মাসউদ রানা, দিনাজপুর
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৫ ০৯:২৯ পিএম
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লা শ্রমিকদের বিক্ষোভ
চাকরি স্থায়ীকরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন করেছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির বিশ গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ জেএসএমই’র কর্মরত শ্রমিকরা।
রবিবার (১৮ মে) সকাল ১১টায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানি লিমিটেডের প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকের সামনে এই বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানি লিমিটেডের কয়লা উত্তোলনের কারণে তারা বসতি, কৃষিজমি, ক্ষেত-খামার ও পূর্বপুরুষদের কবরস্থান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিনিময়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুত সমঝোতা চুক্তির ভিত্তিতে ২০১৮ সালে তাদের চাকরি দেয়া হয় এবং বলা হয়, জেএসএমই চাইনিজ কোম্পানির কাজ শেষ হলে এক্সএমসি চাইনিজ কোম্পানিতে এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ নিয়োগকৃত সকল শ্রমিকদের যোগদান করাবেন। যতদিন কয়লাখনি সচল থাকবে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের চাকরি বহাল থাকবে। কিন্তু চলতি মাসের ৬ তারিখে তাদের জানানো হয়, ভূগর্ভে কর্মরত অবস্থায় দূর্ঘটনাজনিত কারণে কোন শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্থ হলে কর্তৃপক্ষ দায়ভার নিবেন না।
আরও জানানো হয়, আর মাত্র ৪ থেকে ৫ মাস তাদের চাকুরি রয়েছে বিষয়টি জানতে পেরে সকলে দিশেহারা হয়ে পড়েন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেএসএমই’র শ্রমিক শহিবুল ইসলাম বাবু বলেন, জেএসএমই’র ১৭৪জন শ্রমিক যখন চাকরিতে যোগদান করেন তখন তাদের বয়স ২২ থেকে ২৯ বছর ছিল। ৭ বছর পর এখন তাদের বয়স হয়েছে ৩৪ থেকে ৩৬ বছর। নতুন করে তাদের এখন কোন চাকরিতে যোগদানের বয়স নেই।
এছাড়াও খনির কারণে চাষাবাদের জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন তারা। এই চাকরি ছাড়া কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করবে!
ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক মো. ওসমান আলী জানান, ২০১৮ সালে যোগদানের পর থেকে তাদের নিয়োগপত্র নিয়ে কর্তৃপক্ষ প্রহসন করে আসছে। নতুনভাবে নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্য তাদের সঙ্গে এ ধরণের প্রতারণা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এ সময় জেএসএমই’র উপস্থিত সকল শ্রমিক নিরূপায় হয়ে চাকরি স্থায়ীকরণ বা পুনর্বাসনের দাবিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে জীবন-জীবিকার তাগিদে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
ভোরের আকাশ/এসআই