গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১২:৫৪ পিএম
গাবিন্দগঞ্জে ডিভোর্সের জেরে শ্যালককে খুন
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অপহরণের তিন দিন পর পরিত্যক্ত টয়লেটের কূপ থেকে সাব্বির হোসেন (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ডিভোর্সের জেরে পরিকল্পিতভাবে সাব্বিরকে অপহরণের পর হত্যা করে মরদেহ কূপে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় নিহত সাব্বিরের বোনজামাই ইউনুস আলীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রবিউল ইসলাম, আব্দুল আলীম, কবিরুল ইসলাম ও ইউনুস আলী। তাদেরকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাবের সদস্যরা।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকার একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের কূপ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। নিহত সাব্বির হোসেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি বিশুবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
এর আগে, গত ১২ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজার থেকে সাব্বিরকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় বোনজামাই ইউনুস আলী ও রবিউল ইসলামসহ কয়েকজন। এ ঘটনায় অপহরণের অভিযোগে গোবিন্দগঞ্জ থানায় তিনজন নামীয়সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন সাব্বিরের বাবা মোহাম্মদ আলী।
নিহত সাব্বিরের বাবা মোহাম্মদ আলীর অভিযোগ, উপজেলার তরফকামাল (শিয়ালগারা) গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে ইউনুস আলীর সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ের কিছুদিন পর ডিভোর্স হয়। এই ডিভোর্সের ক্ষোভ থেকে ইউনুস আলী, রবিউল ও আলীমসহ কয়েকজন সাব্বিরকে অপহরণ করে হত্যা করেছে। আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে সাব্বিরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকার দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে পরিত্যক্ত একটি টয়লেটের কূপে অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন তারা। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে স্বজনরা এসে মরদেহটি সাব্বিরের বলে শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ