আবার বেড়েছে সোনার দাম
দুই দফা কমার পর দেশের বাজারে আবার বেড়েছে সোনার দাম। ভরি ১ লাখ ৭১ হাজার ২৮৬ টাকা
সোমবার (৫ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বাজারে মঙ্গলবার (৬ মে) থেকে সোনার নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৭১ হাজার ২৮৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪০ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৯০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সবশেষ গত ৩ মে দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। ওই সময় ভরিতে ৩ হাজার ৫৭০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা ৪ মে থেকে কার্যকর হয়েছিল।
ভোরের আকাশ/আমর
সংশ্লিষ্ট
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ‘সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর ডাকা শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতের দিকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তার বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এনবিআর।এর আগে গত শনিবার ও রোববার (২৮ ও ২৯ জুন) এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন কমিশনার জাকির হোসেন। এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকে রাজস্ব আদায়ে বিঘ্ন এবং সরকারি নির্দেশনা অমান্য বলে উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে শাটডাউন ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আন্দোলন চলাকালীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এনবিআরের সেবাকে ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবা’ হিসেবে ঘোষণা দেয়, যাতে আন্দোলন কার্যক্রম সীমিত হয়।রোববার রাতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। একইদিন সংগঠনের সভাপতি, সহসভাপতিসহ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন ও রাজস্ব ক্ষতির’ অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।পরদিন (মঙ্গলবার) আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের তথ্য জানায় দুদক। তাদের মধ্যে এনবিআরের আন্দোলনের সামনের সারির তিন নেতাও রয়েছেন।সাম্প্রতিক এই ধারাবাহিকতায় এবার শাটডাউন কর্মসূচিতে সরাসরি অংশ নেওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।তবে এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জাকির হোসেনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।ভোরের আকাশ//হ.র
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও দেশের বাজারে এই মুহূর্তে বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান। তিনি জানান, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। আপাতত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মুনাফা থেকে সমন্বয় করা হবে।মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসি এবং জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের মধ্যে ১০ বছর মেয়াদি গ্যাস সরবরাহ চুক্তি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। চুক্তি অনুযায়ী, জালালাবাদ গ্যাস লাফার্জহোলসিমকে আগামী ১০ বছরে দৈনিক ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস সরবরাহ করবে, যা আগামী বছরের ১৮ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।উপদেষ্টা বলেন, যুদ্ধের মধ্যে একটি তেলের জাহাজ বন্দরে এসেছে, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত মজুদ হাতে রয়েছে। আমাদের সুবিধা হচ্ছে সরবরাহকারীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসেন। সোর্স মধ্যপ্রাচ্য হলেও অনেক সরবরাহকারী রয়েছে যারা সিঙ্গাপুর থেকে, কেউ মালয়েশিয়ার মার্কেট থেকে সরবরাহ করেন। সে কারণে তেলের সরবরাহ নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তবু আমরা যুদ্ধের ওপর নজর রাখছি।বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে সেখানে ভর্তুকি দেওয়া হবে কি না, এমন বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে বিপিসির মুনাফা থেকে তা পূরণ করা হবে। আপাতত জ্বালানি তেলে ভর্তুকি কিংবা দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।লাফার্জহোলসিমের সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এই চুক্তিটা শুধু একটি গ্যাস সরবরাহ চুক্তি না। বাংলাদেশ যে বিনিয়োগের জন্য একটি ভালো জায়গা, সেটিও বিশ্বের কাছে বার্তা দেওয়া। এখানে একটি সুবিধা রয়েছে, অন্য সব কম্পানি ঢাকায়, যেখানে আমাদের গ্যাসের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। আর লাফার্জে অবস্থান হচ্ছে সিলেট অঞ্চলে।বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, আমরা নতুন বিনিয়োগের পাশাপাশি পুরাতন বিনিয়োগকে ধরে রাখতে কাজ করছি। লাফার্জ হচ্ছে গ্লোবাল লিডার তাদের সঙ্গে চুক্তি করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই চুক্তির মাধ্যমে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া। যারা এখানে বিনিয়োগ করতে আসবে তারা হয়তো তাদের কাছে জানার চেষ্টা করবে। তাদের কাছে যেন বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালো ধারণা পায়। তাদের ফিডব্যাক থেকে অনেকেই আগ্রহী হবেন বলে মনে করি।বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো সিজফ্রিয়েড রেঙ্গলির বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এই চুক্তি প্রযুক্তি ব্যবহার বাংলাদেশে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে অনেক ভূমিকা রাখবে।ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য কাজ করছি। এখানে অনেক ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা প্রকাশ করেছে। সেখানে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে খুবই আশাব্যঞ্জক। আমরা এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসির সিইও ইকবাল চৌধুরী বলেন, লাফার্জহোলসিম শুধু সিমেন্ট ও ক্লিংকার তৈরি করে না, এখানে স্কিল জনশক্তি তৈরি করছি। যাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা হয়। যারা বিশ্বের অনেক দেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে।জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল মারিয়া সিস্তিয়াগা ওচোয়া ডি চিনচেত্রু বিডার ইনভেস্টমেন্ট সামিট, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রেজানুর রহমান, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দুর্নীতি ও অদক্ষতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। এ দেশের রাজনীতিবিদ-আমলা কেউই দুর্নীতি বন্ধ হোক চায় না বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।শনিবার (২১ জুন) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির বাজেটসংক্রান্ত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।ফাওজুল কবির খান বলেন, পানির উৎস থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে কেবল একজন মন্ত্রীর সুবিধার জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্র বানানো হয়েছে। অপ্রয়োজনে রাস্তা করা হয়েছে, অব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রীয় অর্থ নষ্ট হয়েছে।এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আত্মীয়স্বজনকে নিয়োগ না দিয়ে, ব্যবসা সুবিধা না দিয়ে এমন একটি দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই, যা ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক উদাহরণ হবে।বিদ্যুৎখাত নিয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, নিজস্ব গ্যাসের মজুত কমে আসায় এখন আমদানি করা এলএনজি–নির্ভরতা বাড়ছে। এতে সরকারকে বড় অঙ্কের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সব সরকারি ভবনে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, গত ১৫ বছরে দেশের চামড়া শিল্পে ব্যাপক নৈরাজ্য চলেছে এবং এর ফলে শিল্পটির চরম অধঃপতন হয়েছে। এ খাতে যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, তা এত দ্রুত ভাঙা সহজ নয়।সোমবার (৯ জুন) দুপুরে যশোরের রাজারহাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চামড়ার হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা চামড়া শিল্পে সবার আগে এতিমখানা ও মাদরাসার স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছি। পাশাপাশি দেশের চামড়া শিল্পের সার্বিক স্বার্থ ও ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই কার্যক্রম পরিচালনা করছি।তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে চামড়া শিল্পের যে অধঃপতন ঘটেছে, তা পুনরুদ্ধার এবং অবৈধ সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা সারাদেশে কাজ করছি। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। কন্ট্রোল টিমও সক্রিয় রয়েছে।চামড়ার সঠিক মূল্য নিশ্চিত ও মূল্য বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার সারাদেশে লবণ বিতরণ করেছে উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, চামড়ার দাম বাড়াতে ৭ লাখ ৫০ হাজার টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপ চামড়ার মূল্য নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। অনেক মাদরাসা লবণ ছাড়াই চামড়া সংগ্রহ করেছে। অথচ সরকার লবণ ছাড়া চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে না। অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া সম্পর্কে ধারণা না থাকায় তা নষ্ট করেছেন। ফলে কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাননি।বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ট্যানারি মালিকদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সরকার ঈদের আগেই ২২০ কোটি টাকার প্রণোদনা ছাড় করেছে। বাজার ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের চাহিদা তৈরি হবে।শেখ বশিরউদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, চামড়া শিল্পের নৈরাজ্য নিয়ে এখনও সরকারের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে। অথচ সরকার চামড়া রক্ষায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারব। অনুষ্ঠানে যশোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আজাহার ইসলাম এবং পুলিশ সুপার (এসপি) রওনক জাহান উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/আজাসা