সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্মীদের মিলনমেলা
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:২২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
প্রকৃতির স্নিগ্ধতা আর সাহিত্যপ্রেমের উষ্ণতা মিশিয়ে এক মনোমুগ্ধকর আয়োজন হয়েছিল বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর টঙ্গী কালচারাল সোসাইটি ও শুচি পাঠচক্র পাঠাগারে। 'স্বজন সমাবেশ' এর গাছা ও টঙ্গী শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো 'শরৎকালের সাহিত্য আড্ডা' এবং 'প্রাণের স্বজন' অলিদুর রহমান অলির শুভ জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা। এই অনুষ্ঠানে সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাছা স্বজনের সভাপতি প্রদীপ দেবনাথ এবং সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন গাজীপুর মহানগর সুজনের সভাপতি মনিরুল ইসলাম রাজিব। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ সুমন, এবং অন্যান্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাব-এডিটর কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী সদস্য ও দৈনিক নওরোজ এর মফস্বল সম্পাদক মনসুর আহম্মেদ, গ্রন্থ প্রণেতা চিন্তাবিদ লেখক ও গবেষক ডা: মাসুদ করিম, খাইলকুর বাদশাহ্ মিয়া অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ, টঙ্গী থানা প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি মুহাম্মদ রোমান হুসাইন, বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মী সখিনা আক্তার, টঙ্গী রিপোর্টার্স ক্লাব সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান সাহা, কবি আতিক শাহরিয়ার, নাট্য পরিচালক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শাহজাহান শোভন।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক শেখ মোহাম্মদ সুমন বলেন, "শরৎকাল মানেই এক নির্মলতা ও শুদ্ধতার বার্তা। এই ঋতুতে প্রকৃতি যেমন তার সবটুকু সৌন্দর্য মেলে ধরে, তেমনই সাহিত্য আড্ডার মাধ্যমে আমাদের মন ও চিন্তার জগৎ আরও পরিচ্ছন্ন ও সমৃদ্ধ হয়।"
মনসুর আহম্মেদ বলেন, শরৎকাল হলো ষড়ঋতুর একটি সুন্দর ঋতু, যা গ্রীষ্মের পর এবং শীতের আগে আসে। এই সময়ে প্রকৃতি শান্ত ও স্নিগ্ধ থাকে এবং আকাশ প্রায়ই নির্মল ও পরিষ্কার থাকে। ভাদ্র ও আশ্বিন মাস মিলে শরৎকাল, যা উৎসবের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে। এই ঋতুতে হালকা বৃষ্টিপাত হয়, যা প্রকৃতির সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
গ্রন্থ প্রণেতা ও চিন্তাবীদ লেখক ডা: মাসুদ করিম বলেন, "নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর কাশফুলের শুভ্রতা বাঙালি কবিদের মনে বারবার নতুন পঙক্তিমালা তৈরি করেছে। শরৎকাল কেবল একটি ঋতু নয়, এটি আমাদের সৃষ্টিশীলতার এক অফুরন্ত উৎস।"
বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মী সখিনা আক্তার বলেন, "শরতের এই শান্ত ও সুন্দর প্রকৃতি আমাদের একে অপরের কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দেয়। এই আড্ডা প্রমাণ করে যে সংস্কৃতির শক্তি কত গভীর, যা মানুষকে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে।"
অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রদীপ দেবনাথ বলেন, "এই ধরনের সাহিত্য আড্ডাগুলো আমাদের সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। শরৎকালের স্নিগ্ধতা যেমন প্রকৃতিকে সজীব করে, তেমনই এই আড্ডাগুলো আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে প্রাণবন্ত রাখে।"
জন্মদিনের অনুভূতি প্রকাশ করে অলিদুর রহমান অলি বলেন, "আমার জন্মদিনকে কেন্দ্র করে এমন একটি শরৎকালীন সাহিত্য আড্ডা আয়োজনের জন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। শরৎকালের মতোই এই আড্ডা আমাদের মনে এক আনন্দ ও সজীবতার অনুভূতি এনে দিয়েছে।"
স্বজনদের মধ্যে নুরুন নাহার মনিকা, পাপিয়া সুলতানা, মাহবুবুর রহমান জিলানী, শাহিন কাউসার, আতিক মুসাফি, মির্জা নাদিম, এম.এ.মালেক, খাদিজা আক্তার মৌমি, সুমি ইসলাম প্রমূখ।
সবশেষে, কেক কেটে অলিদুর রহমান অলির জন্মদিন উদযাপন করা হয় এবং একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ