× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সীমান্তের কান্না থামছে না

দুই যুগে নিহত ১০, বিচারের বালাই নেই

আহসান হাবীব, জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫ ০৮:৪৭ পিএম

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

জয়পুরহাট জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে গত দুই দশকে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিক। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। এ নিয়ে সীমান্তজুড়ে আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে থাকলেও আজও এসব হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার হয়নি। নিহতদের পরিবারগুলোর দাবি-বিনা উসকানিতে, বিনা অপরাধে তাদের প্রিয়জনদের হত্যা করা হয়েছে। তারা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

একাধিক পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রিয়জন হারিয়ে অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। কেউ হয়েছেন পাগলপ্রায়, কেউবা সন্তানদের নিয়ে দিশেহারা হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। সীমান্তে একতরফা এই হত্যাযজ্ঞ থামানো ও বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে আসছেন ভুক্তভোগীরা।

হাটখোলা গ্রামের জনির বাবা আনোয়ার হোসেন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার ছেলে বেঁচে থাকলে কোরআনের হাফেজ হতো।’

জনির মা বিলকিস বেগম আক্ষেপ করে বলেন, ‘কোনো বিচার পাইনি, মামলা হয়নি!’ নুন্দইল গ্রামের নিহত শামীমের স্ত্রী পরিবানু বেগম বলেন, ‘আমি একটা সন্তানকে লালন- পালন করতে না পেরে অন্যকে দিয়ে দিয়েছি!’

একই গ্রামের নিহত জামিরুল মণ্ডলের বড় ভাই খাইরুল ইসলাম জানান, ‘আমার ভাই খুব ভালো মানুষ ছিল। আমরা আজও বুঝে উঠতে পারিনি কেনো তাকে হত্যা করা হলো!’

একই গ্রামের উলফন বেগম, যিনি তার একমাত্র ছেলে রাজুকে হারিয়েছেন, কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমাকে বিচার করে দেন।’ 

হাটখোলার নিহত জনির চাচা আতোয়ারের অভিযোগ আরও ভয়াবহ। তার ভাষ্য, ‘বিএসএফ আমার ভাতিজার হাত-পা কেটে, চোখ উপড়ে লাশ পাঠিয়েছে!’

উচনা সোনাতলার নিহত মুনসুর আলীর মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে গুলি করে মেরে পাটের জাগের নিচে লুকিয়ে রেখেছে!’ আর তার বাবা আব্দুল বাসেত বলেন, ‘আমরাই কেনো শুধু মরিএ  তারা তো মরে না!’

জাতীয় নাগরিক পার্টির জয়পুরহাট জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক সংগঠক ওমর আলী বাবু বলেন, ‘জয়পুরহাট সীমান্তে বিএসএফ যেভাবে নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে, তা মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। বিগত সরকার এ বিষয়ে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমান সরকারকে দ্রুত তদন্ত করে এসব হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

জয়পুরহাট জর্জ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শাহানুর আলম শাহীন বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা দু’দেশের সীমান্ত রক্ষীদের ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি না হলে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।’

সীমান্তের এই নিষ্ঠুর বাস্তবতা থামাতে হলে প্রয়োজন আন্তঃরাষ্ট্রীয় আন্তরিকতা, কার্যকরী কূটনীতি ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা। নয়তো সীমান্তের এ কান্না থামার নয় বরং রক্তের হোলি খেলা চলতেই থাকবে।

ভোরের আকাশ/এসএইচ

  • শেয়ার করুন-
ঠাকুরগাঁওয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত ১

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত ১

বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতের বাড়িতে নাহিদ-সারজিস-হাসনাত

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতের বাড়িতে নাহিদ-সারজিস-হাসনাত

বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কৃষকের লাশ ফেরত

বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কৃষকের লাশ ফেরত

মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৮ জনকে পুশইন

মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৮ জনকে পুশইন

 ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে: আলী রীয়াজ

ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে: আলী রীয়াজ

 শিবালয়ে জিপিএ-৫ না পেয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

শিবালয়ে জিপিএ-৫ না পেয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

 চার দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

চার দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

 শ্যামলীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই, খুলে নিয়ে গেলো জামা-জুতা

শ্যামলীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই, খুলে নিয়ে গেলো জামা-জুতা

 দুই যুগে নিহত ১০, বিচারের বালাই নেই

দুই যুগে নিহত ১০, বিচারের বালাই নেই

 অতিদ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করুন: মির্জা ফখরুল

অতিদ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করুন: মির্জা ফখরুল

 আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, টিটন ৫ দিনের রিমান্ডে

আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, টিটন ৫ দিনের রিমান্ডে

 কিউবার প্রেসিডেন্টসহ নেতাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

কিউবার প্রেসিডেন্টসহ নেতাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

 লর্ডস টেস্টে নতুন করে উত্তাপ

লর্ডস টেস্টে নতুন করে উত্তাপ

 ব্রিটিশ অভিনেত্রীর ব্যাগের দাম ১২১ কোটি টাকা, বিশেষত্ব কী

ব্রিটিশ অভিনেত্রীর ব্যাগের দাম ১২১ কোটি টাকা, বিশেষত্ব কী

 ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল

 যারা মব তৈরি করেছে, তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না : তারেক রহমান

যারা মব তৈরি করেছে, তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না : তারেক রহমান

 ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩৯১

ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩৯১

 সোহাগ হত্যা ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে পিরোজপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ

সোহাগ হত্যা ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে পিরোজপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ

 ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ

 একদল যাবে, আরেকদল দখল করবে এই অপরাজনীতির কবর রচনা করতে হবে: ভিপি নুর

একদল যাবে, আরেকদল দখল করবে এই অপরাজনীতির কবর রচনা করতে হবে: ভিপি নুর

 শশুরবাড়ির গাছে ঝুলছিল জামাইয়ের মরদেহ

শশুরবাড়ির গাছে ঝুলছিল জামাইয়ের মরদেহ

 চারদিনের সফরে ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

চারদিনের সফরে ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

 রাজসাক্ষী হওয়ায় ট্রাইব্যুনালে ক্ষমা পেলেন সাবেক আইজিপি মামুন

রাজসাক্ষী হওয়ায় ট্রাইব্যুনালে ক্ষমা পেলেন সাবেক আইজিপি মামুন

সংশ্লিষ্ট

শিবালয়ে জিপিএ-৫ না পেয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

শিবালয়ে জিপিএ-৫ না পেয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

চার দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

চার দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

দুই যুগে নিহত ১০, বিচারের বালাই নেই

দুই যুগে নিহত ১০, বিচারের বালাই নেই

ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল