কুষ্টিয়ায় মাঠজুড়ে পাটের আবাদ
কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার মাঠজুড়ে এবারও দেখা মিলছে ‘সোনালি আঁশ’ খ্যাত পাটের সবুজ ‘গালিচা’। চাষিদের মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি।
সরকারি কোনও সহযোগিতা বা প্রণোদনা ছাড়াই কৃষকেরা একান্ত প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমে দিন দিন পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ফলে প্রতি বছর বাড়ছে চাষের পরিমাণ।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, একসময় পাট চাষ অলাভজনক মনে হলেও বর্তমানে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় অনেকেই পাট চাষে ফিরে এসেছেন। বিশেষ করে ধান, গমের তুলনায় তুলনামূলক কম খরচ ও লাভজনক হওয়ায় এই আঁশ ফসল আবারও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চাষিরা জানান, সরকারি কোনো প্রণোদনা না থাকলেও তারা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে জমি প্রস্তুত করে পাট চাষ করছেন। সঠিক পরিচর্যা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ভালো ফলনের আশা করছেন তারা।
কৃষক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “গত বছর ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম, ভালো লাভ হয়েছিল। এবার ৪ বিঘায় পাট চাষ করেছি। সরকারের সহযোগিতা পেলে আরও বড় পরিসরে চাষ করা যেত।”
চাষিরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বীজ, সার, কীটনাশক কিংবা বিপণন— কোনো ক্ষেত্রেই সরকারি সহযোগিতা মেলে না। তবুও তারা আশাবাদী, কারণ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের চাহিদা বেড়েই চলেছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, চাষিদের আগ্রহ বাড়লেও প্রণোদনা প্রকল্পের অভাবে তারা চাইলেও সরাসরি সহায়তা দিতে পারছে না। তবে কারিগরি পরামর্শ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের পাশে থাকার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কৃষিবিদরা মনে করছেন, পরিবেশবান্ধব এই আঁশ ফসলের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে সরকারি সহায়তা, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ ও আধুনিক চাষপদ্ধতির প্রসার ঘটাতে হবে। কুষ্টিয়া সদরের কৃষকেরা একে একে সোনালী দিনের স্বপ্ন দেখছেন পাটকে ঘিরে। এই সম্ভাবনাকে জাতীয়ভাবে কাজে লাগাতে এখনই প্রয়োজন নীতিনির্ধারকদের কার্যকর উদ্যোগ।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
হাজারো মানুষের অস্রুসিক্ত ভালবাসায় সিক্ত হলেন নোয়াখালী ৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের ৪ বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: শাহজাহান। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাকালীন রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন মো. শাহজাহান। তিনি বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব, বর্তমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও তৃণমূলের দল পূর্নগঠনের সাবেক সমন্বয়ক। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।বুধবার (২৫ জুন) দীর্ঘ দিন চিকিৎসা শেষে জন্মভুমি নোয়াখালীতে আসলে তাকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। নেতাকর্মীদের বাধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস আর শ্লোগানে মুখরিত ছিল জেলা শহর মাইজদী। নিজ জেলায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে নেতাকর্মীদের আবেগঘন পরিবেশে ফুলের শুভেচ্ছা গ্রহন করেন এই নেতা। তখন নিজেও আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। পথসভায় তিনি ওয়াদা করেন আমৃত্যু সদর-সুবর্ণচরবাসির সাথে আছেন। তাদের ছেড়ে যাবেন না। দল ও জনগনের কল্যানে নিজেকে নিয়জিত রাখবেন।জানা যায়, মো:শাহজাহান দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি থাইল্যান্ডের ব্যংকক হাসপাতালে সফল অস্র প্রচারের মাধ্যমে হার্টের ভাল্ব রিপ্লেসমেন্ট করেন এবং ফলোআপ শেষে সুস্থ হয়ে নেতাকর্মী ও স্বজনদের মাঝে ফিরে আসেন ।এদিকে প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে এবং তাকে স্বাগত জানাতে দুপুর থেকেই সদর-সুবর্ণচরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যানার, ফেষ্টুন হাতে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মী এসে জড়ো হন জেলা শহর মাইজদীতে। একাধিক জায়গায় মিছিল, শোভাযাত্রা,গান বাজনা পুরো শহর একটা আনন্দঘন ও উৎসবমুখর হয়ে উঠে। শহরের ব্যবসায়ী, পাশ্ববর্তী বাসাবাড়ি থেকে নারী, পুরুষ উৎসুক দৃষ্টিতে প্রিয় নেতার সুস্থ হয়ে ফিরে আসা দেখতে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। এদিন বিকেলে বেগমগঞ্জ চৌমুহনী চৌরাস্তায় ফুলের শুভেচ্ছা জানান বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীরা। নোয়াখালী মাইজদীতে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা প্রিয় নেতার বক্তব্য শুনার জন্য রাত পযর্ন্ত অপেক্ষা করেন ।মো. শাহজাহান ১৯৯১ সনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ (সুবর্ণচর-নোয়াখালী সদর) আসন থেকে প্রথম বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি একই আসন থেকে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে একই আসনে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ভোট কারচুপি করে তাকে পরাজিত করেন।জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এডভোকেট আবদুর রহমান জানান, প্রিয় নেতা শাহজাহান ভাই শুধু সদর -সুবর্ণচর নয় বৃহত্তর নোয়াখালী, লক্ষীপুর,ফেনী জেলার বিএনপির তথা সংগঠনের প্রান পুরুষ। যার মেধা, প্রজ্ঞা আর দুরদর্শীতায় তিনি জেলার রাজনীতির সংগঠন গুছিয়ে জাতীয় রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। তিনি দেশ নেত্রী সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার আস্থাভাজন।সাবেক তুখোড় পৌর ছাত্রদল সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ওমর ফারুক টপি বলেন, শাহজাহান ভাই শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, তিনিই একমাত্র নোয়াখালী বিএনপির একমাত্র অভিভাবক। তার ফেরার মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। তিনি জিয়ার আদর্শের সূর্যসেনানি৷ সর্বমহলে শ্রদ্ধাস্পদ। তিনি লড়াকু সৈনিক। দুঃসময়ে জিয়া পরিবারের বিশ্বস্ত সিপাহসালা।ভোরের আকাশ/আজাসা
মাদারীপুরের শিবচরে পৃথক দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৮ টার দিকে শিবচর থানার পিছনে হাবিব মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে জমিলা (২২) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত জমিলা উপজেলার পৌরসভা এলাকার সোনা মিয়া মাদবরের মেয়ে এবং রাজবাড়ি জেলার সদর থানার কাছারীপুর এলাকার ভ্যান চালক মোস্তফা মুন্সীর সহধর্মিণী বলে জানতে পারি।পুলিশ ও স্হানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি, ৩ বছর আগে জমিলার ও রাজবাড়ীর মোস্তফার সাথে প্রেমের সম্পর্ক হলে বিয়ে হয়।মাঝে মাঝে তাদের সংসারে খুনসুটি ঝগড়া হত।এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার সকালে জামাই বউয়ের মধো পারিবারিক কলাহ বিচ্ছেদ ঘটে।সন্ধ্যায় স্বামী মোস্তফা ভ্যান চালাতে বেরিয়ে গেলে রাত ৮ টার সময় বাসায় এসে স্বামী ঘরের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে, স্হানীয় লোকজন ডেকে ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় জমিলার মরদেহ দেখতে পেলে পুলিশ কে খবর দেয়।পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।তবে জমিলার পরিবারের দাবি,জমিলাকে তার স্বামী মেরে ফেলেছে বলে এমন অভিযোগ করছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।এ ব্যাপারে শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রতন শেখ বলেন,প্রাথমিক ভাবে জানতে পারি,ঘরের দরজা ভেঙে মরদেহটি উদ্ধার হয়। নিহতের স্বামীকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। লাশ মাদারীপুর মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।অপরদিকে,শনিবার (২৮ জুন) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের মগড়া পুকুর পাড় এলাকার খবির উদ্দিন মৌলভী বাড়ীর পুকুর থেকে লিমা বেগম (২৬) নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।পুলিশ ও স্হানীয়রা জানায়,স্কুল পড়ুয়া ছেলের পুকুরে ভাসা মরদেহটি দেখতে পেলে বাড়ীতে বললে,স্হানীয়দের সহয়তায় ওই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত লিমা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের আলেপুর গ্রামের মৃত ওসমান মুন্সীর মেয়ে বলে জানতে পারি।শিবচর দওপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ ইনর্চাজ মাইনুল ইসলাম বলেন,স্হানীয়দের সহায়তায় পুকুর থেকে অজ্ঞাত নামা একট কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছি।নিহতের বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ভোরের আকাশ/আজাসা
টঙ্গীতে ঝুট নামানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে গাজীপুরা স্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেড নামক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।সংঘর্ষের সময় পথচারীসহ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আল মামুন হাওলাদার বলেন, আমরা কোম্পানি থেকে ৩০ তারিখ মাল (জুট) নামাবো। এই তথ্য পেয়ে হুমায়ূন কাজী কোম্পানিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।হুমায়ুন কাজী বলেন, ‘স্যাটার্ন কারখানার সঙ্গে আমার প্রতিষ্ঠান নূর এন্টারপ্রাইজের চুক্তি হয়েছে। গত ১০ আগষ্ট থেকে কারখানাটির ওয়েস্টেজ আমরা নিচ্ছি। আজ সকালে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ আমাকে ডাকলে আমি কোম্পানিতে যাই। এই খবর পেয়ে তাদের লোকজনের সাথে আমাদের লোকজনের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। এবং কারখানার গেটের সামনে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণের এটনা ঘটায়।এব্যাপারে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মােল্লার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন বলেন, এ বিষয়টি আমি জানার চেষ্টা করছি। সঠিক তথ্য ও প্রমাণ পেলে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া গেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুরের উদ্যোগে মঠবাড়িয়া উপজেলায় কর্মী শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (২৮ শে জুন) মঠবাড়িয়ার কেন্দ্রীয় ঈদগায় মাঠে উপজেলা জামায়াতের আমীর পিরোজপুর ৩নং আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক শরীফ মোহাম্মদ আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে, উপজেলা সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় উক্ত শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশূরা অন্যতম সদস্য এবং বরিশাল অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা এ কে এম ফখরুদ্দিন খান রাযি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি মোহাম্মদ জহিরুল হক, পেশাজীবী বিভাগের জেলা সভাপতি ডঃ আব্দুল্লাহীল মাহমুদ, পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের সাবেক জেলা আমীর মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আফজাল হোসাইন,বায়তুলমাল সেক্রেটারী মোহাম্মদ আল-আমিন,প্রচার সেক্রেটারী মাওলানা আবুল বাশার, পৌর আমীর আব্দুল মালেক মীর, রাজনৈতিক সেক্রেটারী অধ্যাপক ছগির মিয়া, মোহাম্মদ তারেক মনোয়ার, অধ্যাপক নাজমুস সা'দাত, অধ্যাপক আবু সাঈদ জসিম, অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, মাস্টার মো. হাসান প্রমুখ।ভোরের আকাশ/আজাসা