কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৫ ০৩:৫৫ এএম
ছবি: ভোরের আকাশ
এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কুড়িগ্রামের তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাস করতে পারেনি কেউ। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলাজুড়ে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ওই তিন বিদ্যালয় হলো, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। সেখান থেকে একজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ করে অকৃতকার্য হয়েছে। নাগেশ্বরী উপজেলার পয়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছে এবং ফুলবাড়ী উপজেলার নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছে।
এ ছাড়া জেলায় বেশ কিছু বিদ্যালয়ে কৃতকার্যের চেয়ে অকৃতকার্যের সংখ্যাই বেশি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নে পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়টি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৪ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পেলেও প্রতিষ্ঠানটি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৯ জন শিক্ষক রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মো. রিয়াজুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। নাগেশ্বরী উপজেলার পয়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় সম্পর্কে কোন তথ্য জানা যায়নি।
ফুলবাড়ি উপজেলার নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তালেব বলেন, বিদ্যালয়টি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০২৩ সালে নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদানের অনুমতি পেয়েছি। এ বছর ৯ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে। তারা সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের আশেপাশের গরীব মানুষের বসবাস। পরীক্ষার্থীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকের কাজের পাশাপাশি পড়ালেখা করছিল। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে চার জন শিক্ষক ও ১৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলেও তিনি জানান।
কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম শতভাগ ফেলের বিষয়ে জানান, আমি কিছুদিন আগে এই জেলার এসেছি। শতভাগ ফেল করা বিদ্যালয়গুলোর অবস্থা কেমন আমার জানা নেই। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে বিদ্যালয়গুলো থেকে কেনো কেউ পাশ করেনি সেটির কারণ প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১০জুলাই) বোর্ড কমিটির প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা গেছে। ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা দিনাজপুর বোর্ডে পাশের হার ৬৭ শতাংশ ও ফেলের হার ৩৩ শতাংশ। এরমধ্যে কুড়িগ্রাম জেলায় পাশের হার ৬২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৫৮ জন।
ভোরের আকাশ/জাআ