মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) এর সদস্যরা কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদের মোহনা থেকে আবারও দুটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ১৩ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকার শেষে টেকনাফ ফেরার পথে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের নাইক্ষ্যংদিয়া নামক এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায়।ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের দুই মাঝি হলেন- আব্দুল হাফেজ ও মো. আমিন। তবে জেলেদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।এ তথ্যটি নিশ্চিত করে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাট ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, ‘আজকেও দুটি ট্রলারসহ ১৩ জন মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আমি। এছাড়া মাছ ধরতে আরও কয়েকটি ট্রলারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত ভাটার কারণে জেলার মিয়ানমার সীমানা দিয়ে ফেরর পথে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এপাশে চরের কারণে ট্রলার চলাচল করতে পারছে না।ওই ট্রলারের মাঝি আব্দুল হাফেজ সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়েছে বলে জানান আবুল কালাম। তিনি বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকার শেষে টেকনাফে ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের পূর্ব-দক্ষিণে নাফ নদ ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা সংলগ্ন নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা আরাকান আর্মির সদস্যরা স্পিডবোটে জেলেদের ধাওয়া করে আটক করে। পরে তাদেরকে আটক করে মিয়ানমারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাফেজ। এরপর থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু প্রতিদিন আরাকান আর্মির সদস্যরা বঙ্গোপসাগর থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশি ট্রলারসহ জেলেদের অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। গত চারদিনে পাঁচটি ট্রলারসহ ৪৬ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে বলে ট্রলার মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে।ভোরের আকাশ/জাআ
২৬ আগস্ট ২০২৫ ১০:২০ পিএম
১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
কক্সবাজারের টেকনাফে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকার করে ফেরার পথে নাইক্ষ্যংদিয়া নামক স্থান থেকে ১২ জন মাঝিমাল্লা সহ ১টি মাছ ধরার ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ট্রলারটি সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ডেইল পাড়া এলাকার স্থানীয় জেলে সুলতান মাঝির বলে জানা যায়।শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির আওতাধীন শাহপরীরদ্বীপ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাক বি আর এম-৩ হতে আনুমানিক ৬ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জলসীমানা থেকে তাদের আটক করা হয়।অপহৃত জেলেরা হলেন, মো. আলি আহমদ (৩৯), মোহাম্মদ আমিন (৩৪), ফজল করিম (৫২), কেফায়েত উল্লাহ (৪০), সাইফুল ইসলাম (২৩), সাদ্দাম হোসেন (৪০), মো: রাসেল (২৩), মো: সোয়াইব (২২), আরিফ উল্লাহ (৩৫), মোহাম্মদ মোস্তাক (৩৫), নুরুল আমিন (৪৫) এবং একজন বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা যায়।এদিকে শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাট বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল গফুর বলেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গেলে মিয়ানমার জলসীমানা দিয়ে আসার পথে শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণে নাইক্ষ্যংদিয়া নামক স্থানে আরাকান আর্মির দুটি স্পিডবোট যোগে এসে একটি মাছ ধরার ট্রলার সহ ১২ জন মাঝিমাল্লাদের আটক করে বলে জানতে পারি, ঘাটে ফিরে আসা অন্যান্য জেলেদের মাধ্যমে। পাশাপাশি আরো জানতে পারি এই ট্রলারটি শাহপরীরদ্বীপ ডেইল পাড়া এলাকার বাসিন্দা সুলতান মাঝির মালিকানাধীন ট্রলার।টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্ণেল আশিকুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেছি। এব্যাপারে কাজ চলছে।সর্বশেষ গেল ১২ আগস্ট টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের মাঝামাঝি বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী এলাকা নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে ৫ জন জেলেকে আটক করেন আরাকান আর্মির সদস্যরা।ভোরের আকাশ/জাআ