ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৫ ১০:০০ এএম
স্বপ্নে কোরআন তিলাওয়াত করার অর্থ ও ব্যাখ্যা
কোরআন তিলাওয়াত হলো এক মহৎ আমল, যা আল্লাহ তায়ালা বিশেষভাবে প্রশংসা করেছেন। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতকারীদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রয়েছে অসংখ্য বরকত ও সওয়াব।
সূরা ফাতিরের আয়াতে আল্লাহ বলেন, যারা তাঁর কিতাব তিলাওয়াত করে, নামাজ পালনে নিষ্ঠাবান এবং তাদের রিজিক থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে খরচ করে, তাদের জন্য এমন একটি ব্যবসা রয়েছে যা কখনো লোকসান হয় না। আল্লাহ তাদের পূর্ণ প্রতিদান দিবেন এবং তাঁর দয়ায় আরও বরকত দেবেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রতিটি কোরআনের হরফ পড়ার জন্য দশ গুণ সওয়াব দেওয়া হয়। যেমন ‘আলিফ’, ‘লাম’ এবং ‘মীম’ প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা হরফ হিসেবে গন্য হবে।
স্বপ্নে নিজেকে কোরআন তিলাওয়াত করতে দেখা অনেকেই দেখে এবং এর পেছনে রয়েছে বিশেষ মানসিক ও আধ্যাত্মিক অর্থ।
বিশেষ ব্যাখ্যা অনুযায়ী, স্বপ্নে কোরআন তিলাওয়াত দেখা মানে হলো আল্লাহ তায়ালা ব্যক্তি বা স্বপ্নদ্রষ্টার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং তার জীবনে খুশি নেমে আসবে।
যদি কেউ স্বপ্নে কোরআন মুখস্থ করতে দেখে, তবে তার অর্থ তিনি আদালতে সঠিক ও ন্যায়পরায়ণ প্রমাণিত হবেন এবং একজন আমানতদার মুমিন হিসেবে সম্মানিত হবেন। সেই ব্যক্তি সৎ কাজ প্রচার করবেন এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবেন।
স্বপ্নে কোরআন খতম করা দেখলে বোঝা যায়, তার কোনো বড় আশা পূরণ হবে এবং আল্লাহ তার জন্য প্রচুর সওয়াব দান করবেন।
অপরদিকে, যারা কোরআনের হাফেজ না হলেও স্বপ্নে দেখেন যে তিনি কোরআন মুখস্থ করেছেন, তা নির্দেশ করে যে তাদের সামাজিক মর্যাদা ও শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
যদি স্বপ্নে দেখা যায় কেউ কোরআন পাঠ করছেন, কিন্তু কোন অংশ বা আয়াত মনে না থাকে, তবে বোঝা যাবে তিনি অসুস্থ হলে সুস্থ হবেন অথবা ব্যবসায়ী হলে ভালো মুনাফা লাভ করবেন।
স্বপ্নে কোরআন শ্রবণ করাও সুখবর বয়ে আনে—এটি শক্তির বৃদ্ধি ও ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পাওয়ার ইঙ্গিত।
আর যদি কেউ স্বপ্নে দেখেন যে তিনি কোরআন তিলাওয়াত করছেন এবং অন্যরা তা শ্রবণ করছে, তাহলে তার সমাজে সম্মান ও প্রভাব বাড়বে এবং লোকেরা তার কথায় মেনে চলবে।
স্বপ্নের এই ব্যাখ্যাগুলো মানুষকে আত্মবিশ্বাস ও আধ্যাত্মিক শক্তি দেয়। তাই পবিত্র কোরআনের সঙ্গে সম্পর্কিত এই ধরনের স্বপ্নকে আশীর্বাদের দৃষ্টিতে দেখা হয়।
ভোরের আকাশ//হ.র