হবিগঞ্জে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত শতাধিক
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বুল্লা গ্রামে ২ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে থানার ওসিসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। বুধবার (১৩ আগস্ট) এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মাধবপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার ওসি শহীদউল্লাহ।আহতরা হলেন- রাসেল মিয়া (১৮), রাশেদ মিয়া (১৮), বাবুল মিয়া (৬০), মন্নান মিয়া (২৭), ইছব মিয়া (৩৫), জালাল উদ্দিন (৩৫), শাহ আলম (৪০), ইউনুছ মিয়া (৬০), লিটন মিয়া (৩৫), রহমত উল্লাহ (২৪), জালাল মিয়া (২৬), সুন্দর আলী (৪২), নয়ন মিয়া (১৬), আদম খা (৩০), ফারুক মিয়া (৫০), শরীফ উদ্দিন (৫০), ছোয়াব মিয়া (৪০), ছায়েদুল (৪০), চুন্নু মিয়া (৫৫), জলফু মিয়া (৬১), শাকিল মিয়া (২০), শাহাব উদ্দিন (৫১), নুরুল হক (৫০), সাগর (১৬), পাবেল (২৪), দুলাল মিয়া (৪৫), রাশেদ মিয়া (১৫), মনটু মিয়া (৫০), মিরাজ মিয়া (২২) ও সোহরাব (৩৫)।পুলিশ জানায়, সম্প্রতি সৌদি আরবে বুল্লা গ্রামের ধলাই মিয়ার ছেলের সঙ্গে একই গ্রামের হেলাল মিয়া মেম্বারের আত্মীয় সৌদি আরবে বসবাসরত এক ব্যক্তির ভিসা জটিলতা নিয়ে মারামারি হয়। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বুল্লা গ্রামের ধলাই মিয়া ও হেলাল মেম্বারের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। উভয়পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে ধলাই মিয়া ও হেলাল মিয়ার মধ্যে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে সৌদি আরবের বিরোধকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেলে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে নেমে যায়। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হয়। খবর পেয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদউল্লাহর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ওসি শহীদউল্লাহ পায়ে আঘাত লেগে আহত হন।মাধবপুর থানার ওসি শহীদ উল্লাহ বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।ভোরের আকাশ/মো.আ.