ফাইল ছবি
সাত দফা দাবিতে আগামী ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম করতে চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি এই সমাবেশে বড় ধরনের শোডাউনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রস্তুত করা হচ্ছে প্যান্ডেল ও মঞ্চ।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে মাঠের প্রস্তুতি দেখতে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে একটি টিম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করেছেন।
জামায়াতের সাত দফা দাবিগুলো হলো- সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামী ৫ আগস্টের পর কখনোই নির্বাচন পেছানো বা আগানোর কথা বলেনি। তিনি আরও বলেন, সরকার যখনই নির্বাচন দেবে, জামায়াতে ইসলামী সে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। তবে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, যেন-তেন কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এছাড়া বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয় না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল উদ্যানের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং জাতীয় সমাবেশ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। সেই সঙ্গে জাতীয় সমাবেশ সফল করতে সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি কামাল হোসাইন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম।
ভোরের আকাম/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
দেশীয় ও আর্ন্তজাতিকসহ বহুমাতৃক চক্রান্তের কবলে এখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতি এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে জনবিরোধী দল হিসেবে উপস্থাপনের পাঁয়তারা চলছে। যা এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তাই চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাসের মতো পরিকল্পিত বিভিন্ন অপবাদ চাপানোর কৌশলের শিকার হচ্ছে দলটি। দেশ-বিদেশে বিএনপির ইমেজ ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে কয়েকটি বিশেষ মহল।বিশিষ্ট রাজনীতিবিদের মতে, দেশ ও জনকল্যাণমুখী দল হিসেবে দেশ-বিদেশে বিএনপির যে সুনাম রয়েছে, সেই মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বিদেশি চক্রান্ত। পাশাপশি দেশীয় কয়েকটি দৈনিক পত্রিকাসহ বেশ কয়েকটি মিডিয়া ভুল তথ্য উপস্থাপন করে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে বলেও মনে করেন তারা।সাবেক মন্ত্রী ও বিএলডিপি-এর প্রেসিডেন্ট এ. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এক সময়ে যে সব রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে একযোগে আন্দোলন করেছে, এর মধ্যে কতিপয় রাজনৈতিক দল এখন ক্ষুদ্র স্বার্থে অস্বাভাবিক আচরণ করছে। দেশে কোনো ধরনের অপকর্ম হলে তারা সরকারকে দায়ী না করে বিএনপিকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর হীন চেষ্টা করছে।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর মো. শাহ আলম বলেন, জনগণের কাছে ভুল তথ্য উপস্থান করছে কিছু মহল। একইসঙ্গে দলীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়েও রয়েছে নানামুখী ষড়যন্ত্র। নির্বাচনের পিআর পদ্ধতি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করাও একটি নির্বাচনবিরোধী চক্রান্ত। এছাড়া, দেশে কোনো ঘটনা ঘটলেই কোন কোন স্বার্থন্বেষী রাজনৈতিক দল বিএনপির হাইকমাণ্ডের ওপর দায় চাপাচ্ছে দেশকে বিরাজনীতিকরণের নীল নক্সারই অংশ।তিনি বলেন, বিগত দিনের হাওয়া ভবনের কল্পকাহিনীসহ পুরাণ ঢাকার সোহাগ হত্যাকাণ্ডের মধ্যে এই ষড়যন্ত্র বা চক্রান্তের উপস্থিতি রয়েছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হওয়ায় দলটিকে অপপ্রচারের মাধ্যমে দাবিয়ে রাখার কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে।তিনি আরও বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়, এখন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সকল ষড়যন্ত্রেও বিরুদ্ধে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। নির্দিষ্ট কিছু সোশ্যাল মিডিয়া আইডি ও পেজ থেকেও বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি বিশেষ মহল।এদিকে, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান এখন বাংলাদেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করায় একটি গোষ্ঠী তার ইমেজ নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে। দেশের সমসাময়িক রাজনীতি, সংস্কার উদ্যোগ, অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের বিচার, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন বিষয়ে উল্লেখ করে গত শনিবার বিকালে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি উদযাপনের অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভাচুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশে ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি, ষড়যন্ত্র আরও শুরু হয়েছে, জোরেশোরে শুরু হয়েছে।একইসঙ্গে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ সকল দেশ প্রেমিক জনগণকে সোচ্চার ও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন আমাদের সকলকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আমাদের যে যুদ্ধ ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সেই যুদ্ধ কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি।বিএনপির বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ ও জনপ্রিয় রাজনৈতক দল বিএনপি। এ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য দেশ-বিদেশে চক্রান্ত রয়েছে। যারা রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট এবং জাতীয় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও অনিশ্চিত করতে চান এবং প্রকারান্তরে ফ্যাসিবাদ উত্থানের পথ সৃষ্টি করতে চান, তারাই বিএনপি বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।তিনি জোর দিয়ে বলেন, গুটিকয়েক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারীর অপচেষ্টায় বাংলাদেশ ব্যর্থ হতে পারে না। তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করার যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার এবং প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সব গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের অঙ্গীকার করেন। পাশাপশি যারা বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য জনগণের মধ্য উপস্থাপন করছে তাদের চিহ্নিত করা ও প্রতিহত করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, পতিত স্বৈরাচার আর কাপুরুষ ষড়যন্ত্রকারীদের মিলিত অপচেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং আগামীর বাংলাদেশ গড়ার পথে যদি কোনো বাধা হয়ে আসে তবে সেটা ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক শক্তির মাধ্যমে প্রতিহত করা হবে।দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবনতির ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে দায়িত্বশীল সব রাজনৈতিক দল সচেতন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত এ জাতীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ বাধাগ্রস্ত হলে তার দায় সংশ্লিষ্টদেরই বহন করতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত অপপ্রচার ও চরিত্রহননের চেষ্টা চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আধিপত্যবাদী শক্তি কখনও পছন্দ করে না। তারা জানে, জাতীয়তাবাদী শক্তি স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে ছাড় দেবে না। গণতন্ত্রের প্রশ্ন ছাড় দেবে না, জনগণের অধিকারের প্রশ্নে ছাড় দিবে না।এ কারণেই আজকে একটার পর একটা সংঘাতমূলক ও সহিংস ঘটনা, রক্তপাতের ঘটনা তৈরি করা হচ্ছে। আধিপত্যবাদী শক্তি এবং তার দালালরা গভীর চক্রান্ত করছে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তাদের পাতানো ষড়যন্ত্রের জালে আমাদের নেতাকর্মী বা আমাদের পক্ষের যারা সমর্থক, পেশাজীবী সংগঠন কাউকে পা দেওয়া যাবে না।কোনো ইসলামী সংগঠন প্রোপাগান্ডা ও বিভিন্ন কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে ফেসবুকে ছড়াচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, বিএনপির নামে শুরু থেকে অপপ্রার চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ পিআর পদ্ধতিতে নিবার্চনের দাবি শুরু হলো, এটা ছাড়া আমরা নির্বাচন করবো না, নির্বাচনে যাবো না। এটার উদ্দেশ্যটা আমরা এখন বুঝতে পারি। বিএনপির এই নেতা মনে করেন, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সব অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র আমরা সামাল দিতে পারবো। কারণ জনগণ তো আমাদের সঙ্গে আছে। ওরা (অস্পষ্ট) ভয় পাচ্ছে, জনগণ যদি তাদের সঙ্গে থাকতো, তাহলে ওরা কোনোদিনই নির্বাচন পেছানোর কথা বলতো না। পিআরের কথা বলতো না। ধোঁয়াশা তৈরি করে পানি ঘোলা করে মাছ শিকারের প্রচেষ্টায় তারা কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, জনমনে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টের চেষ্টা করে বিএনপির কাঁধে দায় চাপানোর চেষ্টা একটি বিশেষ মহল।এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, মিটফোর্ডে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। এ ঘটনায় বিএনপি ও তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া স্লোগান প্রসঙ্গে অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, শব্দের ব্যবহারে আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। মিছিলে উচ্চারিত নানা স্লোগানে বিএনপিকে আক্রমণ করা হয়। বিশেষ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে টার্গেট করে স্লোগান দেওয়া হয়। কিছু অশ্লীল ও অশোভন ভাষার বাক্য উচ্চারণ করতেও দেখা যায়। স্লোগানের এমন ভাষা নিয়ে যেমন- একদিকে বিতর্ক এবং সমালোচনা চলছে; অন্যদিকে জুলাই গণঅভ্যূত্থান পরবর্তী ইতিবাচক ভাবমূর্তি নিয়ে আবির্ভূত তারেক রহমানকে রাজনৈতিকভাবে হেনস্তা করতেই এসব মিছিলের আয়োজন কি না, এমন প্রশ্নও উঠেছে। সর্বোপরি এসব মিছিল এবং মিছিলে দেওয়া স্লোগানের পেছনে রাজনৈতিক কোনো চক্রান্ত রয়েছে বলেও মন্তব্য করছেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস এবং তার দুই স্ত্রী মমতাজ বিশ্বাস ও আশানুর বিশ্বাসের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৪ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক তানজিল আহমেদ এ তথ্য জানান।আবেদনে বলা হয়, আবদুল লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আবদুল লতিফ বিশ্বাস ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং দেশের বাইরে দুর্নীতি ও অবৈধভাবে অর্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।জানা গেছে, আবদুল লতিফ বিশ্বাস এবং তার পরিবারের সদস্যরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পালানো এবং তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন।বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।ভোরের আকাশ/জাআ
দেশে ‘মবতন্ত্র’ কায়েমের চেষ্টা করা হলে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে দেশে ‘গুপ্ত’ রাজনীতি চলমান রয়েছে।সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ‘গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।রাকিব বলেন, যখন সারাদেশে হত্যাকাণ্ড ঘটছে তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের দায় রয়েছে। কিন্তু রাতের আঁধারে গুপ্ত সংগঠনের নেতাকর্মীরা যে মিছিল করেছে, সেখানে তারা সরকারের ব্যর্থতা দেখে না। তারা এটিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে তারেক রহমানকে জড়িয়ে যে লজ্জাজনক অপপ্রচার চালিয়েছে, সেটি দ্বারাই প্রমাণিত হয় এই নির্দলীয় সরকার এরই মধ্যেই তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে।গুপ্ত সংগঠনের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, অবিলম্বে নোংরা অপপ্রচার ও গোপন ষড়যন্ত্র থেকে ফিরে আসুন।এর আগে, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। মিছিলে অংশ নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার চার মহানগরসহ রাজধানীর বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, থানাসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন।ভোরের আকাশ/জাআ
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উত্তরণ বন্ধ ও নির্বাচন যেন না হয় তার জন্য মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।সোমবার (১৪ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাজ কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, চাঁদপুরে মসজিদের ইমামের ওপর হামলা হয়েছে। খুলনায় সাবেক যুবদল নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এসব নির্বাচন বানচাল ও দেশে গণতন্ত্র যাতে প্রতিষ্ঠিত না হয় তার জন্য ঘটানো হচ্ছে।দুদু বলেন, মিটফোর্ডে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটানো হয়েছে, আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি জানাই, যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন।তিনি বলেন, যে ছেলেটি নিহত হয়েছে, সে যুবদলের কর্মী। তাকে উদ্দেশ্য করে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ তুলে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি দলের নেতা বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। আমি বলব, যারা নির্বাচন পেছাতে চায় তাদের উদ্দেশ্য গণতন্ত্রের পক্ষে নয়।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্র পতনের পর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠায় যারা বাধা দেবেন, ইতিহাসে তাদের নাম স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে লেখা হবে। বিএনপির বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন, স্লোগান দিচ্ছেন, তাদের বলব বুঝেশুনে কথা বলবেন। এ দেশের গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি যে রক্ত দিয়েছে তা অপূরণীয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ