ধনু নদীতে পাওয়া গেল ১২ কেজির বিশাল কাতল মাছ
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার ধনু নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ১২ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে ইটনা উপজেলার বাজারের সামনে ধনু নদীতে এই মাছটি ধরা পড়ে। যা পুরো এলাকায় হইচই ফেলে দিয়েছে।
স্থানীয় জেলে আনোয়ার হোসেন জানান, সকাল বেলা যখন জাল তুলছিলাম, তখনই টান বুঝে মনে হলো বড় কিছু ধরা পড়েছে। তুলতেই দেখি বিশাল এক কাতল মাছ!
মাছটি দেখতে নদীর পাড়ে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। পরে মাছটি স্থানীয় বাজারে প্রায় ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয় বলে জানা গেছে।
মাছ ব্যবসায়ীক সাত্তার মিয়া জানন, ধনু নদীতে মাঝে মাঝে বড় মাছ ধরা পড়ে, তবে এত বড় কাতল মাছ বহুদিন পর দেখা গেল।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য বন মন্ত্রণালয় শালবন পুন:প্রতিষ্ঠার প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (১০জুলাই) সকাল থেকে বন বিভাগ শালবন এলাকার স্থানীয় জনগোষ্ঠির গৃহ জরিপ ও জনশুমারী শুরু করবে। বুধবার সন্ধ্যায় মধুপুর উপজেলার দোখলা রেষ্ট হাউজে টাঙ্গাইলের বিভাগী বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহসীন মধুপুর বনাঞ্চলের দোখলা বাংলোতে এক সংবাদ সম্মেলনে সিদ্ধান্তের কথা জানান। প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রথম ধাপে বনাঞ্চলের ৮ ইউনিয়নের ১০২টি গ্রামে মাঠ পর্যায়ের সার্বিক জরীপ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। তিনি জানান, দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বনাঞ্চল মধুপুরকে আদি বনে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বন মন্ত্রণালয়ের শালবন পুনরুদ্ধার প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে গৃহজরিপ ও জনশুমারীর কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ২০ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৪৫ হাজার একর সংরক্ষিত বনভূমিকে পর্যায়ক্রমে শুধু মাত্র শাল ও এর সহযোগি বৃক্ষে আচ্ছাদিত করা হবে।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সহকারি বন সংরক্ষক মো. আবু সালেহ। মূল বক্তা ছিলেন টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহসীন। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সদর উদ্যান রেঞ্জের ফরেষ্টার মোশারফ হোসেন, কারিতাসের সিনিয়র কর্মকর্তা বাধন চিরান, মধুপুর উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার নারায়ন ভৌমিক, সিএমসির সহসভাপতি আব্দুল মোত্তালেব প্রমুখ।বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানান নতুন বৈশিষ্ট্যের বনায়নে মধুপুর বনকে আবার আদি বৃক্ষ, চিরাচরিত উদ্ভিদ, গুল্মলতা, পশুপাখি ও জীববৈচিত্রে ফিরিয়ে আনা হবে। প্রকল্পে গারো ও কোচসহ বনবাসীদের প্রথাগত অধিকারের স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে। বনাঞ্চলের সীমানা চিহ্ণিতকরণের কাজ চলছে।তিনি সরকারের এ প্রকল্প সফল করতে বনবাসীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।ভোরের আকাশ/আজাসা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলার এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও হয়নি বিচার। বরং অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এই পরিস্থিতিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পালনে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১৭ জুলাই ‘লীগ বহিষ্কার’ কর্মসূচি পালনের প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল ৪টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ প্রস্তাব দেন ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ রায়। এছাড়াও মোট ১৩টি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে: জুলাই ছাত্র জনতার বিজয় র্যালি ও বিজয় ভোজ, জুলাই অ্যাম্বাসেডর ও সম্মাননা প্রদান, শর্টফিল্ম, ভিডিও প্রদর্শনী, পোস্টার ও স্লোগান প্রতিযোগিতা, “জুলাই ৩৬” ভাবনা প্রতিযোগিতা, রচনা, কবিতা, চিত্রাঙ্কন ও গ্রাফিতি প্রতিযোগিতা, রিমেম্বারেন্স ভিডিও শেয়ার, শহিদ পরিবার ও আহতদের সম্মাননা (ক্রেস্ট প্রদান), “জুলাই কর্নার” উদ্বোধন, “জুলাই ৩৬” স্মৃতিফলক নির্মাণ, “জুলাই শহিদ দিবস” উপলক্ষে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ, “সৈরাচার মুক্ত দিবস” উদযাপন।ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ রায় বলেন, “আমি জুলাই আন্দোলনের একজন আহত যোদ্ধা। আমাদের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলার কোনো বিচার হয়নি। তারা এখনও মুক্তভাবে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাসব্যাপী আন্দোলন শুরু হোক ‘লীগ বহিষ্কার’ কর্মসূচির মাধ্যমে।” এ সময় তিনি আরও কয়েকটি প্রতিবাদী কর্মসূচির প্রস্তাবও দেন।সভায় উপস্থিত ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, “ছাত্রলীগের বিচার না হওয়া আমাদের জন্য লজ্জাজনক। ১৭ জুলাই ‘ছাত্রলীগ বহিষ্কার’ কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনের নতুন অধ্যায় শুরু হোক।”শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র ছাত্রলীগ নয়, বরং আন্দোলন দমনে পেছন থেকে ইন্ধনদাতা কিছু শিক্ষকেরও বিচার জরুরি। লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেখ বলেন, “আপনি (ভিসি) সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ডেকেছেন, কিন্তু উপস্থিত হয়েছে হাতে গোনা কয়েকজন। এর মূল কারণ, প্রতিটি বিভাগে ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে আছে। তারা চায় না জুলাই আন্দোলন সফল হোক। বিচার না হলে কোনো প্রোগ্রামই সফল হবে না।”আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম বলেন, “বিচার ছাড়া আমরা কীভাবে আওয়ামী দোসর শিক্ষকদের সঙ্গে এক প্রোগ্রামে বসব?”সভায় ববি উপাচার্য (অন্তর্বর্তীকালীন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মুহসিন উদ্দিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামী ১৭ জুলাই আমরা ‘লীগ বহিষ্কার’-এর ঘোষণা দেব। শিক্ষকদের বিষয়টি কিছুটা জটিল হলেও নীতিগতভাবে আমরা একমত হয়েছি।”উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের কর্মসূচি নির্ধারণের বিষয়ে ববি উপাচার্য (অন্তর্বর্তীকালীন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমের ডাকা আলোচনা সভায় মাত্র ১২ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। এদিকে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ফ্যাসিস্টের দোসর শিক্ষকদের সভায় আহ্বান করার অভিযোগ এনে সভাটি বর্জনের ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে আলাদা সভা করা হয়।ভোরের আকাশ/আজাসা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গত বুধবার রাতে উপজেলার খাড়েরা পশ্চিম পাড়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করে স্বামী নিজেই আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। বুধবার রাত ৯ টায় কসবা থানাধীন খাড়েরা ৮নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারভেজ (৩০) ও তার স্ত্রী লাকি বেগমের (২৩) মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। ৬ মাস আগে লাকি তার স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। পরে সে খাড়েরা গ্রামের কামাল মাস্টারের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ নেয়। বুধবার (৯ জুলাই) রাত ৮ টার দিকে পারভেজ তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসলে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে পারবভজ ছুরি দিয়ে স্ত্রী লাকিকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং পরে নিজেই নিজের শরীরে ছুরি চালিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। আহত লাকিকে উদ্ধার করে দ্রুত কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আব্দুল কাদের জানান, আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে এবং মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে আজ শপথ নেবেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের ৬৯৪ সৈনিক (নারী-পুরুষ)। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের (বিজিটিসিঅ্যান্ডসি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ শুরু হবে।অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন করবেন।এ সময় বিজিটিসিএন্ডসি’র কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গাজী নাহিদুজ্জামান উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ গত ২৬ জানুয়ারি বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ (বিজিটিসিএন্ডসি)-এ শুরু হয়। দীর্ঘ ২৪ সপ্তাহের কঠোর ও কষ্টসাধ্য প্রশিক্ষণ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়।সর্বমোট ৬৯৪ জন রিক্রুটের মধ্যে ৬৫৮ জন পুরুষ ও ৩৬ জন নারী রিক্রুট মৌলিক প্রশিক্ষণ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ