্ধারিত কাজে:১৬ হাজার ১১৬টি পদের মধ্যে কর্মরত ৭ হাজার ৮৯০ জন, বাকি ৮ হাজার ১৩৬টি শূন্য।প্রথম থেকে দ্বাদশ গ্রেড পর্যন্ত গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। অন্যদিকে, ১৩ থেকে ২০তম গ্রেড পর্যন্ত পদে সরাসরি নিয়োগ দিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।কোথায় কত পদ শূন্যপরিসংখ্যানে আরও বলা হয়েছে—বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে শূন্য পদ রয়েছে ৬ হাজার ৬৪টিবিভিন্ন অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টিবিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শূন্য পদ ১৫ হাজার ২৯টিস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ১ লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ খালি রয়েছেভোরের আকাশ//হ.র
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সোমবার (৩০ জুন) এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম এবং একইসঙ্গে একটি বার্তা প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বার্তায় বলা হয়, মার্কো রুবিও ও ড. ইউনূস দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করার পাশাপাশি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদারে উভয় দেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।এ সময় তারা পারস্পরিক সহযোগিতা, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব এবং আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয় এবং তা প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী ছিল।তিনি লিখেছেন, “ফোনালাপটি ছিল অত্যন্ত উষ্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ফলপ্রসূ। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতিফলন।”ভোরের আকাশ//হ.র