সংগৃহীত ছবি
মালয়েশিয়া বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা (এমইভি) চালু করলো । শুক্রবার (৮ আগস্ট) থেকে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেওয়া শুরু করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাস (পিএলকেএস) এবং সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসাসহ যেসব বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় রয়েছেন তাদের এমইভির জন্য আবেদন করার প্রয়োজন হবে না।
এর আগে, শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এমইভি সুবিধা বৈধ পিএলকেএস ধারকদের জন্য। আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলোতে ইমিগ্রেশন বিভাগ এটি সমন্বয় করবে। আগামী বছরের জন্য পিএলকেএস বর্ধিত করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এমইভি দেওয়া হবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি দেশের ভেতরে এবং বাইরে অভিবাসী কর্মীদের যাতায়াতের সুবিধা বাড়াবে। এছাড়া ইমিগ্রেশন পাসের অপব্যবহারের ঝুঁকি কমাবে। বিভিন্ন দেশে থাকা মালয়েশিয়ার মিশনগুলোতে নতুন ভিসা আবেদনের জন্য ভিড় কমাবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেওয়ায় এখন থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনে সে দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীরা সহজেই দেশে আসা-যাওয়া করতে পারবেন।
এর আগে, গত ১৫ জুলাই এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার বিষয়ে জানায়।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি এ বিষয়ে আহ্বান জানানো হচ্ছিলো। সরকারের ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে বলে দূতাবাস জানিয়েছে।
গত মে মাসে মালয়েশিয়া সফরকালে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর গত ১০ জুলাই এই বিষয়ে পরিপত্র জারি করে মালয়েশিয়া সরকার।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া ১৫ দেশ থেকে কর্মী নিয়ে থাকে। এর মধ্যে কেবল বাংলাদেশি কর্মীদেরই মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার পরিবর্তে সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা দেওয়া হচ্ছিলো। এতে বাংলাদেশি কর্মীদের বহু ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালু হওয়ায় এখন বাংলাদেশি কর্মীরা স্বস্তি পাবেন।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
ভারতের কেরালায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮০ বছর।বুধবার (১৫ অক্টোবর) ভারতের কেরালা রাজ্যের দেভামাতা হাসপাতালের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা এএফপি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৮০ বছর বয়সী রাইলা ওদিঙ্গাকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো আফ্রিকার রাজনীতিতে।স্থানীয় পুলিশ ও দেভামাতা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিকিৎসার জন্যই হাসপাতালে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সুস্থ হয়ে আর নিজ দেশে আর ফিরে যেতে পারলেন না তিনি।পুলিশের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ওদিঙ্গা সকাল বেলা তার বোন, মেয়ে এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসককে নিয়ে হাঁটতে বের হয়েছিলেন। এছাড়া তার সঙ্গে ভারত ও কেনিয়ার নিরাপত্তাকর্মীরা ছিলেন। তখন তিনি হঠাৎ করে পড়ে যান। এরপর তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।কেরালার এরানকুলামের এসপি কৃষ্ণ এম বলেছেন, হার্ট অ্যাটাকের পর দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয় ওদিঙ্গাকে। কিন্তু সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচবার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কিন্তু একবারও প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি তিনি। তবে, কেনিয়ার রাজধানীতিকে শক্তিশালী ব্যক্তি ছিলেন ওদিঙ্গা। ২০২৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে দেশটিতে। এ নির্বাচনের আগে তার মৃত্যু কেনিয়ার রাজনীতিতে বিশাল শূন্যতা তৈরি করবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধে সোমবার মিসরে জড়ো হয়েছিলেন বিশ্ব নেতারা। যারমধ্যে ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।সম্মেলনের ফাঁকে ইতালির মেলোনির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক কথা বলেন এরদোয়ান। বার্তাসংস্থা ইহলাসের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মেলোনিকে এরদোয়ান বলছেন, আমি আপনাকে বিমান থেকে নামতে দেখেছি। আপনাকে দেখতে ভালো লেগেছে। কিন্তু আমার আপনাকে ধুমপান ছাড়াতে হবে।মেলোনি তখন বলেন, আমি জানি, আমি জানি, আমি কাউকে মারতে চাই না।তবে তিনি ধূমপান ছাড়বেন নাকি ছাড়বেন না সেটি স্পষ্ট করেননি।ওই সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এরদোয়ানের কথা শুনে ম্যাক্রোঁ বলেন, (মেলোনি ধূমপান ছাড়বেন) এটি অসম্ভব। তখন তারা এ নিয়ে হাসাহাসি করেন।তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তার দেশকে ধূমপানমুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। এর অংশ হিসেবে একটি ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। যেখানে ধূমপান নিয়ে সতর্কতা এবং যারা ধূমপান ছাড়তে চান তাদের সহায়তা করা হয়। এরদোয়ানের ইচ্ছা তুরস্কের পরবর্তী প্রজন্মকে তিনি ধূমপান থেকে সম্পূর্ণ বিরত রাখবেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
'গাজা পিস সামিট-২০২৫' এ বেশ কিছু মজার ঘটনা এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে।একদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতি এই সামিট কে বেশ আলোচিত করে রেখেছে অন্যদিকে বিশ্বের অন্যান্য প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে করা খুনসুটিগুলোও ভাইরাল হচ্ছে।সেখানে অংশ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। এর পাশাপাশি তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের সবচেয়ে যোগ্য দাবিদার হিসেবে উল্লেখ করেন।শেহবাজ শরীফ বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তি প্রতিষ্ঠায় যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন তার কোনো তুলনা হয় না। তিনি বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ লোকের জীবন বাঁচিয়েছেন।এসময় পাক প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার নতুন মাইলফলক রচিত হয়েছে। তিনি আসলেই একজন 'ম্যান অব পিস'। আমি আজ আবারও এই দুর্দান্ত প্রেসিডেন্টকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করছি।এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পও নিজের বক্তৃতায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে ধন্যবাদ দিয়ে তার প্রশংসা করেন।অন্যদিকে পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আমার জানামতে উনি (আসিম মুনির) শ্রেষ্ঠ ফিল্ড মার্শাল।ভোরের আকাশ/মো. আ.
এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন তিনজন। তারা হলেন- জোয়েল মোকিয়র, ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট। সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাদের নাম ঘোষণা করে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস।অ্যাকাডেমির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভাবননির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাখ্যা করার জন্য তাদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলো।প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির পূর্বশর্তগুলো চিহ্নিত করার জন্য পুরস্কারের অর্ধেক পেলেন জোয়েল মোকিয়র।সৃজনশীল বিনাশের (ক্রিয়েটিভ ডেসস্ট্রাকশন) মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির তত্ত্ব প্রণয়নের জন্য বাকি অর্ধেক যৌথভাবে পেলেন ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট।ভোরের আকাশ/এসএইচ