অতিরিক্ত ডিআইজি ও পুলিশ সুপারসহ ১৬ কর্মকর্তার বদলি
পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন স্তরে দায়িত্বে রদবদল এনেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (৯ জুলাই) জননিরাপত্তা বিভাগের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে পাঁচজন অতিরিক্ত ডিআইজি, ১০ জন পুলিশ সুপার ও একজন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনারসহ মোট ১৬ জন কর্মকর্তার কর্মস্থল পরিবর্তন করা হয়।
পাঁচ অতিরিক্ত ডিআইজি যাঁরা বদলি হয়েছেন: রেবেকা সুলতানা – পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বদলি হয়ে গেছেন অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি),ফয়সল মাহমুদ – রাজশাহীর সারদা থেকে সিলেট রেঞ্জে,আশরাফুল ইসলাম – অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে,ফারুক আহমেদ – সদর দপ্তর থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদর দপ্তরে, মিজানুর রহমান – স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে ঢাকার ট্রাফিক ড্রাইভিং স্কুলে (টিডিএস) ।
পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১০ কর্মকর্তা যাঁরা নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন: আ ক ম আকতারুজ্জামান বসুনিয়া – হাইওয়ে পুলিশ থেকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে, মো. সাখাওয়াত হোসেন – বরিশাল ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার থেকে রাজারবাগ পুলিশ টেলিকমে, মো. খাইরুল ইসলাম – হাইওয়ে পুলিশ থেকে ট্যুরিস্ট পুলিশে, খন্দকার নুর রেজওয়ানা পারভীন – পিবিআই থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে, মীর আবু তৌহিদ – নোয়াখালীর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার থেকে সিআইডিতে, মো. মিজানুর রহমান – ট্যুরিস্ট পুলিশ থেকে এপিবিএনে, আবুল বাশার মো. আতিকুর রহমান – খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে সিআইডিতে, সৈকত শাহীন – কুষ্টিয়া ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার থেকে শিল্পাঞ্চল পুলিশে, কাজী মো. আবদুর রহীম – এটিইউ থেকে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে, মো. আব্দুল্লাহ আল ইয়াছিন – সিআইডি থেকে বরিশাল ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে
অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার যিনি বদলি হয়েছেন: মো. আমিনুর রহমান – সিলেট মহানগর পুলিশ থেকে স্পেশাল ব্রাঞ্চে (এসবি) ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই বদলি আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
‘হাত রেখে হাতে, উত্তম খাদ্য ও উন্নত আগামীর পথে’ প্রতিপাদ্যে আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হবে।বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান। অনুষ্ঠানে খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি, কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং টেকসই খাদ্য উৎপাদনের বিভিন্ন দিক নিয়ে গুরুত্বপূর্ন আলোচনা হবে।এফএও ছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করে এই দিবস পালন করে থাকে। ২০২০ সালে খাদ্য সংকট মোকাবেলা, সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা এবং যুদ্ধ ও সংঘাতের অস্ত্র হিসাবে খাদ্যের ব্যবহার বন্ধ করতে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করায় ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’ নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।বিশ্ব খাদ্য দিবস (ডব্লিউএফডি) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৯ সালের নভেম্বর মাসে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর ২০তম সাধারণ সম্মেলনে। এই উদ্যোগটি আসে হাঙ্গেরির প্রতিনিধিদল থেকে, যার নেতৃত্বে ছিলেন হাঙ্গেরির সাবেক কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী ডাঃ পাল রোমানি। তিনি সম্মেলনের ২০তম অধিবেশনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে বিশ্বব্যাপী বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপনের ধারণা প্রস্তাব করেন।এরপর থেকে এই দিবসটি মূলত দারিদ্র্য ও ক্ষুধার পেছনের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হচ্ছে। ১৯৮১ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্ব খাদ্য দিবসের জন্য একটি নির্দিষ্ট ‘প্রতিপাদ্য’ নির্ধারণ করা হয়, যার মাধ্যমে দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। বর্তমানে ১৫০টিরও বেশি দেশে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্বজুড়ে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই দিবসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন কর্মসূচি ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর)। স্বাক্ষরে আগের দিন তিন দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা আইনি ভিত্তি ছাড়া এবং অর্ডারের ব্যাপারে নিশ্চয়তা ছাড়া যদি সনদে স্বাক্ষর করি, সেটা মূল্যহীন হবে। পরের সরকার এলে কীসের পরিপ্রেক্ষিতে দেবে, কী টেক্সট হবে; সে নিশ্চয়তা আমরা চাই। সেই বিষয়টা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা জুলাই সনদের স্বাক্ষরের যেই অনুষ্ঠান বা যেই আয়োজনটা চলছে, সেখানে আমরা নিজেরা অংশীদার হবো না।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবির বিষয়ে জানান।তিনটি দাবি হলো১. জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের 'টেক্সট' এবং গণভোটের প্রশ্নটি চূড়ান্ত করে আগেই জনগণের কাছে প্রকাশ করতে হবে।২. জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন।৩. গণভোটের মাধ্যমে জনগণ যদি জুলাই সনদে রায় দেয়, তবে 'নোট অব ডিসেন্ট' এর কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। গণভোটের রায় অনুযায়ী আগামী নির্বাচিত সংসদ তাদের উপর প্রদত্ত Constituent Power বলে সংবিধান সংস্কার করবে। সংস্কার করা সংবিধানের নাম হবে - বাংলাদেশ সংবিধান, ২০২৬।তিনি আরও বলেন, তিনটি বিষয় পরিষ্কার হওয়ার পরেই জুলাই সনদ স্বাক্ষরের যে অনুষ্ঠান সেটা হতে পারে। সেটা সেখানে আমরাও অংশগ্রহণ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব। তবে এই বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জুলাই সনদ আসলে স্বাক্ষরের এটা একটা আনুষ্ঠানিকতা। সেই আনুষ্ঠানিকতা পাঠ হওয়া, না হওয়া একই বিষয়। বরং জনগণের সামনে এই বিষয়গুলো স্পষ্ট না করে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের এই আয়োজন করাটা একটা ছলচাতুরীর মতো মনে হবে। ফলে আমরা জনগণকে কোনো অন্ধকারে রাখতে চাই না।তিনি আরও বলেন, এই সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন করবে, কোন প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন করবে সেটি আগেই জনগণের সামনে এবং আমাদের কাছে পরিষ্কার করতে হবে। আগামীকালের যে অনুষ্ঠান সে অনুষ্ঠানের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আহ্বান থাকবে সরকার এবং জাতীয় কমিশনের প্রতি যে, আপনারা এই দাবিগুলো বিবেচনা করুন। এই দাবিগুলো শুধু আমাদের যে একক দাবি এরকম নয়। গতকাল অনেকগুলো দল বলেছে এই সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, এটা নিয়ে অনেকেরই ভিন্ন মত আছে এবং অনেকের মধ্যে অস্পষ্টতা আছে, তাহলে একটা জিনিস অস্পষ্টতা রেখে সবাই এক জায়গায় এসে একটা বিশাল সেলিব্রেশনের মাধ্যমে স্বাক্ষর করার যে আয়োজন, এটার তো কোনো মিনিং রাখে না।ভোরের আকাশ/তা.কা
২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের ২০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল করেছে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার সভাকক্ষে বাংলাদেশ আন্তঃ শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি জানান, ২০২৪ সালে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৫টি। এবার সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২টি।এদিন সকাল ১০টায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ১৯ শতাংশ কম। ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ছয় লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ছয় লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন। দেশের দুই হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষার্থী দুই লাখ ৯১ হাজার ২৪১ জন, রাজশাহীতে এক লাখ ৩৩ হাজার ২৪২ জন, কুমিল্লায় এক লাখ এক হাজার ৭৫০ জন, যশোরে এক লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ জন, চট্টগ্রামে এক লাখ ৩৫ জন, বরিশালে ৬১ হাজার ২৫ জন, সিলেটে ৬৯ হাজার ৬৮৩ জন, দিনাজপুরে এক লাখ তিন হাজার ৮৩২ জন এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৭৮ হাজার ২৭৩ জন। এ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজার ১০২ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন।যেভাবে জানা যাবে পরীক্ষার ফলশিক্ষার্থীরা প্রতিটি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের ‘Result’ কর্নারে গিয়ে বোর্ড, রোল নম্বর ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নম্বর দিয়ে ফল ডাউনলোড করতে পারবেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কলেজ থেকেও ফল জানা যাবে।অন্যদিকে, এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে- এর জন্য মোবাইলে লিখতে হবে : HSC বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস রোল নম্বর স্পেস 2025 এবং পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে ফল প্রকাশিত হয়। এবারের পাশের হার পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ।ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ বোর্ডের পাশাপাশি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড নিজ নিজ উদ্যোগে ফল প্রকাশ করেছে।শিক্ষার্থীরা তিনভাবে ফল জানতে পারবেন—১. অনলাইনে: www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে বোর্ড, রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে।২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে: সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে।৩. এসএমএসে: মোবাইলে লিখতে হবে — HSC <স্পেস> বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর <স্পেস> রোল <স্পেস> বছর এবং পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে।এদিকে, ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন গ্রহণ করা হবে ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। আবেদন করা যাবে অনলাইনে https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে। কোনো শিক্ষা বোর্ড বা অফিসে সরাসরি আবেদন গ্রহণ করা হবে না।ভোরের আকাশ/তা.কা