কুয়াকাটায় ঈদের দিনে পর্যটকদের ঢল
ঈদের দিন পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈতকে যেন পর্যটকদের আনন্দের ঢেউ লেগেছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে আনন্দপিপাসু এই মানুষগুলোর ঈদ আনন্দ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে সেখানে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মধ্যে সৈতকে ঈদের উৎসব বাড়তি খুশির কারণ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদ জামাত শেষ হওয়ার পর থেকে সৈকতে এই আনন্দ উৎসব দেখা যায়।
সকাল থেকেই শুঁটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও সৈকতের ঝাউবাগানসহ অধিকাংশ পর্যটন স্পট পর্যটদের পদচারণা রয়েছে। আগত এ সকল পর্যটকদের সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠতে দেখা গেছে। সৈকতে কেউ গোসল করছেন, কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করছেন, আবার কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে পুরো সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
ঈদের দিন বরগুনা থেকে ঘুরতে আসা এক পর্যটক বলেন, ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটায় এসেছি। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সাঁতার কেটেছি। বেশ দারুন সময় পার করছি। সন্ধ্যার পর আমরা আবার বাড়িতে ফিরে যাবো
গলাচিপা থেকে আসা এক দম্পতি বলেন, মোটরসাইকেলে করে দুপুর ১টায় কুয়াকাটায় পৌঁছেছেন তারা। সৈকতের পরিবেশটা বেশ দারুন লেগেছে তাদের। সন্ধ্যার মধ্যে বাড়ি ফিরবেন। তবে হোটেলের ভালো রুম পেলে রাত্রিযাপন করতে পারেন তারা।
হোটেল ডি মোন’র ব্যবস্থাপক জয়নুল আবেদীন জুয়েল জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে আমাদের ৬০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। লম্বা এই ছুটিকে কেন্দ্র করে আমরা ভালো একটা সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি সামনের পুরো মাসজুড়ে ভালো পর্যটক পাব।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহাকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, আগতদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে আমাদের পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। পাশাপাশি থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন। আশা করছি, দর্শনার্থী ও পর্যটকরা নিরাপদে তাদের ভ্রমন উপভোগ করতে পারবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠেছে পার্বত্য জেলা বান্দরবান। সবুজ পাহাড় আর নীল আকাশ দেখতে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের ঢল নেমেছে বান্দরবানে।রমজানের কারণে দীর্ঘদিন পর্যটনকেন্দ্রগুলো ফাঁকা থাকলে ও এখন পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে বান্দরবানের সকল পর্যটনকেন্দ্রে। হোটেল-মোটেল আর রির্সোটগুলোতে পর্যটকদের সমাগম বেড়েছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার মেঘলা, নীলাচল, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরিসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোর ব্যাপক ব্যস্ততা। এসব স্পট এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত।ঢাকা মতিঝিল থেকে আগত মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রকৃতির প্রতি আমার টান ছিল। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বান্দরবানে এসেছি। এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ অসাধারণ।ঢাকা থেকে তিন মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে আসা ডা. মনিরুল জামান জানান, বান্দরবান খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। নীলাচল ঘুরেছি, পরিবারের সবাই খুব মজা করছি।মেঘলা পর্যটন স্পটে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুরতে আসা শিশু আরিয়ান বলেন, উঁচু পাহাড় আর আঁকাবাঁকা রাস্তা দেখে একটু ভয় পেয়েছিলাম, কিন্তু মেঘলায় ঝুলন্ত ব্রিজে বাতাসে দুলে দুলে চলার অনুভূতি ছিল অসাধারণ।জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, পর্যটন স্পটগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়তি ভাড়া রোধে মোবাইল টিম কাজ করছে। বিদেশী পর্যটকদের জন্য অনলাইন সেবাও চালু রয়েছে। তিনি বলেন, এবারের ঈদে পর্যটকরা নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে সময় কাটাতে পারবেন।বান্দরবান হোটেল রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ঈদুল ফিতরের বন্ধে বান্দরবানে পর্যটকের আগমন বেড়েছে এবং বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল এখন পর্যটকে পরিপূর্ণ। আমরা প্রতিনিয়ত অ্যাসোসিয়েশনের সব সদস্যদের নিদের্শনা দিয়ে যাচ্ছি, যাতে পর্যটকরা পর্যাপ্ত সেবা পায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লার ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর এলাকার বাড়িতে গিয়ে মাহফুজ আলমের বাবা বিএনপি নেতা বাচ্চু মোল্লার খোঁজ খবর নেন এ্যানি।শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, বাচ্চু মোল্লা আমাদের স্থানীয় নেতা। উনার ছেলে সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে উনি এবং উনার ছেলের ভূমিকা রয়েছে। ফ্যাসিস্ট বিরোধী ও হাসিনা বিরোধী এবং সম্পূর্ণ আমরা আন্দোলন করেছি দেশের পক্ষে, জনগণের পক্ষে। সুতরাং বাচ্চু মোল্লা অপ্রীতিকর এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হবেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।তিনি বলেন, ঘটনাটি জানার পরই আমি বাচ্চু মোল্লাকে কল দিয়েছি, কিন্তু আমি উনাকে পাইনি। মিডিয়াতে বিভিন্নভাবে ঘটনাটি তুলে ধরা হয়েছে। তবে প্রকৃত ঘটনা উনার কাছ থেকে বাড়িতে এসে জানতে পেরেছি। ১৬ বছর ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে আমরা অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।তিনি আরো বলেন, নির্যাতিত হয়েছি, আমাদের পাশ থেকে অনেক নেতাকর্মী খুনের শিকার-গুমের শিকার হয়েছে। সবশেষ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অনেকে শহীদ হয়েছে। এই আন্দোলন করতে গিয়ে বাচ্চু মোল্লাসহ তার পরিবারও নির্যাতিত। যারা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল, কথিত মঞ্জু একজন সন্ত্রাসী ছিল। ছাত্রলীগের নেতৃত্বাধীন পদে ছিল।এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যুগ্ম-আহবায়ক মাহাবুব আলম প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে দুটি হাইয়েস মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলে সাতজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনজন মারা যান।বুধবার (০২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লোহাগাড়ার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৩ জন নারী, ৭ বছরের ১ জন কন্যা রয়েছেন। এ ঘটনার গুরুতর তিনজন আহত হয়েছেন। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমান দুর্ঘটনায় হতাহতের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।এর আগে একই স্থানে ঈদের দিন সোমবার দুই বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন। গতকাল মঙ্গলবার একই স্থানে দুইটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৮ জন আহত হন। ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঈদের দিন পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈতকে যেন পর্যটকদের আনন্দের ঢেউ লেগেছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে আনন্দপিপাসু এই মানুষগুলোর ঈদ আনন্দ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে সেখানে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মধ্যে সৈতকে ঈদের উৎসব বাড়তি খুশির কারণ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদ জামাত শেষ হওয়ার পর থেকে সৈকতে এই আনন্দ উৎসব দেখা যায়।সকাল থেকেই শুঁটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও সৈকতের ঝাউবাগানসহ অধিকাংশ পর্যটন স্পট পর্যটদের পদচারণা রয়েছে। আগত এ সকল পর্যটকদের সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠতে দেখা গেছে। সৈকতে কেউ গোসল করছেন, কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করছেন, আবার কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে পুরো সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।ঈদের দিন বরগুনা থেকে ঘুরতে আসা এক পর্যটক বলেন, ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটায় এসেছি। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সাঁতার কেটেছি। বেশ দারুন সময় পার করছি। সন্ধ্যার পর আমরা আবার বাড়িতে ফিরে যাবোগলাচিপা থেকে আসা এক দম্পতি বলেন, মোটরসাইকেলে করে দুপুর ১টায় কুয়াকাটায় পৌঁছেছেন তারা। সৈকতের পরিবেশটা বেশ দারুন লেগেছে তাদের। সন্ধ্যার মধ্যে বাড়ি ফিরবেন। তবে হোটেলের ভালো রুম পেলে রাত্রিযাপন করতে পারেন তারা।হোটেল ডি মোন’র ব্যবস্থাপক জয়নুল আবেদীন জুয়েল জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে আমাদের ৬০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। লম্বা এই ছুটিকে কেন্দ্র করে আমরা ভালো একটা সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি সামনের পুরো মাসজুড়ে ভালো পর্যটক পাব।কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহাকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, আগতদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে আমাদের পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। পাশাপাশি থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন। আশা করছি, দর্শনার্থী ও পর্যটকরা নিরাপদে তাদের ভ্রমন উপভোগ করতে পারবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কুয়াকাটায় ঈদের দিনে পর্যটকদের ঢল
ঈদের দিন পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈতকে যেন পর্যটকদের আনন্দের ঢেউ লেগেছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে আনন্দপিপাসু এই মানুষগুলোর ঈদ আনন্দ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে সেখানে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মধ্যে সৈতকে ঈদের উৎসব বাড়তি খুশির কারণ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদ জামাত শেষ হওয়ার পর থেকে সৈকতে এই আনন্দ উৎসব দেখা যায়।
সকাল থেকেই শুঁটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও সৈকতের ঝাউবাগানসহ অধিকাংশ পর্যটন স্পট পর্যটদের পদচারণা রয়েছে। আগত এ সকল পর্যটকদের সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠতে দেখা গেছে। সৈকতে কেউ গোসল করছেন, কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করছেন, আবার কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে পুরো সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
ঈদের দিন বরগুনা থেকে ঘুরতে আসা এক পর্যটক বলেন, ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটায় এসেছি। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সাঁতার কেটেছি। বেশ দারুন সময় পার করছি। সন্ধ্যার পর আমরা আবার বাড়িতে ফিরে যাবো
গলাচিপা থেকে আসা এক দম্পতি বলেন, মোটরসাইকেলে করে দুপুর ১টায় কুয়াকাটায় পৌঁছেছেন তারা। সৈকতের পরিবেশটা বেশ দারুন লেগেছে তাদের। সন্ধ্যার মধ্যে বাড়ি ফিরবেন। তবে হোটেলের ভালো রুম পেলে রাত্রিযাপন করতে পারেন তারা।
হোটেল ডি মোন’র ব্যবস্থাপক জয়নুল আবেদীন জুয়েল জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে আমাদের ৬০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। লম্বা এই ছুটিকে কেন্দ্র করে আমরা ভালো একটা সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি সামনের পুরো মাসজুড়ে ভালো পর্যটক পাব।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহাকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, আগতদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে আমাদের পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। পাশাপাশি থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন। আশা করছি, দর্শনার্থী ও পর্যটকরা নিরাপদে তাদের ভ্রমন উপভোগ করতে পারবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠেছে পার্বত্য জেলা বান্দরবান। সবুজ পাহাড় আর নীল আকাশ দেখতে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের ঢল নেমেছে বান্দরবানে।রমজানের কারণে দীর্ঘদিন পর্যটনকেন্দ্রগুলো ফাঁকা থাকলে ও এখন পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে বান্দরবানের সকল পর্যটনকেন্দ্রে। হোটেল-মোটেল আর রির্সোটগুলোতে পর্যটকদের সমাগম বেড়েছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার মেঘলা, নীলাচল, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরিসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোর ব্যাপক ব্যস্ততা। এসব স্পট এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত।ঢাকা মতিঝিল থেকে আগত মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রকৃতির প্রতি আমার টান ছিল। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বান্দরবানে এসেছি। এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ অসাধারণ।ঢাকা থেকে তিন মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে আসা ডা. মনিরুল জামান জানান, বান্দরবান খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। নীলাচল ঘুরেছি, পরিবারের সবাই খুব মজা করছি।মেঘলা পর্যটন স্পটে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুরতে আসা শিশু আরিয়ান বলেন, উঁচু পাহাড় আর আঁকাবাঁকা রাস্তা দেখে একটু ভয় পেয়েছিলাম, কিন্তু মেঘলায় ঝুলন্ত ব্রিজে বাতাসে দুলে দুলে চলার অনুভূতি ছিল অসাধারণ।জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, পর্যটন স্পটগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়তি ভাড়া রোধে মোবাইল টিম কাজ করছে। বিদেশী পর্যটকদের জন্য অনলাইন সেবাও চালু রয়েছে। তিনি বলেন, এবারের ঈদে পর্যটকরা নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে সময় কাটাতে পারবেন।বান্দরবান হোটেল রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ঈদুল ফিতরের বন্ধে বান্দরবানে পর্যটকের আগমন বেড়েছে এবং বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল এখন পর্যটকে পরিপূর্ণ। আমরা প্রতিনিয়ত অ্যাসোসিয়েশনের সব সদস্যদের নিদের্শনা দিয়ে যাচ্ছি, যাতে পর্যটকরা পর্যাপ্ত সেবা পায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লার ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর এলাকার বাড়িতে গিয়ে মাহফুজ আলমের বাবা বিএনপি নেতা বাচ্চু মোল্লার খোঁজ খবর নেন এ্যানি।শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, বাচ্চু মোল্লা আমাদের স্থানীয় নেতা। উনার ছেলে সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে উনি এবং উনার ছেলের ভূমিকা রয়েছে। ফ্যাসিস্ট বিরোধী ও হাসিনা বিরোধী এবং সম্পূর্ণ আমরা আন্দোলন করেছি দেশের পক্ষে, জনগণের পক্ষে। সুতরাং বাচ্চু মোল্লা অপ্রীতিকর এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হবেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।তিনি বলেন, ঘটনাটি জানার পরই আমি বাচ্চু মোল্লাকে কল দিয়েছি, কিন্তু আমি উনাকে পাইনি। মিডিয়াতে বিভিন্নভাবে ঘটনাটি তুলে ধরা হয়েছে। তবে প্রকৃত ঘটনা উনার কাছ থেকে বাড়িতে এসে জানতে পেরেছি। ১৬ বছর ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে আমরা অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।তিনি আরো বলেন, নির্যাতিত হয়েছি, আমাদের পাশ থেকে অনেক নেতাকর্মী খুনের শিকার-গুমের শিকার হয়েছে। সবশেষ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অনেকে শহীদ হয়েছে। এই আন্দোলন করতে গিয়ে বাচ্চু মোল্লাসহ তার পরিবারও নির্যাতিত। যারা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল, কথিত মঞ্জু একজন সন্ত্রাসী ছিল। ছাত্রলীগের নেতৃত্বাধীন পদে ছিল।এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যুগ্ম-আহবায়ক মাহাবুব আলম প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে দুটি হাইয়েস মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলে সাতজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনজন মারা যান।বুধবার (০২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লোহাগাড়ার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৩ জন নারী, ৭ বছরের ১ জন কন্যা রয়েছেন। এ ঘটনার গুরুতর তিনজন আহত হয়েছেন। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমান দুর্ঘটনায় হতাহতের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।এর আগে একই স্থানে ঈদের দিন সোমবার দুই বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন। গতকাল মঙ্গলবার একই স্থানে দুইটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৮ জন আহত হন। ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঈদের দিন পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈতকে যেন পর্যটকদের আনন্দের ঢেউ লেগেছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে আনন্দপিপাসু এই মানুষগুলোর ঈদ আনন্দ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে সেখানে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মধ্যে সৈতকে ঈদের উৎসব বাড়তি খুশির কারণ হয়ে উঠেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদ জামাত শেষ হওয়ার পর থেকে সৈকতে এই আনন্দ উৎসব দেখা যায়।সকাল থেকেই শুঁটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও সৈকতের ঝাউবাগানসহ অধিকাংশ পর্যটন স্পট পর্যটদের পদচারণা রয়েছে। আগত এ সকল পর্যটকদের সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠতে দেখা গেছে। সৈকতে কেউ গোসল করছেন, কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করছেন, আবার কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে পুরো সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।ঈদের দিন বরগুনা থেকে ঘুরতে আসা এক পর্যটক বলেন, ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটায় এসেছি। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সাঁতার কেটেছি। বেশ দারুন সময় পার করছি। সন্ধ্যার পর আমরা আবার বাড়িতে ফিরে যাবোগলাচিপা থেকে আসা এক দম্পতি বলেন, মোটরসাইকেলে করে দুপুর ১টায় কুয়াকাটায় পৌঁছেছেন তারা। সৈকতের পরিবেশটা বেশ দারুন লেগেছে তাদের। সন্ধ্যার মধ্যে বাড়ি ফিরবেন। তবে হোটেলের ভালো রুম পেলে রাত্রিযাপন করতে পারেন তারা।হোটেল ডি মোন’র ব্যবস্থাপক জয়নুল আবেদীন জুয়েল জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে আমাদের ৬০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। লম্বা এই ছুটিকে কেন্দ্র করে আমরা ভালো একটা সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি সামনের পুরো মাসজুড়ে ভালো পর্যটক পাব।কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহাকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, আগতদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে আমাদের পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। পাশাপাশি থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন। আশা করছি, দর্শনার্থী ও পর্যটকরা নিরাপদে তাদের ভ্রমন উপভোগ করতে পারবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মন্তব্য করুন