সংগৃহীত ছবি
রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা তদন্তে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।
রোববার (১৩ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
তিনি জানান, রিটে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামীকাল সোমবার (১৪ জুলাই) এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
জানা যায়, গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আর পুলিশ অস্ত্র আইনে আলাদা আরেকটি মামলা করে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল বুধবার সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। গোলাম দস্তগীর গাজী সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। তিনি নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ) ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। সিআইডির অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ৮ জুলাই এই ক্রোকাদেশ দেন বলে জানায় সংস্থাটি।সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোলাম দস্তগীর গাজী জোরপূর্বক জমি দখল, কমিশন গ্রহণ, জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা, হুন্ডি, আন্ডার ইনভয়েস-ওভার ইনভয়েস ও সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ায় তার এই সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে।সিআইডি জানিয়েছে, ৪ হাজার ৮৮০ শতাংশ জমি ক্রোক করা হয়েছে। এর দলিল মূল্য ১৬ কোটি ৫২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। জমির ওপর থাকা গাজী টায়ার প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ক্রোক করা হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে।সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংস্থার অনুসন্ধানকালে জানা যায়, ক্রোক করা সম্পত্তি ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে অর্জন করেছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। বিদেশে অর্থ পাচারসংক্রান্ত অনুসন্ধানও চলছে।এর আগে গত ৮ জুলাই সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত এই সম্পত্তি জব্দের আদেশ দেন। টিবিএস ওই আবেদনের কপি ও আদালতের আদেশপত্র দেখেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে পদ শূন্য হওয়া দেশের সব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশ হাতে পাওয়ার ৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে অবগত করে আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব ও নির্বাচন কমিশনার সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।জনস্বার্থে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ উজ জামান এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী নিজে।এর আগে, গত ৫ আগস্ট তৎকালীন সরকার পতনের পর গত বছরের ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট ৪৯৩টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে তাঁদের জায়গায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর পরে ১১ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট (স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়) নির্বাচনের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। তাই এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর বিষয়ে আইনজীবী জানান, বর্তমানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান না থাকায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের স্থানীয় জনগণ নানাবিধ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উপজেলা উন্নয়ন কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ১১ মাস চলে গেলেও নির্বাচনের বিষয়ে কোন সাড়া শব্দ নেই।আইনজীবী জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের বিষয়ে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে আগামী ৫ দিনের মধ্যে না জানালে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হবে।কোটা নিয়ে জুলাই আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অধিকাংশই আত্মগোপনে চলে গেছেন। জেলা ও উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার প্রায় সব শীর্ষ পদই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দখলে ছিল। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। পরে বিকল্প ব্যবস্থা করে সরকার। যেমন উপজেলা চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এখন অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন সংশোধন করে মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ তৈরি করছে সরকার।দেশের সব (৪৯৩টি) উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে গত ১৮ আগস্ট। তাঁদের জায়গায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওইদিন এ বিষয়ে পৃথক আদেশ জারি করেছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ।ভোরের আকাশ/জাআ
মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে গুলশান থানার মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশারকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মোক্তার হোসেন জানান, এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খালিদ সাইফুল্লাহ। শুনানি শেষে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।এর আগে সোমবার দুপুর ১টার দিকে খায়রুল বাশারকে ঢাকার ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি পুলিশ। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, বাশার, তার স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন ও ছেলে আরশ ইবনে বাশার চটকদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে ফেলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য ১৪১ শিক্ষার্থীকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে তারা ১৮ কোটি ২৯ লাখ ৫৭ হাজার ৬৮০ টাকা লোপাট করেছেন।গত ৪ মে সিআইডির এসআই রুহুল আমিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। খায়রুল বাশার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে গত ১৭ অক্টোবর ঢাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন একদল শিক্ষার্থী।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ এ দিন ধার্য করেন।আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ অনেকে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।গত ১২ জানুয়ারি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।রায়ে আদালত বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার ছিল অবৈধ। আইনে এ বিচার টেকে না। রায়ে বলা হয়, যে চার্জশিটের ভিত্তিতে নিম্ন আদালত বিচার করেছিলেন তা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ফাঁসি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।ভোরের আকাশ/এসএইচ