কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৫ ০৬:১৭ পিএম
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ভিড়
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ঈদুল আজহার ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। ঈদের দ্বিতীয়দিন আজ রোববার লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে সৈকতের চারপাশ। দীর্ঘ ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছেন বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্রসৈকতে। সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলী পয়েন্ট, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, মেরিনড্রাইভসহ আশপাশের পর্যটন স্পটগুলোতে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ।
গতকাল শনিবার (৭ জুন) ঈদুল আজহার প্রথম দিন সকালে পর্যটকের আগমন কম হলেও বিকেল না হতেই ভিড় বাড়তে শুরু করে সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে। পর্যটকের সঙ্গে দেখে মিলেছে স্থানীয় দর্শনার্থীদেরও। সাগরতীর পরিণত হয় মানুষের মিলনমেলায়।
এদিকে সূর্য ডুবছে অন্যদিকে দলে দলে পরিবার-পরিজন কিংবা প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে সাগরতীরে নামছে পর্যটকরা। কেউ সমুদ্রস্নান করছে, কেউ বালিয়াড়িতে ছবি তুলছে, কেউবা চড়ছে ঘোড়া পিঠে কিংবা বিচ-বাইকে। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ উপভোগ করছে সূর্যাস্ত। ডুবন্ত সূর্যের সঙ্গে সাগরকে পেছনে রেখে তুলছেন ছবিও।
আগত পর্যটকরা বলছেন, ঈদের ছুটি উপভোগে সাগরপাড়ে ছুটে আসা। ঢাকার মিরপুর থেকে আসা পর্যটক শফিকুল বারী বলেন, ‘ঈদের ছুটি উদযাপনে এবার কক্সবাজার ছুটে এসেছি। এখানে সাগরের সামনে পরিবার নিয়ে আনন্দ করছি।
আরেক পর্যটক গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে সৈকতে পর্যটক কম হবে মনে করেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি বিকেলে পর্যটকের চাপ বেড়েছে। তবে সাগরপাড়ে মানুষ বেশি থাকলে আনন্দও বেশি করা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, ঈদের ছুটি থাকায় পরিবার নিয়ে সৈকত উপভোগ করতে আসা। বাড়ির কাছে এতো সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র থাকার পরও আমরা সচারাচর আসিনা। এখানে আসলেই ভালো লাগে। ক্লান্তি ও কাজের চাপ কমে।
হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ৯ জুন থেকে প্রতিদিনই কক্সবাজার সৈকতে ভিড় করবে লাখো পর্যটক। যার কারণে হোটেলের বুকিং হয়েছে আশানুরূপ। এবার অন্তত ৫- ৬ লাখ পর্যটক ভ্রমণে আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সিজনে শতকোটি টাকার বানিজ্য হবে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে পর্যটকের আগমনকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশ।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাস বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ভ্রমণকে আনন্দমুখর করতে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি সৈকতের প্রতিটি গোলঘরে পুলিশ অবস্থান করছে। একদিকে মোবাইল টিম অন্যদিকে সাদা পোশাকে পুলিশ সমুদ্র সৈকতে ঘুরছেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে একাধিক মোবাইল টিম পর্যটকদের সব ধরনের হয়রানি রোধে মাঠে কাজ করছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা