ছবি: সংগৃহীত
প্রথম এক ঘণ্টা যেন টটেনহামের উৎসবের মঞ্চ। ইতালির উদিনেতে বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে ইউরোপের দুই শিরোপাধারীর লড়াইয়ের শুরুতে ইংলিশদের দাপটে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না ফরাসি জায়ান্ট পিএসজিকে। তবে শেষ মুহূর্তে ম্যাচে নাটকীয় মোড়—দুই গোল শোধ করে ম্যাচ টেনে নিল টাইব্রেকারে, সেখানেই বাজিমাত করল লুইস এনরিকের দল।
ম্যাচের ৮৪ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল টটেনহাম।
মনে হচ্ছিল, তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ট্রফি হাতে তুলতে যাচ্ছেন রোমেরোরা। কিন্তু ৮৫তম মিনিটে লি কাং-ইন ব্যবধান কমান, আর যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে হেডে সমতা ফেরান গঞ্জালো রামোস। সুপার লিগে অতিরিক্ত সময় না থাকায় নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ গড়ায় সরাসরি টাইব্রেকারে।
পেনাল্টি শুটআউটে পিএসজির প্রথম শট ভিতিনিয়া পোস্টে লাগালেও পরের চার শটে কেউ ভুল করেনি।
টটেনহ্যামের পক্ষে মিকি ফন দে ফেনের শট ঠেকান পিএসজির নতুন গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়ে, আর মাথিয়াস তেলের শট যায় বাইরে। ৪-৩ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করেই প্রথমবারের মতো উয়েফা সুপার কাপ জিতে ইতিহাস গড়ল পিএসজি।
টটেনহামের দুই গোলই আসে ডিফেন্ডারদের থেকে। ৩৯ মিনিটে জোয়াও পালিনিয়ার ভলির রিবাউন্ড থেকে গোল করেন ফন দে ফেন।
বিরতির পর ফ্রি-কিক থেকে পেদ্রো পারোর ক্রসে হেডে জালের দেখা পান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ান রোমেরো। কিন্তু এই সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
পুরো ম্যাচে ৭৪ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেছিল পিএসজি, কিন্তু প্রথমার্ধে একটিও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি খেলোয়াড়দের নৈপুণ্যে বদলে যায় চিত্র। আক্রমণে তীব্রতা বাড়ে, আর শেষ মুহূর্তের দুই গোলেই ম্যাচে ফিরে আসে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
মৌসুমের শুরুতে এক ম্যাচের এই মর্যাদার লড়াই সাধারণত হয় আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগ জয়ীর মধ্যে। মে মাসে ইন্টার মিলানকে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল পিএসজি। একই মাসে ১৭ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়ে ইউরোপা লিগ জেতে টটেনহাম।
সন হিউং-মিনের বিদায়ের পর প্রথম ম্যাচেই অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন রোমেরো। কোচ টমাস ফ্র্যাঙ্কের অধীনে এটিই ছিল টটেনহামের প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। ট্রফির ছোঁয়ায় তা রাঙানো হলো না।
এদিকে অল্পের জন্য এক মাসের মধ্যে ইংলিশ ক্লাবের বিপক্ষে আরেকটি ফাইনালে হার এড়াল পিএসজি। গত মাসে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসির কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল তারা। এবার কিন্তু শেষ হাসি তাদেরই।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
এশিয়া কাপে প্রত্যাশিত সাফল্য না পাওয়া এবং এর পরপরই ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার কারণে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে দেশে ফিরতেই বিমানবন্দরে দর্শকদের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন।আফগান সিরিজ শেষে গতকাল (বুধবার) রাতে দেশে ফিরতেই দর্শকদের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। নিকট-অতীতে তাদের এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়নি। কেউ শুনেছেন দুয়ো, কেউ–বা পরিবারের সামনে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। তাওহীদ হৃদয় ও নাঈম শেখদের গাড়ি লক্ষ্য করে সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলনামূলক বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়। স্বভাবতই তাতে মনক্ষুণ্ন হয়েছেন নাঈম। পরে এই বাঁ-হাতি ব্যাটার বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন।নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নাঈম শেখ লিখেছেন, আমরা যারা মাঠে নামি, আমরা শুধু খেলি না। আমরা দেশের নামটা বুকে নিয়ে নামি। লাল-সবুজ পতাকাটা শুধু শরীরে নয়, রক্তে মিশে থাকে। প্রতিটা বল, প্রতিটা রান, প্রতিটা শ্বাসে চেষ্টা করি সেই পতাকাটাকে গর্বিত করতে। হ্যাঁ, কখনো পারি, কখনো পারি না। জয় আসে, পরাজয়ও আসে, এটাই খেলাধুলার বাস্তবতা। জানি, আমরা যখন হেরে যাই, তখন আপনাদের কষ্ট হয়, রাগ হয়। কারণ আপনারাও এই দেশটাকে আমাদের মতোই ভালোবাসেন।কিন্তু আজ যেভাবে আমাদের প্রতি ঘৃণা, গাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে, তা সত্যিই কষ্ট দেয়। আমরা মানুষ, ভুল করি, কিন্তু কখনও দেশের প্রতি ভালোবাসা-চেষ্টার ঘাটতি রাখি না। প্রতিটা মুহূর্তে চেষ্টা করি দেশের জন্য, মানুষের জন্য, আপনাদের মুখে হাসি ফোটাতে।সমালোচনা যৌক্তিকভাবে করা হোক বলেও সমর্থকদের প্রতি আহবান করেছেন নাঈম, ভালোবাসা চাই, ঘৃণা নয়। সমালোচনা হোক যুক্তিতে, রাগে নয়। কারণ আমরা সবাই একই পতাকার সন্তান। জয় হোক, পরাজয় হোক, লাল-সবুজ যেন আমাদের সবার গর্ব থাকে, ক্ষোভের নয়। আমরা লড়ব, আবার উঠব, দেশের জন্য, আপনাদের জন্য, এই পতাকার জন্য।প্রসঙ্গত, তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আফগানদের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। বিশেষ করে শেষ দুই ম্যাচে যথাক্রমে ১০৯ এবং ৯৩ রানে অলআউট হয়ে বড় হারের লজ্জায় পড়েছে মিরাজ-নাঈম-হৃদয়রা। যা এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও হেলায় হারানোর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে ক্রিকেটভক্তদের মাঝে। কেবল শেষ ওয়ানডেতে খেলেছেন নাঈম শেখ, যেখানে বাঁ-হাতি এই ওপেনার ২৪ বলে করেন স্রেফ ৭ রান।ভোরের আকাশ/তা.কা
৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের অধিকাংশ নেতাকর্মী আত্মগোপনে বা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। একই অবস্থা হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের হুইপ ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ক্ষেত্রেও। তিনি দেশে থাকলেও জনসম্মুখে আসছেন না।তবে এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানালেন, তার ধারণা মাশরাফি তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।সাকিব আল হাসানের প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, তাকে (সাকিবকে) দেশে খেলতে দেওয়ার বিষয়ে সহায়তা করার সুযোগ এখন আর নেই। এখনো শেখ হাসিনাকে সমর্থনই তার মূল কারণ।তিনি আরও বলেন, সাকিবের শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, ফিন্যানশিয়াল ফ্রডের মামলা, এমনকি তার পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে বিষয়গুলো সামনে এসেছে। আমরা কাউকে টার্গেট করে তুলি নাই বরং তার নিজস্ব কর্মকাণ্ডের কারণেই আলোচনা তৈরি হয়েছে।সেই প্রসঙ্গেই উঠে আসে মাশরাফির নাম। ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, মাশরাফি বিন মুর্তজার বিষয়ে এমন কিছু আমি জানি না। আমার জানামতে, উনি তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকেও সরে এসেছেন। ফেসবুকে উনি বিষয়টা স্পষ্ট করেছিলেন বলে আমার মনে পড়ে।তবে যাচাই করে দেখা গেছে, মাশরাফি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি এমন কোনো মন্তব্য করেননি। তবে গত বছরের আগস্টে এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজনীতি থেকে সরে আসার। তখন মাশরাফি বলেছিলেন, যখন রাজনীতিতে ছিলাম, ক্রিকেট বোর্ডে থাকার চেষ্টা করিনি। এখন রাজনীতিতে নেই, এখন যদি বোর্ডে থাকার চেষ্টা করি বা থাকতে চাই, তাহলে কেমন হয়ে যায় না!এ বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয় রাজনীতি তার অতীত অধ্যায়। গত এক বছরে মাশরাফি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে বিভিন্ন বিষয়ে ১৪টি পোস্ট দিয়েছেন। কিন্তু কোনোটিই আওয়ামী লীগ বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত নয়। বিপরীতে সাকিব আল হাসান একাধিকবার আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে পোস্ট দিয়েছেন। পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্র্যান্ডিং নিয়েও সমালোচিত হয়েছেন।তবে মাশরাফি যদি কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তার ভাষায়, এর বাইরে যদি উনি রাষ্ট্রীয় আইনে কিছু করে থাকেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হতেই পারে। ওনার বিষয়টা আলোচনায় আসেনি। কারণ, উনি অনেক আগেই অবসর নিয়েছেন এবং খেলার সঙ্গে এখন আর সংশ্লিষ্ট নন।ভোরের আকাশ/তা.কা
ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে ১৮ বছর পর ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে চিলির জুলিও মার্টিনেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনাল ম্যাচে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। ৭২ মিনিটে দলের হয়ে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন মাতেও সিলভেত্তি।যুবাদের এই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। সর্বশেষ ২০০৭ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। সেবার সার্জিও আগুয়েরোরা শিরোপা উপহার দিয়েছিলেন সমর্থকদের। এরপর আর এ টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলতে পারেনি আলবেসিলেস্তরা।তবে চলমান টুর্নামেন্টে দারুণ খেলছে মেসিদের উল্টরসূরিরা। গ্রুপপর্বে তিন ম্যাচেই জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। এরপর শেষ ষোলোতে নাইজেরিয়াকে ৪-০ গোলে হারানোর পর কোয়ার্টার ফাইনালে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা।ভোরের আকাশ/মো.আ.
ঢাকা ৩৫তম বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড টেনিস ট্যুর জুনিয়র জে-৩০, প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পতাকা উঁচিয়ে ধরেছেন তরুণ তারকা জারিফ আবরার। রমনায় জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছেন তিনি। সিঙ্গাপুরের অর্জন সিং-কে হারিয়ে শেষ আটে নিজের জায়গা নিশ্চিত করেন জারিফ।প্রত্যাশা পূরণ করে জারিফ আবরার প্রথম সেটটি সহজেই ৬-২ গেমে জিতে নেন। দ্বিতীয় সেটে অর্জন সিং কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও, ৬-৪ গেমে সেটটি জিতে টুর্নামেন্টের শেষ আটে নাম লেখান বাংলাদেশের এই খেলোয়াড়।কোয়ার্টার ফাইনালে জারিফের সামনে কঠিন পরীক্ষা। তার প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় র্যাঙ্কিংয়ের খেলোয়াড় ভারতের শৌনক চ্যাটার্জি। শৌনক তার দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের থিরুমুরথিকে পরাজিত করে এসেছেন। থিরুমুরথি প্রথম সেটে ৭-৫ গেমে জিতলেও, শৌনক দ্বিতীয় সেট ৬-০ গেমে জেতেন। এরপর তৃতীয় সেটে শৌনক ১-০ গেমে এগিয়ে থাকার সময় থিরুমুরথি ইনজুরির কারণে খেলা ছেড়ে দেওয়ায় শৌনক শেষ আটে ওঠেন।বালক এককে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা অন্য খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন টুর্নামেন্টের শীর্ষ র্যাঙ্কিংয়ের খেলোয়াড় চীনের চুয়ান ডিং, সিঙ্গাপুরের রবার্ট, ভারতের তেজাস রাভি, হংকং এর চুন লি, থাইল্যান্ডের লিকুল এবং যুক্তরাজ্যের কামাল হাকিম।এদিকে, বালিকা এককে বাংলাদেশের যাত্রা দ্বিতীয় রাউন্ডেই থেমেছে। সুমাইয়া আক্তার ও হালিমা জাহান উভয়ই পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছেন। সুমাইয়া মালদ্বীপের আসাল আজিমের কাছে ৩-৬, ২-৬ গেমে পরাজিত হন। অন্যদিকে, হালিমা জাহান চীনের তিয়ানরান ডং-এর বিপক্ষে ০-৬, ২-৬ গেমে ম্যাচ হেরে যান।ভোরের আকাশ/তা.কা