স্বামী ও দ্বিতীয় স্ত্রী আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৫ ০৪:২২ পিএম
আমগাছে ঝুলন্ত নারীর লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে পাঁচ সন্তানের জননী রুলিয়ারা বেগমকে (৪৪) পিটিয়ে হত্যার পর লাশ আমগাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই গৃহবধূর স্বামী ও সতীনের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর-সাহাপড়া নুরেশ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে। হত্যার শিকার গৃহবধূ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর-সাহাপড়া নুরেশ মোড় গ্রামের শরিফুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী। ঘাতক স্বামী শরিফুল ইসলাম ও দ্বিতীয় স্ত্রী খীর্ষা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে রুলিয়ারার স্বামী শরিফুল ইসলাম ঢাকা থেকে বাড়ি এসে ঈদ উপলক্ষে ক্রয় করা সামগ্রী তার দ্বিতীয় স্ত্রী খীর্ষা বেগমের নিকট রেখে মাত্র দুটি আপেল নিয়ে প্রথম স্ত্রী রুলিয়ারা বেগমের সাথে দেখা করতে গেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শরিফুল তার ছোট স্ত্রী খীর্ষা বেগম ও শরিফুলের ভাই রাজ্জাক প্রথম স্ত্রী রুলিয়ারা বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ বাড়ির পেছনে আমগাছে ঝুলিয়ে দেয়।
নিহত রুলিয়ারা বেগমের ছেলে রাহিম, মেয়ে সোনিয়া খাতুন ও রোকিয়া খাতুন বলেন, আমাদের বাবা শরিফুল ইসলাম, সৎ মা খীর্ষা বেগম ও চাচা রাজ্জাকসহ আরো কয়েকজন আমাদের মাকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ বাড়ির পেছনে গোরস্তান এলাকায় আমগাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এর আগেও বাবা আমাদের মাকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন।
ছেলে রাহিম আরো বলেন, আমি আমার মাকে খোঁজাখুঁজির সময় আমার পিতা বলেন, বাড়ির পেছনে গিয়ে দেখ, পেতে পারিস।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মফিজুল হক বলেন, ওই পরিবারে শরিফুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করার পর সংসারে প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকতো। শুনেছি রুলিয়ারা বেগমকে হত্যা করেছে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) এস এম শাকিল হাসান জানান, লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামী শরিফুল ইসলাম ও দ্বিতীয় স্ত্রী খীর্ষা বেগমকে আটক করা হয়েছে। রুলিয়ারা বেগমের আত্মীয়রা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ