রংপুর ব্যুরো:
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৪৫ পিএম
শ্যামাসুন্দরী খালের উন্নয়নে রুল জারী, ৭ মাসেও কর্মপরিকল্পনা আদালতে জমা হয়নি
রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী খালের উন্নয়নে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মানেনি বিবাদীরা। রুল জারির সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কর্মপরিকল্পনা আদালতে জমা দেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) মামলার বিবাদীদের—পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রংপুর জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠিয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুসরণের আহ্বান জানায়।
বেলার আইনজীবি এস হাসানুল বান্না জানান, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট শ্যামাসুন্দরী খালের মূল প্রবাহ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ, দখলদার উচ্ছেদ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও খাল পুনরুদ্ধারের জন্য তিন মাসের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সাত মাস পেরিয়ে গেলেও আদেশ বাস্তবায়িত হয়নি।
বেলার পরিদর্শনে দেখা গেছে, খালের দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনা, দোকান ও ঘরবাড়ি নির্মাণ, পানি প্রবাহে বাধা, ড্রেনের মাধ্যমে তরল বর্জ্য ফেলা, প্লাস্টিক ও পয়ঃবর্জ্য মিশে পঁচা ডোবায় পরিণত হওয়ার মতো সমস্যা চলমান রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, বেলার করা রিটের জবাব প্রোপার চ্যানেল অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে। খালের উন্নয়নে ‘রংপুর সদর উপজেলাধীন শ্যামাসুন্দরী খালের পুনঃখনন, দূষণরোধ ও বনায়ন কাজ’ শীর্ষক প্রকল্প ১৪ আগস্ট অনুমোদন পেয়েছে এবং চলতি মাসের ৯ তারিখে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, শ্যামাসুন্দরী খাল রংপুর নগরীর প্রায় ১৩৪ বছর পুরনো ঐতিহ্যবাহী খাল। ১৮৯০ সালে তৎকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান জানকি বল্লভ সেন তাঁর মা শ্যামাসুন্দরীর স্মরণে খালটি পুনঃখনন করেছিলেন। খালটির দৈর্ঘ্য ১৫.৮০ কিলোমিটার, প্রস্থ ২৩ থেকে ৯০ ফুট। নগরীতে অবৈধ স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবর্জনা ফেলার কারণে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে এবং জলজ প্রাণী হ্রাস পাচ্ছে।
ভোরের আকাশ/হ.র