ছবি সংগ্রহীত
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) দীর্ঘ ২৮ বছর পর কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সোমবার ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে।
সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কমিশনের নাম ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, সহ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সাজেদুল করিম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ইসমাইল হোসেন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর এছাক মিয়া সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা।
রেজিস্ট্রার জানান, আসন্ন শাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ।
নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন:
জৈবপ্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম
পুর ও পরিবেশ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. মিছবাহ উদ্দিন
পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম
লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফ সিদ্দিকী
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মো. রেজাউল ইসলাম
খাদ্য প্রকৌশল ও চা প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক জি এম রবিউল ইসলাম
গণিত বিভাগের অধ্যাপক রেজোয়ান আহমেদ
রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. মাহবুবুল আলম
সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল
নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনযুর-উল-হায়দার
স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনযুর-উল-হায়দার
ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাজিক মিয়া
উপাচার্য প্রফেসর এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “তোমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ও রোডম্যাপ নির্ধারণ করবে। একই সঙ্গে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।”
এর আগে ২২ অক্টোবর শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সোমবার কমিশন গঠন ও রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। তবে সোমবার শুধু কমিশন গঠনের ঘোষণা এসেছে; রোডম্যাপ এখনও প্রকাশিত হয়নি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ বলেন, “আমরা দ্রুত কমিশনের বৈঠক করে এই সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশের চেষ্টা করব। সবার সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করা হবে।”
ভোরের আকাশ//হর
সংশ্লিষ্ট
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) দীর্ঘ ২৮ বছর পর কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সোমবার ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে।সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কমিশনের নাম ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, সহ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সাজেদুল করিম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ইসমাইল হোসেন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর এছাক মিয়া সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা।রেজিস্ট্রার জানান, আসন্ন শাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ।নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন:জৈবপ্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলামপুর ও পরিবেশ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. মিছবাহ উদ্দিনপলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলামলোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফ সিদ্দিকীবাংলা বিভাগের অধ্যাপক মো. রেজাউল ইসলামখাদ্য প্রকৌশল ও চা প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক জি এম রবিউল ইসলামগণিত বিভাগের অধ্যাপক রেজোয়ান আহমেদরসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. মাহবুবুল আলমসমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল জলিলনৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনযুর-উল-হায়দারস্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনযুর-উল-হায়দারইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাজিক মিয়াউপাচার্য প্রফেসর এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “তোমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ও রোডম্যাপ নির্ধারণ করবে। একই সঙ্গে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।”এর আগে ২২ অক্টোবর শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সোমবার কমিশন গঠন ও রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। তবে সোমবার শুধু কমিশন গঠনের ঘোষণা এসেছে; রোডম্যাপ এখনও প্রকাশিত হয়নি।প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ বলেন, “আমরা দ্রুত কমিশনের বৈঠক করে এই সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশের চেষ্টা করব। সবার সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করা হবে।”ভোরের আকাশ//হর
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হবে ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে অংশ নেবে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিসিপ্লিনগুলো এবং ‘বি’ ইউনিটে থাকবে জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিসিপ্লিনসমূহ।পরদিন ১৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে ‘সি’ ও ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। ‘সি’ ইউনিটে থাকবে কলা ও মানবিক স্কুল, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুল, আইন স্কুল, শিক্ষা স্কুল এবং চারুকলা স্কুলের ডিসিপ্লিনসমূহ। অন্যদিকে ‘ডি’ ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষা ও ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ২৯ অক্টোবর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ভর্তি-সংক্রান্ত সব দিকনির্দেশনা ও সময়সূচি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হওয়ার পর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। শিক্ষার্থীদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নিয়মিত অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শ্রীশান্ত রায় নামের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীদের সম্পর্কে অশালীন ও অবমাননাকর মন্তব্য এবং ধর্ষণের স্বীকারোক্তি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায় বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী।বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রত্ব বাতিল ও গ্রেপ্তারের দাবিতে বুয়েট কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসংলগ্ন ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তর (ডিএসডব্লিউ) ভবনের সামনে জড়ো হন। এসময় তারা “ধর্ষকের ঠিকানা, এই বুয়েটে হবে না”, “ধর্ষকের বিচার চাই” ইত্যাদি স্লোগান দেন।শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মাসুদ এক লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে শ্রীশান্ত রায়ের ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিলের নির্দেশ দেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের ‘২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায় এর ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিল করা হলো।”তবে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা শোনার পর ‘না না’ বলে ওঠেন। তারা ওই শিক্ষার্থীর স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি তোলেন। তখন অধ্যাপক এ কে এম মাসুদ বলেন, ‘স্থায়ীভাবে ছাত্রত্ব বাতিল করার ক্ষমতা আমার নেই, আমি উপাচার্যের নির্দেশক্রমে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তার নামে মামলা করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। যদিও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মামলা করার কথা, তবে আমরা ছাত্রদের কথা বিবেচনায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেই মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’এদিকে অভিযুক্ত শ্রীশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে বুয়েট ২১ ব্যাচ ধর্ষণ ও প্রমাণের কয়েকটি মিল প্রকাশ করে।১) "রেডডিট ব্যবহারকারী নিজেকে “বুয়েট ইইই-২১”-এর শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।২) একাধিক মন্তব্যে সে বাসইউস ব্র্যান্ডের এয়ারবাডস ব্যবহার করেন বলে উল্লেখ করেছেন। যা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর সঙ্গেও মেলে।৩) রেডডিট আইডি থেকে জানা যায়, সে জুন মাসে মুসটাং থেকে ছবি পোস্ট করেছেন।৪) উক্ত রেডডিট আইডির অশালীন মন্তব্যগুলির ভাষা, টোন ও লেখনশৈলী বহু সহপাঠী শনাক্ত করেছেন, যা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর স্বভাবগত লেখনভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।৫) যখন বুয়েট শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি-বর্জনের পক্ষে সম্মিলিত স্বাক্ষর প্রদান করেন, তখন একমাত্র সেই কাগজে স্বাক্ষর করেননি। যা তার দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলে।"শিক্ষার্থীরা জানায়, উল্লিখিত প্রমাণ ও মিলের ভিত্তিতে আমরা দৃঢ়ভাবে সন্দেহ করছি যে আমাদের ব্যাচের শ্রীশান্ত রায়ই উক্ত রেডডিট আইডির ব্যবহারকারী এবং সে-ই সচেতনভাবে নারীদের প্রতি অশালীন, লাঞ্ছনাকর ও হয়রানিমূলক আচরণ করেছেন। যদি ওর কাছ থেকে আগেও এরকম কোনো আচরণের শিকার হয়ে থাকে বা কোনো প্রমাণ থেকে থাকে, সে যেন গোপনীয়তা বজায় রেখে হলেও সেটা প্রকাশ্যে আনে।উল্লেখ্য, বুয়েট ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে এই ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।নির্বাচন কমিশন জানায়, এবারের রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৮৬০ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রাকসু নির্বাচন কমিশন সর্বশেষ প্রস্তুতির বিষয় তুলে ধরে। কমিশন জানায়, ভোটাররা তিন ধাপের যাচাই শেষে ভোট দিতে পারবেন। প্রতিটি ধাপে রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা।নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, কারচুপি ঠেকাতে শুধু অমোচনীয় কালি নয়, আমরা থ্রিডি লেভেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রথম ধাপে যাচাই করা হবে ভোটারের শিক্ষার্থী আইডি কার্ড, দ্বিতীয় ধাপে দেখা হবে ইউনিক আইডি নম্বর, এবং তৃতীয় ধাপে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা থেকে যাচাই শেষে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।তিনি আরও জানান, কোনো ধাপে সন্দেহ দেখা দিলে ভোটারের তথ্য বিশেষ কিউআর কোড স্ক্যান করে যাচাই করা হবে।প্রযুক্তিনির্ভর ভোটগ্রহণ ও গণনাভোটগ্রহণে ব্যবহার করা হচ্ছে ওএমআর মেশিন ও বিশেষ সফটওয়্যার। ছয়টি মেশিন ও সমপরিমাণ স্ক্যানারের মাধ্যমে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। নির্বাচন কমিশনের আশা, ভোটগ্রহণ শেষে সর্বোচ্চ ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল প্রকাশ সম্ভব হবে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, "আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ এবং বিতর্কমুক্ত নির্বাচন উপহার দিতে চাই। প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের এই লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।"ব্যালট পেপার ছাপা ও নিরাপত্তানির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে। প্রতিটি ভোটারের জন্য পৃথক সিরিয়াল নম্বরযুক্ত ব্যালট প্রস্তুত করে তা গোপনীয়তা রক্ষা করে সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং নির্ধারিত কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের মাধ্যমে পাঠানো হবে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, "ব্যালট পেপার মুদ্রণ থেকে বিতরণ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে কঠোর গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত কোনো ব্যালট মুদ্রণ করা হয়নি।"নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা ভোটনির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোটকেন্দ্র ও আশপাশে মোতায়েন করা হয়েছে ২,৩০০ পুলিশ সদস্য, ১২ প্লাটুন র্যাব ও ৬ প্লাটুন বিজিবি। সহায়তায় থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের স্বেচ্ছাসেবক দল। ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।বুধবার থেকেই শিক্ষার্থী পরিচয়পত্র বা পাসকোড ছাড়া কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছে না।রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে আমরা পরিকল্পনা করেছি। সাইবার জগতেও আমরা সজাগ রয়েছি, যাতে কোনো ধরনের অপপ্রচার বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো না হয়, সে জন্য আমাদের একটি আলাদা সাইবার টিম কাজ করছে।"তিনি আরও জানান, নির্বাচনের দিন সাতটি প্রবেশপথ খোলা থাকবে, যেখানেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। কেউ যদি পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোট পরিচালনায় প্রশিক্ষিত কর্মকর্তারাভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন ২১২ জন শিক্ষক, যাঁদের আগে থেকেই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।ফলাফল প্রস্তুতিতে বিশেষ কমিটিভোটের ফলাফল তৈরিতে রয়েছে ৪৩ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ জানান, "আমরা ডাকসু ও জাকসুর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছি। রাকসুতে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আরও সতর্ক হয়েছি। তাড়াহুড়ো করে ভুল বা অগ্রহণযোগ্য কোনো ফলাফল প্রকাশ করা হবে না।"পর্যবেক্ষণে প্রশাসনের কমিটিনির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত হয়েছে ১০ সদস্যের একটি কমিটি। এই কমিটির সভাপতি অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম রফিকুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।উল্লেখ্য, রাকসু নির্বাচনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬২ সালে। গত ৬৩ বছরে মোট ১৪বার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৯ সালে।ভোরের আকাশ/মো.আ.