সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫ ০৩:০২ পিএম
ছবি: ভোরের আকাশ
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের উত্তর ঢেমশা থেকে বড়ুয়াপাড়া হয়ে চৌধুরীহাট সংযোগ সড়কটি এখন চরম বেহাল অবস্থায় পৌঁছেছে। বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন। বর্ষাকালে রাস্তাটি কাদামাটিতে ডুবে যায়, আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলার ঝড়ে পথচলাচল প্রায় অচল হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে প্রায় ৭৮০ মিটার রাস্তা কার্পেটিং করা হয়েছিল। কিন্তু সেটিও এখন উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। ফলে সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উত্তর ঢেমশা, সিকদারবাড়ি, বড়ুয়াপাড়া ও চৌধুরী হাট, মরিচ্চাপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ রোগীরা এই বেহাল দশার কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের যাতায়াতে তাদের নিরাপত্তা ও সময় উভয়ই সংকটে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছি আট বছর হলো। যাওয়ার আগে যেমন অবস্থা দেখেছিলাম, এখনো ঠিক তেমনই আছে। কোনো উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে। ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা আসেন নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে, কিন্তু নির্বাচন শেষ হলেই আর খোঁজ রাখেন না। বর্ষায় কাদা, শুকনো মৌসুমে ধুলা— এভাবেই সারাবছর ভোগান্তিতে দিন কাটাচ্ছি আমরা।”
সিএনজি চালক সেলিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, “ঢেমশা বড়ুয়াপাড়া রোডে প্রায় ১৫ বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাটির বেহাল দশা সংস্কারের অভাবে একই রকম আছে। গর্ত, ধুলাবালি আর কাদা— প্রতিদিনের যাতায়াতই আমাদের জন্য এক কঠিন সংগ্রাম। বিশেষ করে রোগী কিংবা জরুরি কাজে লোকজন নিয়ে যাওয়ার সময় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়। এতদিন এই কষ্টের কারণে আমার কোমরেও ব্যথা ধরেছে। আমরা চাই, দ্রুত এই রাস্তা সংস্কার করা হোক, যেন সাধারণ মানুষও নিরাপদে চলাচল করতে পারে।”
এ বিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে বলেন,“রাস্তাটি আমরা পরিদর্শন করেছি এবং তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।”
স্থানীয়দের প্রত্যাশা, বহু প্রতীক্ষিত এই সড়কের সংস্কার কাজ শিগগিরই শুরু হবে— যাতে করে তারা আবারও নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন।
ভোরের আকাশ/তা.কা