যেসব এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টা গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকবে
গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) অফ-ট্রান্সমিসন পয়েন্টে জরুরি টাই-ইন কাজের জন্য আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করবে। সোমবার (৩১ মার্চ) এক বার্তায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টা তিতাস গ্যাস অধিভুক্ত জয়দেবপুর, টঙ্গী, চন্দ্রা, কোনাবাড়ী, আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই, মানিকগঞ্জ এলাকা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।
গ্রাহকদের এমন সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ছেড়ে এখন গ্রামে অবস্থান করছেন কয়েক লাখ মানুষ। ঈদের আগের দিন থেকেই রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কই ফাঁকা। প্রধান সড়কগুলোতে বাস চলাচল করছে হাতে গোনা। নেই চিরচেনা যানজট। অলস সময় কাটছে ট্রাফিক পুলিশের। ফাঁকা সড়কগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।ঈদের তৃতীয় দিন বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর গুলিস্তান, মতিঝিল, শান্তিনগর, কাকরাইল, পল্টন, বাবুবাজার, মালিবাগ, শাহবাগ, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর এবং উত্তরাসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।সরকারি ছুটি অনুযায়ী, আগামী শনিবার (৫ এপ্রিল) পর্যন্ত ছুটি উপভোগ করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই ছুটির মধ্যেই কিছু মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীতে। ঈদের তৃতীয় দিন আজ বুধবার সকালে ঢাকা কার্যত ফাঁকাই ছিল। এদিন রাজধানীর প্রায় সব সড়কেই যানবাহনের চাপ কম। কিছু বাস চললেও রয়েছে যাত্রী সংকট। নেই চিরচেনা যানজট। ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা ও জরুরি কাজে যারা ঢাকায় রয়ে গেছেন, তাদের অনেকেই পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হচ্ছেন। স্বল্প দূরত্বের কোথাও যেতে তারাও বেছে নিচ্ছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।উত্তরা থেকে কুড়িলে আসা বাস যাত্রী আলী আরাফাত জানান, অন্য সময়ে উত্তরা হাউজ বিল্ডিংয়ে মোড় থেকে কুড়িল বিশ্বরোড়ে আসতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। অথচ আজকে মাত্র ১৫ মিনিটেই পৌঁছে গেছি। সব সময় যদি ঢাকার রাস্তা এমন ফাঁকা থাকতো তাহলে জীবনযাত্রা আরও সহজ হতো। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময়ও বেঁচে যেতো।বাড্ডা রোড়ের নিয়মিত বাসযাত্রী বাজিত মিয়া বলেন, বাড্ডা থেকে নর্দ্দা আসতে অন্য সময় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট লাগতো। কখনো কখনো এক ঘণ্টাও লাগে। অথচ ঈদের তৃতীয় দিন আজকে মাত্র ১০ মিনিটে আসলাম। খুব স্বস্তি লাগছে। ঢাকার চিত্র সব সময় এমন হলে রাজধানীবাসীর জীবনে আরও গতি আসতো। ঢাকা শহরের অসহনীয় যানজট কমানোর বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত।গাবতলীতে যাত্রীর জন্য অপেক্ষারত বৈশাখী পরিবহনের চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার রাস্তায় যাত্রী নেই বললেই চলে। তবে আজকে কিছুটা বেড়েছে। আশা করছি আগামীকাল থেকে আরও বাড়বে।সিএনজি চালক সিদ্দীক মিয়া জানান, পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ থেকে যুমনা ফিউচার পার্কে আসতে অন্য দিন আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগতো। আজকে মাত্র ৩৩ মিনিটে এসেছি। রাস্তাঘাটে যাত্রীও কম, গাড়িও নেই বললেই চলে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পর্যটন মৌসুম শেষ হবার আগেই শুরু হয় পবিত্র রমজান মাস। ফলে, পুরো রমজানে জনশূন্য থেকেছে কক্সবাজারের বেলাভূমি। কিন্তু সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতরের ছুটির বদৌলতে কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম শুরু হয়েছে।ঈদের দ্বিতীয় দিন (মঙ্গলবার) উল্লেখ করার মতো বেড়েছে পর্যটক ও দর্শনার্থী উপস্থিতি। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত এমন বিচরণ থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।সরেজমিনে দেখা যায়, গরম উপেক্ষা করে কক্সবাজার সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে সকাল-দুপুর-সন্ধ্যায় লোকসমাগম বাড়তে থাকে। রমাজানের সুনসান নীরবতা থাকা হোটেল-মোটেল জোনে অটোরিকশার বিচরণ, খাবার ও সৌখিন পণ্যের দোকানগুলো পালা করে খুলছেন ব্যবসায়ীরা। বেড়েছে ফুটপাতের বেচাকেনাও। সৈকতে বেড়েছে বিনোদন সঙ্গী ঘোড়া, বীচ বাইক, জেট স্কিসহ অন্যান্য অনুষঙ্গ।ঢাকা থেকে আগত পর্যটক তাসনিম বলেন, ইদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। তবে প্রচণ্ড গরম। তারপরও সৈকতের নোনাজলে পা ভেজাতে পেরে আমরা অনেক খুশি।কুমিল্লা থেকে আগত পর্যটক উর্মি বলেন, প্রথমবার কক্সবাজারে আসছি। তবে হোটেল বুকিং দিয়ে আসিনি। সকাল থেকে রুম খুঁজছি। ভালো মানের হোটেল ৪-৫ হাজারের নিচে পাচ্ছি না। এত বাজেট নেই। আমাদের বাজেট ২ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।ঢাকা মিরপুর থেকে আগত পর্যটক রাজ্জাক বলেন, ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে আসছি। সাগরের গর্জন শুনে ভনটা ভরে গেলেও হোটেল ভাড়াটা একটু বেশি বলে অভিযোগ করেন এই পর্যটক।কক্সবাজার আবাসিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ঈদের পরের দিন সকাল থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে তারকা মানের হোটেলগুলো প্রায় বুকিং রয়েছে। তবে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হোটেল ভাড়া বেশি নিচ্ছে।টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মহমুদ বলেন, কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা পুলিশের সহযোগিতায় পর্যটন এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।পর্যটকেরা কক্সবাজার ভ্রমণ শেষে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারেন সে জন্য যা যা করার প্রয়োজন সব কিছু করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি জানান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা, মিরপুর ও পোস্তগোলা সেনানিবাসে কর্মরত জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও), নন-কমিশন্ড অফিসার (এনসিও), অন্যান্য পদবির সেনা সদস্য, বেসামরিক কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঢাকায় সেনা ভবনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সেনাপ্রধান।এ সময় জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে তার সহধর্মিণী সারাহনাজ কমলিকা জামান উপস্থিত ছিলেন।শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি সেনাবাহিনী প্রধান ও তার পরিবারের সদস্যরা আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় এবং তাদের আপ্যায়ন করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) অফ-ট্রান্সমিসন পয়েন্টে জরুরি টাই-ইন কাজের জন্য আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করবে। সোমবার (৩১ মার্চ) এক বার্তায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টা তিতাস গ্যাস অধিভুক্ত জয়দেবপুর, টঙ্গী, চন্দ্রা, কোনাবাড়ী, আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই, মানিকগঞ্জ এলাকা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।গ্রাহকদের এমন সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
যেসব এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টা গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকবে
গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) অফ-ট্রান্সমিসন পয়েন্টে জরুরি টাই-ইন কাজের জন্য আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করবে। সোমবার (৩১ মার্চ) এক বার্তায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টা তিতাস গ্যাস অধিভুক্ত জয়দেবপুর, টঙ্গী, চন্দ্রা, কোনাবাড়ী, আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই, মানিকগঞ্জ এলাকা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।
গ্রাহকদের এমন সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ছেড়ে এখন গ্রামে অবস্থান করছেন কয়েক লাখ মানুষ। ঈদের আগের দিন থেকেই রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কই ফাঁকা। প্রধান সড়কগুলোতে বাস চলাচল করছে হাতে গোনা। নেই চিরচেনা যানজট। অলস সময় কাটছে ট্রাফিক পুলিশের। ফাঁকা সড়কগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।ঈদের তৃতীয় দিন বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর গুলিস্তান, মতিঝিল, শান্তিনগর, কাকরাইল, পল্টন, বাবুবাজার, মালিবাগ, শাহবাগ, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর এবং উত্তরাসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।সরকারি ছুটি অনুযায়ী, আগামী শনিবার (৫ এপ্রিল) পর্যন্ত ছুটি উপভোগ করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই ছুটির মধ্যেই কিছু মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীতে। ঈদের তৃতীয় দিন আজ বুধবার সকালে ঢাকা কার্যত ফাঁকাই ছিল। এদিন রাজধানীর প্রায় সব সড়কেই যানবাহনের চাপ কম। কিছু বাস চললেও রয়েছে যাত্রী সংকট। নেই চিরচেনা যানজট। ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা ও জরুরি কাজে যারা ঢাকায় রয়ে গেছেন, তাদের অনেকেই পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হচ্ছেন। স্বল্প দূরত্বের কোথাও যেতে তারাও বেছে নিচ্ছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।উত্তরা থেকে কুড়িলে আসা বাস যাত্রী আলী আরাফাত জানান, অন্য সময়ে উত্তরা হাউজ বিল্ডিংয়ে মোড় থেকে কুড়িল বিশ্বরোড়ে আসতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। অথচ আজকে মাত্র ১৫ মিনিটেই পৌঁছে গেছি। সব সময় যদি ঢাকার রাস্তা এমন ফাঁকা থাকতো তাহলে জীবনযাত্রা আরও সহজ হতো। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময়ও বেঁচে যেতো।বাড্ডা রোড়ের নিয়মিত বাসযাত্রী বাজিত মিয়া বলেন, বাড্ডা থেকে নর্দ্দা আসতে অন্য সময় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট লাগতো। কখনো কখনো এক ঘণ্টাও লাগে। অথচ ঈদের তৃতীয় দিন আজকে মাত্র ১০ মিনিটে আসলাম। খুব স্বস্তি লাগছে। ঢাকার চিত্র সব সময় এমন হলে রাজধানীবাসীর জীবনে আরও গতি আসতো। ঢাকা শহরের অসহনীয় যানজট কমানোর বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত।গাবতলীতে যাত্রীর জন্য অপেক্ষারত বৈশাখী পরিবহনের চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার রাস্তায় যাত্রী নেই বললেই চলে। তবে আজকে কিছুটা বেড়েছে। আশা করছি আগামীকাল থেকে আরও বাড়বে।সিএনজি চালক সিদ্দীক মিয়া জানান, পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ থেকে যুমনা ফিউচার পার্কে আসতে অন্য দিন আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগতো। আজকে মাত্র ৩৩ মিনিটে এসেছি। রাস্তাঘাটে যাত্রীও কম, গাড়িও নেই বললেই চলে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পর্যটন মৌসুম শেষ হবার আগেই শুরু হয় পবিত্র রমজান মাস। ফলে, পুরো রমজানে জনশূন্য থেকেছে কক্সবাজারের বেলাভূমি। কিন্তু সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতরের ছুটির বদৌলতে কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম শুরু হয়েছে।ঈদের দ্বিতীয় দিন (মঙ্গলবার) উল্লেখ করার মতো বেড়েছে পর্যটক ও দর্শনার্থী উপস্থিতি। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত এমন বিচরণ থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।সরেজমিনে দেখা যায়, গরম উপেক্ষা করে কক্সবাজার সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে সকাল-দুপুর-সন্ধ্যায় লোকসমাগম বাড়তে থাকে। রমাজানের সুনসান নীরবতা থাকা হোটেল-মোটেল জোনে অটোরিকশার বিচরণ, খাবার ও সৌখিন পণ্যের দোকানগুলো পালা করে খুলছেন ব্যবসায়ীরা। বেড়েছে ফুটপাতের বেচাকেনাও। সৈকতে বেড়েছে বিনোদন সঙ্গী ঘোড়া, বীচ বাইক, জেট স্কিসহ অন্যান্য অনুষঙ্গ।ঢাকা থেকে আগত পর্যটক তাসনিম বলেন, ইদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। তবে প্রচণ্ড গরম। তারপরও সৈকতের নোনাজলে পা ভেজাতে পেরে আমরা অনেক খুশি।কুমিল্লা থেকে আগত পর্যটক উর্মি বলেন, প্রথমবার কক্সবাজারে আসছি। তবে হোটেল বুকিং দিয়ে আসিনি। সকাল থেকে রুম খুঁজছি। ভালো মানের হোটেল ৪-৫ হাজারের নিচে পাচ্ছি না। এত বাজেট নেই। আমাদের বাজেট ২ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।ঢাকা মিরপুর থেকে আগত পর্যটক রাজ্জাক বলেন, ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে আসছি। সাগরের গর্জন শুনে ভনটা ভরে গেলেও হোটেল ভাড়াটা একটু বেশি বলে অভিযোগ করেন এই পর্যটক।কক্সবাজার আবাসিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ঈদের পরের দিন সকাল থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে তারকা মানের হোটেলগুলো প্রায় বুকিং রয়েছে। তবে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হোটেল ভাড়া বেশি নিচ্ছে।টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মহমুদ বলেন, কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা পুলিশের সহযোগিতায় পর্যটন এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।পর্যটকেরা কক্সবাজার ভ্রমণ শেষে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারেন সে জন্য যা যা করার প্রয়োজন সব কিছু করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি জানান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা, মিরপুর ও পোস্তগোলা সেনানিবাসে কর্মরত জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও), নন-কমিশন্ড অফিসার (এনসিও), অন্যান্য পদবির সেনা সদস্য, বেসামরিক কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঢাকায় সেনা ভবনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সেনাপ্রধান।এ সময় জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে তার সহধর্মিণী সারাহনাজ কমলিকা জামান উপস্থিত ছিলেন।শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি সেনাবাহিনী প্রধান ও তার পরিবারের সদস্যরা আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় এবং তাদের আপ্যায়ন করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) অফ-ট্রান্সমিসন পয়েন্টে জরুরি টাই-ইন কাজের জন্য আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করবে। সোমবার (৩১ মার্চ) এক বার্তায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টা তিতাস গ্যাস অধিভুক্ত জয়দেবপুর, টঙ্গী, চন্দ্রা, কোনাবাড়ী, আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই, মানিকগঞ্জ এলাকা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।গ্রাহকদের এমন সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মন্তব্য করুন