আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৫ ০৮:১৪ পিএম
ডোবা-নালায় ময়লার স্তুপ, মশার দাপটে অতিষ্ঠ আমতলীবাসী
আমতলী পৌরসভার বিভিন্ন ডোবা-নালা যেন মশার আতুরঘরে পরিণত হয়েছে। শহরজুড়ে শতাধিক ডোবা-নালায় পঁচা পানি ও ময়লার দুর্গন্ধে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মশা-মাছির উৎপাতে নাগরিকদের ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। পৌরবাসীর অভিযোগ, মশা নিধন বা নালা-ডোবা পরিষ্কারে পৌর কর্তৃপক্ষের নেই কোনো কার্যকর উদ্যোগ।
জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে গঠিত আমতলী পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ২৭ বছরেও শহরের অধিকাংশ ডোবা-নালা কখনোই সুষ্ঠুভাবে পরিস্কার করা হয়নি। ফলে পঁচা দুর্গন্ধ ও আবর্জনায় এখন পরিবেশ ভয়াবহভাবে দূষিত।
শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসের চারপাশের লেক, এমইউ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের লেক, সবুজবাগ, চাওড়া, খোন্তাকাটা, বকুলনেছা মহিলা কলেজ ও আমতলী সরকারি কলেজ সংলগ্ন ডোবা-নালাগুলোতে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে আছে। এসব জায়গায় পঁচা পানি থেকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ।
স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক মিয়া বলেন, মশার তাণ্ডবে রাতে ঘুমাতে পারি না। পৌরসভাকে বলেও কোনো লাভ হয়নি।
সবুজবাগের গোপাল মাঝি বলেন, ডোবার পানি পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা-মাছির উপদ্রবে বাচ্চাদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অসিম মৃধা বলেন, আমরা বারবার অভিযোগ দিয়েও কোনো কার্যকর সাড়া পাইনি। ঘরে থাকা দুষ্কর হয়ে উঠেছে।
খোন্তাকাটার ইউসুফ আলী বলেন, “মশার যন্ত্রণায় জীবন অতিষ্ঠ। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে আমতলী পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ জানান, পরিত্যক্ত ডোবা-নালা দ্রুত পরিষ্কার করে মশা নিধনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ফগার মেশিন দিয়ে ধোঁয়া দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই ডোবা-নালা পরিস্কারে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
পৌরবাসীর দাবি—দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে এই জনস্বাস্থ্য সংকট সমাধানে মাঠে নামুক কর্তৃপক্ষ।
ভোরের আকাশ/আজাসা