টঙ্গীতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একাংশ
টঙ্গীতে ঝুট নামানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে গাজীপুরা স্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেড নামক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে ওই এলাকায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
সংঘর্ষের সময় পথচারীসহ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আল মামুন হাওলাদার বলেন, আমরা কোম্পানি থেকে ৩০ তারিখ মাল (জুট) নামাবো। এই তথ্য পেয়ে হুমায়ূন কাজী কোম্পানিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
হুমায়ুন কাজী বলেন, ‘স্যাটার্ন কারখানার সঙ্গে আমার প্রতিষ্ঠান নূর এন্টারপ্রাইজের চুক্তি হয়েছে। গত ১০ আগষ্ট থেকে কারখানাটির ওয়েস্টেজ আমরা নিচ্ছি। আজ সকালে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ আমাকে ডাকলে আমি কোম্পানিতে যাই। এই খবর পেয়ে তাদের লোকজনের সাথে আমাদের লোকজনের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। এবং কারখানার গেটের সামনে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণের এটনা ঘটায়।
এব্যাপারে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মােল্লার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন বলেন, এ বিষয়টি আমি জানার চেষ্টা করছি। সঠিক তথ্য ও প্রমাণ পেলে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া গেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে কয়েদিদের জন্য নতুন তাঁতযন্ত্র উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।প্রবেশন অফিসের অর্থায়নে তাঁতযন্ত্র স্থাপন ও তাঁত প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। যা টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ও জেলা কারাগার বাস্তবায়নে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় জেলা কারাভ্যন্তরে উদ্বোধনী প্রশিক্ষণে উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে দশজন প্রশিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।কারাগার সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে গণ্য করা হয়। কারাবন্দীদের বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও প্রেষণামূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে চারিত্রিক সংশোধন পূর্বক সুনাগরিক হিসেবে সমাজে পুনর্বাসন করাই কারাগারের মূল লক্ষ্য। এরই ধারাবাহিকতায় কারাভ্যন্তরে তাঁত প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ, মোড়া তৈরি প্রশিক্ষণ, পুঁথিশিল্প প্রশিক্ষণ, নকশি কাঁথা প্রশিক্ষণ, নরসুন্দর প্রশিক্ষণ, কৃষি কাজের প্রশিক্ষণ, কারা লাইব্রেরিতে বই পড়ার সুযোগ, নিরক্ষর বন্দীদের অক্ষরজ্ঞান, কারাভ্যান্তরে সিঙ্গারা, পুরি, জিলাপি, মুড়ি তৈরির প্রশিক্ষণ, সংস্কৃতি চর্চা ও খেলাধুলাসহ গান বাজনা, কবিতা, কৌতুক পরিবেশন সহ মাদকাসক্ত বন্দিদের মোটিভেশনাল কার্যকম গ্রহণ করে থাকেন কয়েদিরা। ফলে বন্দির হাত কর্মীর হাতে রূপান্তরিত হয়।এ সময় উপস্থিতির ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরিফা হক, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আব্দুল্যাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাহবুব হাসান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আল-আমিন কবির, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট টি, এম, এ, মুকিত, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট লাবিবুজ্জামান মুস্তাবীন, জেল সুপার মোঃ শহিদুল ইসলাম, জেলার মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান, প্রবেশন অফিসার মোঃ সৌরভ তালুকদার প্রমুখ।ভোরের আকাশ/জাআ
মাগুরা সদরের আলোমখালি এলাকায় প্রাইভেটকার ও ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে তৈয়ব আলী (৬০) নামের এক ভ্যানযাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার স্ত্রী নবীরন নেছা ও ভ্যানচালক জিয়াউর রহমান।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে তৈয়ব আলী ও তার স্ত্রী নবীরন নেছা কিনা-কাটা করার উদ্দেশ্য ভ্যানে করে গোপালপুর বাজারে যাচ্ছিলেন এসময় আলোমখালি বাজার পৌঁছালে ঝিনাইদহগামী একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে ব্যাটারী চালিত ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভ্যানের যাত্রী রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন।স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ অনুপ তৈয়ব আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় নবীরন নেছা ও ভ্যানচালক জিয়াউর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।মাগুরা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। নিহতের মরদেহ হাসপাতালের অস্থায়ী মর্গে রাখা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বাসুদেব ধর বলেছেন, একটি দুর্গা মন্দির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমাদের কোনো অভিযোগ থাকত না, যদি রেলওয়ের জায়গায় যা কিছু অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সবগুলো নিয়ম অনুযায়ী এবং নির্ধারিত সময় দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হত। কিন্তু যে পদ্ধতিতে দুর্গা মন্দিরটি অপসারণ করা হয়েছে, এতে অপমানিত বোধ করছে হিন্দু সম্প্রদায়। আমাদের পবিত্র দেবী মূর্তি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে, ন্যূনতম সম্মান দেখানো হয়নি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও আমাদের অস্তিত্ব ‘বিপন্ন’ হচ্ছে।শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখা এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলার যৌথ আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।এতে সভাপতিত্ব করেন ঐক্য পরিষদ মহানগরের সভাপতি প্রকৌ. পরিমল কান্তি চৌধুরী।লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার অজুহাতে পিতা-পুত্রকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার এবং ঢাকার খিলক্ষেতে পূজা মণ্ডপ উচ্ছেদসহ দেশের নানাপ্রান্তে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ‘অব্যাহত নির্যাতনের’ প্রতিবাদে এ আয়োজন করা হয়।বাসুদেব ধর আরও বলেন, ’৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বপ্ন দেখিলাম স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান মুসলিম সবাই মিলে আমরা সোনার বাংলাদেশের অংশীদার হবো। কিন্তু ৫৪ বছরে সাম্প্রদায়িকতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেখেছি। ৫ আগস্টের পরিবর্তনের পরে মনে প্রত্যাশা জাগ্রত হয়েছিল এবার আমরা রাস্তায় আর থাকব না। কিন্তু কী দেখেছি? আমাদের অস্থিত্ব রক্ষার জন্য আবার আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে। একটি সম্প্রদায়ের উপর ধারাবাহিকভাবে সাম্প্রদায়িক নির্যাতন, জুলুম-অত্যাচার এবং নিরাপত্তার নামে কারা নির্যাতন অব্যাহতভাবে চালিয়ে দেশ যেমন বৈষম্যহীন হয়ে পড়বে না তেমনি পরিবর্তনও হবে না; ক্রমাগতভাবে এই রূপ সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে এদেশের ধর্মপ্রাণ সংখ্যালঘুরা রাষ্ট্রের উপর আস্থা যেমন হারাচ্ছে তেমনি দেশ একটি অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে।ঐক্য পরিষদ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রমনা কালি মন্দির যেমন বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময়েও একই কায়দায় খিলখেতে দুর্গা মন্দির, দুর্গা প্রতিমাসহ ভেঙ্গে চুরমার করে দেওয়া হয়। ক্রমাগতভাবে সারাদেশে মব সন্ত্রাস করে সাম্প্রদায়িক শক্তির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করে নিরাপত্তার নামে আইনের কাছে সোপর্দ করা নিত্যনৈমেত্তিক ব্যাপার হলে দাঁড়ালেও কোন সরকারই এই পর্যন্ত কোন ঘটনার বিচারের আওতায় আনা হয়নি। এমনকি একটি সাম্প্রদায়িক ঘটনার বিচার হয়েছে দেশে কোন নজির নেই। তিনি আরও বলেন, আমরা অন্তবর্তী সরকার প্রধানের কাছে অবিলম্বে খিলখেতে দুর্গা মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ প্রতিটি সাম্প্রদায়িক ঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানাচ্ছি। নচেৎ ভবিষতে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।প্রকৌশলী অমিতাভ দাশের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডা. তপন কান্তি দাশ, বিশ্বজিৎ পালিত, প্রণব রাজ বড়ুয়া, সুকান্ত দত্ত, বিজয় কৃষ্ণ বৈষ্ণব, মিনু রানী দেবী, অধ্যাপক শিপুল দে, অ্যাড. রুবেল পাল, অ্যাড. পংকজ কুমার চৌধুরী, রিমন মুহুরী, অশ্রু চৌধুরী, রাহুল দত্ত, এড. জনি দে, নিউটর সরকার, দীপক তালুকদার ও সীমান্ত দত্ত।ভোরের আকাশ/জাআ
মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কীটনাশকের প্রচারণা দেখে এটি ভাল কিছু মনে হলেও এটি আসলে বিষ। বিষকে কিভাবে আমরা খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহার করি। এই বিষাক্ত কীটনাশক বন্ধ করতে হলে প্রয়োজনে রাস্তায় নামবো।আজ শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইলে নিরাপদ খাদ্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।শহরের শান্তিকুঞ্জ মোড় এলাকায় বুরো বাংলাদেশের আঞ্চলিক কার্যালয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ পৃথিবী ও নয়াকৃষি আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিষ দিয়ে মাছও ধরা হচ্ছে। গরু ছাগল ঘাস খেতে পারছে না। সেখানে আগাছা নাশক ছিটিয়ে দিয়ে ঘাস মেরে ফেলে তা বিষাক্ত করা হচ্ছে। এ বিষাক্ত পরিবেশ থেকে আমাদের বের হতে হবে। বাংলাদেশ অনেক সুন্দর দেশ, সমৃদ্ধশালী দেশ। আমরা চাইলে এ দেশকে আরও সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।জেলা প্রশাসক শরীফা হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. আবু নইম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, বুরো ময়মনসিংহ বিভাগের ব্যবস্থাপক ইশতিয়াক আহমেদ, আসপাডা পরিবেশ আন্দোলনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন এম এ রশিদ, উবিনিগের পরিচালক সীমা দাস সীমু, সবুজ পৃথিবীর সাধারণ সম্পাদক শহিদ মাহমুদ, কৃষক ছানোয়ার হোসেন প্রমুখ।এ সময় বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা ওপরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ পৃথিবী ও নয়াকৃষি আন্দোলনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ