পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৫ ০৪:২১ পিএম
পাথরঘাটায় অটোরিকশার দখল, অতিষ্ঠ নাগরিক
বরগুনার পাথরঘাটা পৌর শহরে প্রয়োজনের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার কারণে নাগরিকদের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। শুধু যে তারা অতিষ্ঠ, এটাই নয়, বরং দিন দিন তাদের ভিতরে তৈরি হচ্ছে তীব্র আতঙ্ক। মানুষ তাদের চলার পথকে সহজ করতে প্রথম দিকে পায়ে চালিত রিকশার ব্যবহার করলেও সময়ের পরিক্রমায় তা বাদ দিয়ে বর্তমানে চলছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। এর ব্যতিক্রম ঘটেনি পাথরঘাটাও।
পাথরঘাটা পৌর শহরের বাসিন্দাদের কাছে প্রথম দিকে এই অটোরিকশাগুলো স্বীকৃতি পেলেও বর্তমানে এগুলোকে তারা গলার কাঁটা মনে করছেন। কারণ, শহরের আনাচে-কানাচের সব সড়কেই ব্যাঙের ছাতার মতো এই ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাগুলো ছেয়ে গেছে। সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে, যেখানে পা রাখার জায়গাটুকুও নেই।
পাথরঘাটা শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিনিয়ত বাড়ছে এসব অটোরিকশার সংখ্যা। এতে তীব্র যানজট এবং দুর্ঘটনা বাড়ছে। গত কয়েক মাসে এসব বাহনে ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে দুটি প্রাণহানিও রয়েছে। অধিকাংশ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী অপ্রাপ্তবয়স্ক, অদক্ষ ও বেপরোয়া চালকেরা।
পথচারী রাব্বি বলেন, ঘর থেকে বের হতে ভয় লাগে। কখন না জানি একটি অটোরিকশা গায়ে উঠে বসে। আগে অটোরিকশা উপকারে এলেও এখন সেটা দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে।
অটোচালক আল আমিন বলেন, চাকরি না পেয়ে বাধ্য হয়ে এই পেশায় এসেছি। কিন্তু এখন যেভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকরা গাড়ি চালাচ্ছে, তাতে আমরাও আতঙ্কে থাকি। চাই প্রশিক্ষণ ছাড়া ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের লাইসেন্স না দেওয়া হোক।
পাথরঘাটা উপজেলা বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কাদের খান বলেন, যানজটের কারণে কাস্টমার দোকানে আসতে পারছে না। এতে ব্যবসা ক্ষতির মুখে। প্রশাসনের উচিত অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা।
সচেতন নাগরিকরা জানান, অটোরিকশা সম্পূর্ণ বন্ধ না করে নিয়ন্ত্রিতভাবে লাইসেন্স দেওয়া উচিত। ইউনিয়নের গাড়িগুলো যেন পৌর এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
পাথরঘাটা থানার ট্রাফিক সার্জন বলেন, প্রতিদিনই অপ্রাপ্তবয়স্ক ও বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ইউএনও মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যানজট নিরসনে পৌরসভা থেকে ট্রাফিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যারা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ