রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়ালন্দঘাট থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব।
গ্রেপ্তাররা হলেন- গোয়ালন্দ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিরু মৃধা, উজানচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাসুদ মৃধা, শাফিন সরদার, এনামুল হক জনি ও কাজী অপু।এর আগে, শুক্রবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় থানার উপ-পরিদর্শক সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার থেকে ৩৫০০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরাল পাগলের দরবারে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় নুরাল পাগলের ভক্তদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত এবং দুই পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে নুরাল পাগলের মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।
স্থানীয়রা জানান, ২৩ আগস্ট মারা যান নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগল। এরপর তার ভক্তরা দরবারের ভেতরে তাকে কবর দেন এবং কবরের উপরের ১০-১২ উঁচু একটি স্থাপনা নির্মাণ করা হয় যা সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মুসলমানদের কেবলা কাবা শরীফে মত দেখতে। তাই এ নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছিলেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর তৌহিদি জনতার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন মুসল্লিরা। পরে তারা দরবারে হামলা চালান এবং দরবারের ভেতরে থাকা নুরাল পাগলের কবর ভেঙে দেন। সেই সাথে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে তা পুড়িয়েও দেন তৌহিদি জনতা।
ভোরের আকাশ/মো.আ.