হুমায়ূন রশিদ জুয়েল, কিশোরগঞ্জ
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৫ ০১:২৬ পিএম
চিকিৎসক সংকটে ভুগছে কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল
কিশোরগঞ্জের সরকারি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তেরোটি উপজেলার চিকিৎসা সেবার প্রাণকেন্দ্র, জানা যায় এটি ২০১১ সালে ৫০০ শয্যা নিয়ে স্থাপিত হয়। চিকিৎসা সেবা শুরু করা হয় ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি অদ্যাবধি মানবতার সেবায় নিয়োজিত আছেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. হেলিশ রঞ্জন সরকার এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ‘৫০০ শয্যা রোগীর চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন ২০০ ডাক্তার, আর আমাদের এখানে ডাক্তার আছেন সবেমাত্র ৮৬ জন। রোগীর তুলনায় ডাক্তার একেবারেই। নার্স সংখ্যা ৩৪৪ জন, এছাড়াও এখানে রোগীদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে ১১টি লিফট এর মধ্যে ৮টি সচল আছেন বাকি তিনটি অকেজো অবস্থায় রয়েছে। হাসপাতালে রোগীদের দ্রুত আনা নেওয়ার জন্য তিনটি অ্যাম্বুলেন্স আছেন।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জনবল কাঠামোর সংকটের পাশাপাশি এখানে নেটওয়ার্কের বড় ধরনের সমস্যা বিদ্যমান। হাসপাতালের আশপাশে কোন ধরনের টাওয়ার না থাকায় প্রতিনিয়তই নেটওয়ার্কের সমস্যার ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে ডাক্তারসহ রোগীরা। ভর্তিরত রোগীদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, যে পরিমাণ রোগী ভর্তি হয়, সে তুলনায় টয়লেট নেই, তাছাড়া রাতের বেলায় টয়লেটে বাতি না থাকায় অন্ধকারে তারা ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে।
চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে রোগীদের কাছে জানতে চাওয়া হলে, তারা জানায় ডাক্তারদের সুন্দর আচরণ এবং চিকিৎসার মান খুবই ভালো। বিশেষ করে হৃদরোগের জন্য এই হাসপাতাল এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সিংহভাগ রোগীই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
লক্ষ্য করা গেছে, ডাক্তার সংকট থাকার পরেও ওখানে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে শত শত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ডাক্তার সংকটের চাহিদা পূরণ হলে চিকিৎসার মান আরো ভালো হতো বলে এমনটাই জানিয়েছেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক।
তিনি আরো বলেন, আমাদের হাসপাতালে জনবল কাঠামোর সমস্যা রয়েছেন, জনবল কাঠামোর ঘাটতি পূরণ হলে আমাদের সেবার মানটা আরও ভালো হতো।
হাসপাতালে ভর্তিরত রোগীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, এখানে চিকিৎসার মান ও ডাক্তারসহ নার্সদের আচার-আচরণ খুবই ভালো। তবে রোগীর তুলনায় টয়লেট কম। তাছাড়া টয়লেটের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়ে গেছে। টয়লেটে রাতের বেলায় অন্ধকার থাকে, সেখানে পর্যাপ্ত লাইটিং ব্যবস্থা নেই।
ভোরের আকাশ/এসএইচ