রাসুল (সা.) কোন আঙুলে আংটি পরতেন, আর কোনটিতে নিষেধ করেছেন?
ইসলামে আংটি পরার বিষয়ে রয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা। নবী করিম মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজে আংটি পরিধান করেছেন এবং তা কোন আঙুলে পরা উচিত, কোন ধাতুর আংটি ব্যবহার করা যাবে—সেসব বিষয়েও সাহাবায়ে কেরামের মাধ্যমে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।
কোন আঙুলে আংটি পরবেন?
সহিহ হাদিস অনুযায়ী, নবীজি (সা.) বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে রুপার আংটি পরতেন। আনাস (রা.) বলেন, “নবিজি এ আঙুলে আংটি পরতেন,”—এই কথা বলে তিনি বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙুলের দিকে ইশারা করেন (সহিহ মুসলিম, সুনানে নাসাঈ)।
তবে তিনি তর্জনি (সূচি আঙুল) ও মধ্যমা আঙুলে আংটি পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। আলী (রা.) বলেন, “আল্লাহর রাসুল আমাকে তর্জনি ও মধ্যমা আঙুলে আংটি পরিধান করতে নিষেধ করেছেন” (সুনানে তিরমিজি)।
পুরুষদের জন্য কোন ধাতুর আংটি বৈধ?
পুরুষদের জন্য শুধুমাত্র রুপার আংটি বৈধ বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। রাসুল (সা.) নিজেও রুপার আংটি পরতেন এবং অন্যান্য ধাতু ব্যবহার নিরুৎসাহিত করেছেন।
এক ব্যক্তি পিতলের আংটি পরে এলে রাসুল (সা.) বলেন, “আমি আপনার কাছ থেকে মূর্তির গন্ধ পাচ্ছি”। এরপর তিনি লোহার আংটি দেখে বলেন, “আমি আপনার কাছে জাহান্নামের অধিবাসীদের অলংকার দেখছি।” (সুনানে আবু দাউদ)
নবীজি তাকে নির্দেশ দেন রুপার আংটি ব্যবহারের, তবে তা যেন এক মিসকালের (প্রায় ৪ গ্রাম) বেশি না হয়।
আংটি দিয়ে ভাগ্য পরিবর্তনের বিশ্বাস হারাম
ইসলামে কোনো ধাতু বা পাথরের অলৌকিক শক্তি আছে—এমন বিশ্বাস শিরক হিসেবে গণ্য হয়। কেউ যদি কোনো পাথর বা আংটির প্রভাবে ভাগ্য পরিবর্তন বা দুর্ভাগ্য কাটবে বলে মনে করে, তা হলে সে গুরুতর গোনাহর মধ্যে লিপ্ত হচ্ছে।
কোরআন শরিফে বলা হয়েছে:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সঙ্গে শিরক করাকে ক্ষমা করেন না, তবে অন্যান্য গোনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন।” (সুরা নিসা: ৪৮)
এমনকি শিরকের কারণে জান্নাত হারাম হয়ে যাবে বলেও কোরআনে উল্লেখ রয়েছে:
“যে আল্লাহর সঙ্গে শিরক করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন, আর তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম।” (সুরা মায়েদা: ৭২)
করণীয় কী?
আংটি পরার ক্ষেত্রে হাদিসভিত্তিক নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি
রুপা ছাড়া অন্য কোনো ধাতুর আংটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত
ভাগ্য পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে পাথর বা ধাতুর আংটি ব্যবহার করা ইসলামসম্মত নয়
আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে দোয়া, সদকা ও নেক আমলের মাধ্যমে জীবনে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করাই ইমানদারের পরিচয়
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
আগামী ২০২৬ সালের হজ সুষ্ঠুভাবে পালনে ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। এ নির্দেশনাগুলোর কথা জানিয়ে বুধবার (১৫ অক্টোবর) এজেন্সিগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ২৬ মে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর বাংলাদেশের হজের কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। হজে যেতে প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর)।সৌদি সরকারের ৬ নির্দেশনা হলো১. হজ চুক্তির খসড়া প্রণয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীর সংখ্যা, জেদ্দা ও মদিনা বিমান বন্দরের মাধ্যমে গমনাগমনকারী হজযাত্রীর সংখ্যা ইত্যাদি তথ্য জরুরিভিত্তিতে প্রেরণ।২. হজযাত্রী শিফটিং অর্থাৎ এক ভবনে হজযাত্রী প্রবেশের পর অন্য ভবনে স্থানান্তর, মাসার সিস্টেমে এক ভবনের তথ্য দিয়ে হজযাত্রীদের অন্য ভবনে আবাসনের ব্যবস্থাকরণ, অননুমোদিত বা মাসার সিস্টেমের বাইরে চুক্তিবদ্ধ ভবনে হজযাত্রীর আবাসন ইত্যাদি করা যাবে না। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এমন কোনো প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিসহ এজেন্সি প্রধানকে কালো তালিকাভুক্ত করবে এবং সৌদি আরবে প্রবেশে স্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।৩. গত বছরে অর্থাৎ ২০২৫ হজ মৌসুমে মন্ত্রণালয়ের কালো তালিকাভুক্ত কোনো এজেন্সি হজ পরিচালনায় অংশ নিতে পারবে না।৪. ফলপ্রসূ যোগাযোগ স্থাপনের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ সৃজন করা হচ্ছে। ওই গ্রুপে যোগ্য এজেন্সির নাম, বিবরণসহ তালিকা তাৎক্ষণিকভাবে দিতে হবে। গ্রুপে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশের ২০২৬ হজ মৌসুমে মোট হজযাত্রী সংখ্যা, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমে হজযাত্রী সংখ্যা, তাঁবু বুকিং সংক্রান্ত তথ্য, মনোনীত লিড এজেন্সির তালিকা, লিড এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা, লিড এজেন্সির ওয়ালেটে অর্থ আনয়ন সংক্রান্ত তথ্য, লিড এজেন্সির আইবিএএন নম্বর এবং বাংলাদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য বিনা ব্যর্থতায় আপলোড করতে হবে।৫. সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক চিহ্নিত ৯ ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হজ পালনে সৌদি আরবে যেতে পারবেন না। প্রত্যেক হজযাত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে হজ অ্যাফেয়ার্স সার্টিফিকেট দেবে। সার্টিফিকেট প্রাপ্তিসাপেক্ষে হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়া হবে। সার্টিফিকেট প্রদান প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে মেডিকেল টিমের প্রধানকে সৌদি আরবে নিষিদ্ধ করা হবে এবং ভবিষ্যতে মেডিকেল সেন্টার স্থাপন ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করা হবে। হজ অ্যাফেয়ার্স অফিসের প্রধানকে নিষিদ্ধ করা হবে এবং পরবর্তী বছরের হজযাত্রী কোটায় তার প্রভাব পড়বে।৬. ২০২৬ হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের নুসুক কার্ড সৌদি আরবের বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পরিবহণকারী বাসে সরবরাহ করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রতিটি হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংস্থাকে সঠিক ও সম্পূর্ণভাবে হজযাত্রীর মক্কা ও মদিনায় হোটেলের নাম, ঠিকানা, কক্ষ নম্বর ও বেড নম্বর আগেই সরবরাহ করতে হবে। এসব তথ্য নুসুক কার্ডে সন্নিবেশ করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নারীর সৃষ্টি নিয়ে অনেকেই একটি হাদিসের উদ্ধৃতি দেন। যেখানে বলা হয়েছে, নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে বাঁকা পাঁজর থেকে। কেউ কেউ মনে করেন, এটি নারীর প্রতি একধরনের অবমূল্যায়ন। কিন্তু আসলেই কি তাই? প্রকৃতপক্ষে এই হাদিসটি অবমাননা নয়, বরং দয়ার বার্তা। নবী করিম (সা.) নারী সম্পর্কে পুরুষদের উদ্দেশে এক চমৎকার শিক্ষা দিয়েছেন—নারীদের প্রতি সদয় আচরণ করো।আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন— আমি তোমাদের নারীদের বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছি। তাদের প্রতি সদয় হও, কারণ নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজর থেকে। আর পাঁজরের সবচেয়ে বাঁকা অংশ হলো এর উপরের দিক। যদি সেটাকে সোজা করতে চাও, তবে তা ভেঙে যাবে। আর যেমন আছে তেমনি রাখলে তা বাঁকাই থাকবে। সুতরাং নারীদের প্রতি সদয় আচরণ করো। (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)এই বাণীটি শুরু ও শেষ দুটোই একই উপদেশে— নারীদের প্রতি সদয় হও। এটি অপমান নয়, বরং করুণা ও সহানুভূতির নির্দেশনা।বাঁকা পাঁজরের উপমা কেন?নবী (সা.) নারীদের ‘বাঁকা পাঁজর থেকে সৃষ্টি’ বলে বোঝাতে চেয়েছেন—তাদের স্বভাব পুরুষের তুলনায় কোমল ও ভিন্ন। পাঁজর যেমন প্রাকৃতিকভাবে বাঁকা, সেটাই তার পূর্ণতা। কেউ যদি তা জোর করে সোজা করতে চায়, তবে সেটি ভেঙে যাবে। একইভাবে, নারীর স্বভাবকে জোর করে বদলাতে গেলে সম্পর্ক ভেঙে যায়।অর্থাৎ, নারীর কোমলতা ও ভিন্ন স্বভাবই তার সৌন্দর্য ও পূর্ণতা।মহানবীর দৃষ্টিতে নারীপবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের কোন পুরুষ অথবা মহিলা আমলকারীর আমল নষ্ট করব না। তোমাদের একে অপরের অংশ। (সুরা আল ইমরান, আয়াত : ১৯৫) তিনি নারীদের দুর্বল নয়, বরং সংবেদনশীল ও আবেগপ্রবণ সত্তা হিসেবে বর্ণনা করেছেন—তাদের যত্ন ও কোমল ব্যবহারের প্রয়োজন।আরেক হাদিসে তিনি বলেছেন, নারীদের সঙ্গে কাঁচের পাত্রের মতো আচরণ করো। (সহিহ বুখারি) অর্থাৎ, নারীরা নাজুক, তাই তাদের সঙ্গে আচরণে সতর্কতা ও মমতা থাকা চাই।পারস্পরিক পরিপূরক সম্পর্কইসলাম পুরুষ ও নারীকে প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং ‘পরিপূরক সত্তা’ হিসেবে উপস্থাপন করেছে। পুরুষ রক্ষক, নারী রক্ষণশীল ও লালনকারী। একে অপরের দায়িত্ব ও মর্যাদা ভিন্ন হলেও, উভয়েই সমাজ গঠনের অপরিহার্য অংশ।যেমন পাঁজর বুকের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সুরক্ষা দেয়, তেমনি নারী তার পরিবার ও সন্তানদের ভালোবাসা ও যত্নে আগলে রাখে।‘বাঁকা পাঁজর’ বলাটা নারীর অপমান নয়—বরং তার স্বাভাবিক কোমলতা ও সংবেদনশীলতার প্রতীক। নবী করিম (সা.) পুরুষদের শিখিয়েছেন, নারীর স্বভাব পরিবর্তন নয়, বরং তাকে বুঝে, শ্রদ্ধা করে ও মমতা দিয়ে পাশে রাখতে হবে।এটাই ইসলামের ভারসাম্যপূর্ণ ও মানবিক শিক্ষা—যেখানে করুণা, বোঝাপড়া ও সম্মানই নারী-পুরুষ সম্পর্কের মূল ভিত্তি।ভোরের আকাশ/তা.কা
গাজায় ইসরায়েলের টানা দুই বছরের আগ্রাসনে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, নিশানা হয়েছেন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরাও। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ সময় ২৫০ জন ইমাম, খতিব ও ধর্মীয় নেতা নিহত হয়েছেন। ধ্বংস করা হয়েছে ৮৩৫টি মসজিদ, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ১৮০টি মসজিদ। হামলার বাইরে থাকেনি খ্রিস্টান উপাসনালয়ও।গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়ের পরিচালক ইসমাইল আস-সাওয়াবিতা জানান, ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিনি সমাজের আত্মিক ও নৈতিক কাঠামো ধ্বংসের চেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্য তারা ধর্মীয় নেতাদের টার্গেট করছে, মসজিদ ও গির্জা ধ্বংস করছে এবং সাধারণ নাগরিক স্থাপনাগুলোতে নির্বিচারে বোমা ফেলছে।তিনি বলেন, “ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা জাতির নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতীক। ইসরায়েল তাদের হত্যার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় চেতনা ধ্বংস করতে চাইছে।”তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ফিলিস্তিনের সাবেক ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী ও আল-আকসা মসজিদের খতিব ইউসুফ সালামা। এছাড়া গাজার বিশিষ্ট ইসলামী বক্তা ওয়ায়েল আজ-জারদ এবং কোরআন শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক ওয়ালিদ আওয়াইদাও ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।গাজার বিভিন্ন গির্জাতেও একাধিকবার বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত এসব গির্জায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২০ জন খ্রিস্টান নিহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত গির্জাগুলোর মধ্যে রয়েছে—ঐতিহাসিক সেন্ট পারফিরিয়াস (রোমান অর্থডক্স), হোলি ফ্যামিলি চার্চ (ক্যাথলিক) ও ব্যাপটিস্ট ইভানজেলিকাল চার্চ।ইসমাইল আস-সাওয়াবিতা বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও নেতাদের ওপর এই হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানবিক আইনের চরম লঙ্ঘন। এটি স্পষ্টভাবে যুদ্ধাপরাধ ও ধর্মীয় নিপীড়নের শামিল।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান’ এখন এক নির্মম গণহত্যায় পরিণত হয়েছে। গাজার সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত দুই বছরে নিহত হয়েছেন ৬৭ হাজার ১৩৯ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন—যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। খাদ্য ও ওষুধ সংকটে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৪৬০ জন, এদের মধ্যে ১৫৪ জন শিশু।ধ্বংসস্তূপের মাঝেও গাজার মানুষ থেমে নেই। বেঁচে থাকা ইমামরা এখনো ভাঙা মিনারে দাঁড়িয়ে আজান দিচ্ছেন, উচ্চারণ করছেন—“আল্লাহু আকবার”।সূত্র : আল জাজিরা, আনাদোলু এজেন্সিভোরের আকাশ//হর
মানুষের জীবনে আল্লাহর রহমত লাভ করা এক মহাসৌভাগ্যের বিষয়। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে—যারা নামাজ কায়েম করে, যাকাত আদায় করে এবং আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর আনুগত্য করে, তাদের ওপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, “আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও এবং রাসুলের আনুগত্য কর, যাতে তোমাদের ওপর রহমত করা হয়।”(সুরা নূর, আয়াত: ৫৬)নামাজ কায়েমের গুরুত্ব:নামাজ ইসলামের মূল স্তম্ভগুলোর একটি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “কেয়ামতের দিনে বান্দার যে আমলের হিসাব সবার আগে নেওয়া হবে, তা হলো নামাজ। যদি নামাজ সঠিক হয়, তাহলে সে সফল হবে; আর যদি ত্রুটিপূর্ণ হয়, তাহলে সে ব্যর্থ হবে।”(আবু দাউদ, হাদিস: ৮৬৪)অন্য এক হাদিসে হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন জামাতে নামাজ আদায় করবে এবং প্রথম তাকবির পাবে, তার জন্য দুইটি মুক্তিপত্র লেখা হবে—একটি জাহান্নাম থেকে মুক্তির, অন্যটি নেফাক (কপটতা) থেকে মুক্তির।”(তিরমিজি, হাদিস: ২৪১)যাকাত প্রদানের ফজিলত:যাকাত শুধু আর্থিক লেনদেন নয়, বরং এটি সমাজে সাম্য ও সহানুভূতির প্রতীক। যাকাত আদায় না করলে এর কঠিন পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন রাসুলুল্লাহ (সা.), “যে ব্যক্তি সোনা-রুপার জাকাত আদায় করে না, কিয়ামতের দিন তার সম্পদ জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত হয়ে তাকে দগ্ধ করবে। যতক্ষণ না জান্নাত বা জাহান্নামের ফয়সালা হয়, ততক্ষণ এই শাস্তি চলতে থাকবে।(সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯৮৭)রাসুল (সা.)-এর আনুগত্য:আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন, “তোমরা আল্লাহ ও তাঁর উম্মী নবী রাসুলের প্রতি ঈমান আনো, যিনি আল্লাহ ও তাঁর বাণীতে বিশ্বাস রাখেন। আর তোমরা তাঁর অনুসরণ কর, যাতে তোমরা সঠিক পথপ্রাপ্ত হও।”(সুরা আল-আরাফ, আয়াত: ১৫৮)এই তিনটি আমল পালন করলে আল্লাহর রহমত ও সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব—এ কথা কোরআন ও হাদিসে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত।ভোরের আকাশ//হ.র